ডেস্ক

Published:
2021-08-22 15:30:40 BdST

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ও আহতদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় বিএসএমএমইউতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


 

সংবাদ দাতা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, এমপি বলেছেন, মোস্তাক -জিয়া বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। বেগম জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতির প্রধান অন্তরায় হলো এই প্রতিহিংসা পরায়ণ হত্যার রাজনীতি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বেগম জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের মদদ ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল এই হামলার প্রধান উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হত্যার সাথে জড়িতদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সাথে সাথে হত্যার রাজনীতিও চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শনিবার ২১ আগস্ট ২০২১ইং তারিখ দুপুর ১২টায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ও আহতদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষার বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ২১ আগস্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংগঠন এর সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দিনের আলোতে ২১ আগস্ট যে ধরণের নৃশংসতম হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে, পৃথিবীতে এ ধরণের হামলা আর সংগঠিত হয়েছে কিনা তা অজানা। ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাস ঘাতকদের বিষয়ে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ২১ আগস্টের বিচার দেখে যেতে না পারায় বিভিন্ন সময় আক্ষেপ করেছেন। এ ধরণের নিষ্ঠুরতম হামলা ও হত্যাকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে রায় অবশ্যই কার্যকর করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা করার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অগ্রগতি ও প্রগতি ধারাকে নেতৃত্বশুন্য করাই ছিল এই হামলার প্রধান লক্ষ্য। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। ২১ আগস্টের হামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত ঘটনা। রাজনীতি ভয়াবহভাবে দুর্বৃত্তায়িত হলেই এটি সম্ভব। এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ন্যায় বিচারের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদেরও সজাগ হওয়া প্রয়োজন। আইনগত ব্যবস্থা ছাড়াও দলের ভিতর থেকে প্রতিহিংসার উপাদান দূর করতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থেই রাজনীতি থেকে দূর করতে হবে অপশক্তি ও অপচিন্তা। ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যাকারীরা তখন দেশে না থাকা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে হত্যা করতে চেয়েও পারেনি। তাই তখনকার খুনী চক্রের উত্তরসুরীরা ২০০৪ এ একুশে আগস্টে ঐ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশনের চক্রান্ত করে। এই ঘৃন্য হত্যাকারীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করে ভবিষ্যতে এধরণের হত্যাকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন, সাবেক এমপি শাহিদা তারেখ দীপ্তি, সাবেক এমপি এডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, ২১ আগস্ট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাজিমউদ্দিন নাজমুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান এর সঞ্চালনায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি ও ভারচুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব ও সুব্রত বিশ্বাস। ছবি: মোঃ সোহেল গাজী । নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়