Dr.Liakat Ali

Published:
2021-10-19 01:50:33 BdST

বিএসএমএমইউতে শেখ রাসেল চাইল্ডহুড ক্যান্সার সারভাইভর গ্যালারি উদ্বোধন


 

বিএসএমএমইউ সংবাদ দাতা
________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিনে ও শিশু ক্যান্সার সচেতনতা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের তৃতীয় তলায় শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগে ‘শেখ রাসেল চাইল্ডহুড ক্যান্সার সারভাইভর গ্যালারি’ এর শুভ উদ্বোধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শেখ রাসেলের জীবনের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সোমবার ১৮ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখ বিকেলে এ ব্লকে অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন দেশকে অনেক কিছুই দিতে পারতেন। শেখ রাসেলের মাঝে বঙ্গবন্ধুর মতোই শিশুসুলভ ও বন্ধুবৎসল গুণাবলী বিদ্যমান ছিল। তিনি বলেন, শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে সেই পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বর্তমানেও দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যারা দেশে পাকিস্তানী ভাবধারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাদের সেই দুঃস্বপ্ন কোনোদিনও বাস্তবায়ন হবে না। তিনি শেখ রাসেলের নিমর্ম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নেপথ্যের খুনিদের খুঁজে বের করতে একটি ট্রুথ কমিশন গঠন করার দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ সকল শিশুদের শুভ কামনা করে বলেন, শেখ রাসেল আমাদের অনুপ্রেরণা। আজ যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮ বছরে পদার্পণ করতেন। এই বয়সে তিনি নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সামিল হতেন। ভিশন ২০২১, ২০৩০, ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তার বোন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করতেন। হয়তো তিনি বিজ্ঞানী অথবা জাতির পিতার মতো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কান্ডারী হতেন। কিংবা হতে পারতেন বার্ট্রান্ড রাসেলের মতোই স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল বিশ্বমানবতার প্রতীক। শেখ রাসেল মারা যাওয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারিয়েছেন তাঁর আদরের ছোট ভাইকে আর বাংলাদেশ হারিয়েছে একজন সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান সন্তানকে। শেখ রাসেল আজ প্রতিটি শিশু কিশোর তরুণের কাছে ভালোবাসার নাম, মানবিক বেদনাবোধ সম্পন্ন মানুষেরা শহীদ শেখ রাসেলের বেদনার কথা হৃদয়ে ধারণ করে চিরদিন শিশুদের জন্য কাজ করে যাবে। ইতিহাসের মহা শিশু হয়েই বেঁচে থাকবে প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে। মাননীয় উপাচার্য বলেন, শেখ রাসেলের হত্যাকারী পাকিস্তানী প্রেতাত্মা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বর্তমানেও সক্রিয়। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্মূল করতে হবে।
মহতী এই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম আতিকুর রহমান প্রমুখসহ সম্মানিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে শেখ রাসেল জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
এর আগে আজ সোমবার সকালে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে এই বিভাগের মাধ্যমে বছরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিশু রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়ে থাকে। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়