ডেস্ক

Published:
2021-08-09 23:30:35 BdST

বঙ্গমাতাকে ছাড়া স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পূর্ণ হতে পারে না: বিএসএমএমইউ উপাচার্য


 

ডেস্ক/বিএসএমএমইউ মিডিয়া সেল
______________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হিসেবে বঙ্গমাতার বিরাট অবদান রয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পূর্ণ হতে পারে না। বঙ্গমাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজনৈতিক সচেতন মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে বাংলাদেশে নারী জাগরণসহ নারীর ক্ষমতায়নের নেপথ্যের ভূমিকায় বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অতীত ইতিহাসেও বঙ্গমাতার অনন্য সাধারণ অবদান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আজ সোমবার ৯ আগস্ট ২০১৯ইং তারিখে শহীদ ডা. মিল্টন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপাচার্য সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবন, আত্মত্যাগ, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অপরিসীম অবদান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অজানা তথ্য জানতে পারবে। বঙ্গমাতার জীবন-আদর্শ চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আরও বেশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। তিনি বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা ও বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের ওপর গবেষণার জোর প্রস্তাব করেন। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতির পিতার নেপথ্য শক্তি, সাহস ও বিচক্ষণ পরামর্শক ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, রাজনীতি সচেতন এক মহীয়সী নারী এবং বঙ্গবন্ধুর বন্ধু, দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক'। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘বঙ্গমাতা কারাগারে বঙ্গবন্ধুর জন্য খাবার নিয়ে যেতেন, আর নেতা-কর্মী ও দলের জন্য নির্দেশনা নিয়ে এসে তাদের কাছে পৌঁছে দিতেন। কর্মী ও কারাবন্দী নেতাদের পরিবারের আর্থিক সহায়তা করতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সকল মামলা নিজেই পরিচালনা করতেন। বঙ্গমাতার সাথে ব্যক্তিগত স্মৃতি চারণ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গমাতা জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হয়েও ছিলেন নিরহংকার, আন্তরিক, অমায়িক, অতিথিপরায়ন ও কর্মীবান্ধব একজন মমতাময়ী মা।
আলোচনা সভার প্রধান বক্তা ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন তার বক্তব্যে বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিববুর রহমানের সুদীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অবিশ্বাস্য সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের সমর্থন ও নিঃস্বার্থ সহযোগিতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনসহ সকল অর্জনের নেপথ্যে বঙ্গমাতার ত্যাগ, ধৈর্য্য ও জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করা ও সমর্থন দিয়ে যাওয়া বিরাট ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গমাতার সহযোগিতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর সাহসী সংগ্রামী জীবনে বড় বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। গতকাল ৮ আগস্ট ২০২১ইং তারিখ ছিল বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী। গত ৭ আগস্ট ২০২১ইং তারিখে বঙ্গমাতার স্মৃতিকে স্মরণে রাখা ও তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদানের নিমিত্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন রক্ষার্থে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বঙ্গমাতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদে ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান প্রমুখসহ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব ও সুব্রত বিশ্বাস। ছবি: মোঃ সোহেল গাজী । নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়