Dr.Liakat Ali

Published:
2021-09-25 21:08:41 BdST

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য অত্যন্ত গৌরবের: বিএসএমএমইউ  উপাচার্য


জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

বিএসএমএমইউ সংবাদ দাতা 

_____________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে এক আলোচনা সভা আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে সকাল ১১টায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক সচিব জনাব মোহাম্মদ জমির। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক সচিব জনাব মোহাম্মদ জমির স্মৃতিচারণমূলক ঘটনাবহুল দীর্ঘ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন। তিনি সবসময় দেশের কথা, মানুষের কথা ভাবতেন। পররাষ্ট্রনীতিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী। বিশ্ব দরবারে বাংলাভাষাকে পরিচিত করা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন দেশ হতে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় ভাষণ-বাঙালী জাতির অহংকার। বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও গর্বের দিন। সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষি মানুষের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন আজ। ১৯৭৪ সালের আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের বুকে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। কারণ এই দিনে জাতিসংঘে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্ব প্রথম বাংলায় ভাষণ প্রদান করেছিলেন, বাঙালির জন্য একটা পরম পাওয়া। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিলেন। তেমনি বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ বাংলা ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং জাতিসংঘের সদস্য পদ অর্জনের পর সেখানে প্রদত্ত বাংলা বক্তৃতার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে আরও সুউচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। আর এই কারণে আজকের দিনটি শুধু বাংলাদেশের জন্যই গর্বের দিন নয়, এটি গোটা বাঙালী জাতির জন্যই অত্যন্ত গৌরবের। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুকে প্রথমেই অনুরোধ করা হয়েছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “আপনি ইংরেজীতে বক্তৃতা করবেন” কিন্তু প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার প্রতি সুগভীর দরদ ও মমত্ববোধ থেকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন; “আমি মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করতে চাই।”
মাননীয় উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৮ বার বাংলা ভাষণ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও শোষিত মানুষের বিশ্ব নেতা। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধনী দরিদ্র সকল দেশে মানুষ যাতে সমানভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা পায় তা নিশ্চিত করতে।

গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন , উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহিন আকতার, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. নজরুল ইসলাম খান, শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদার টিটো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব ও সুব্রত বিশ্বাস। ছবি: মোঃ সোহেল গাজী ও নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়