ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-05-11 16:33:04 BdST

করোনায় ওসিডিরোগীদের জন্য জরুরি করণীয়



ডা. সুলতানা আলগিন
সহযোগী অধ্যাপক
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
ওসিডি কনসালটেন্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা
___________________________


অদৃশ্য কোভিড-১৯ ভাইরাস আতংক আজ প্যান্ডেমিক আকার ধারণ করেছে। খুবই ছোয়াচে । পুরোবিশ্বে লক্ষাধিক রোগ মৃত্যুবরণ করেছেন এই রোগে। সবাই আতঙ্কিত । পরমাত্মীয়ের মৃত্যু চোখের সামনে দেখছেন কিন্তু কেউ তার কাছে যেতে সাহস করছে না। বাবা ছেলেকে দূর থেকে হাত নাড়িয়ে আাদর দিচ্ছে। ডিউটি শেষে ডাক্তাররা পরিবারের,জনগণের সুরক্ষায় বাড়ীর বাইরে দিনরাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। আর তাই রোগ যাতে না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নিতে বিশ্বব্যপী এই পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা থাকার চেষ্টা। সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে সবাই বাধ্য। মানুষের আয়রোজগার ,বাচ্চাদের পড়াশোনা, পহেলাবৈশাখের মত একটা সার্বজনীন বাঙ্গালী উৎসব সবই বন্ধ। সবাই আজ ঘরবন্দী।এখন করোনা কাল । সবাই ২০ সেকেন্ড করে দিনে ৮-১০বার নিয়মিত হাত ধুচ্ছে। নাকেমুখে মাস্ক ব্যবহার করছে। হাচিকাশি, হাসপাতাল এড়িয়ে চলছে। ট্যাপ এন্ড পে পদ্ধতিতে বাজার করতে আগ্রহী করে তুলছে মানুষকে। তাহলে এটাকে কি বলবেন? করোনা কি ওসিডিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে ?
সারা বিশ্বে ওসিডি রোগির সংখ্যা প্রচুর। মার্কিন বিশ্বে এডাল্টদের প্রতি ৪০ জনে ১জন এবং শিশুদের প্রতি ১০০জনে ১জন এই ডেবিলিটেটিং রোগে ভোগে।
অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার(ওসিডি) বা চিন্তাবাতিক ও বাধ্যতাধর্মী আচরণ (শুচিবাই) একটি উদ্বেগজনিত রোগ। ডঐঙ র‌্যাংকিং এ মেডিক্যাল ডিসএ্যাবিলিটির প্রধান ১০টি রোগের মধ্যে এটি একটি। সারাবিশ্বে প্রতি পঞ্চাশ জনে ১ জন জীবনের কোন না কোন সময় এই রোগে ভোগে। সাধারণত শৈশব ও কৈশোরে এই রোগটি শুরু হয়। মহিলা ও পুরুষ উভয়ই এই রোগে ভুগতে পারে। নিকট আত্মীয়দের মধ্যে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা পাঁচগুণ বেশী ।
বিষন্নতা রোগ,ফোবিক ডিসঅর্ডার,মাদকাসক্তির পরেই ক্রমানুসারে আসে ওসিডি রোগটির নাম। এই রোগটির ব্যপকতা অনেক বেশী কিন্তু এইসব আচরণকে আমরা রীতিনীতি সংস্কার হিসেবে গণ্য করি।
অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার বা শুচিবাই কি?
এটা এমন ধরণের রোগ যাতে অবসেশন অথবা কমপালশন বা উভয়টিই থাকতে পারে।
অব্সেশন কি ?
-এটা এক ধরনের মর্মপীড়াদায়ক চিন্তা, ছবি অথবা তাড়না যা মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাথায় আসে। এই চিন্তাভাবনাগুলো বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয় এবং কোন যুক্তির ধার ধারে না।

কম্পালশন কি?
-অব্সেশন দ্বারা তাড়িত/বাধ্য হয়ে এবং অস্বস্তি ও উদ্বেগ কমানোর জন্য যে কাজ করা হয় তাকে কম্পালশন বলে, যেমন-বারবার ধোয়া, গণনা করা, বার বার যাচাই করা, গুছিয়ে রাখা এবং একই কথা বারবার বলা ইত্যদি।

কেন হয় ?
ওসিডির জন্য বংশগত কারণ যদি ৫৫% দায়ী হয় তবে পারিপার্শ্বিক কারণ ৪৫% দায়ী । বংশগত কারন ছাড়াও এই রোগ হতে পারে তবে যাদের এই কারন আছে তাদের রিস্ক বেশি। মানসিক চাপ অনেকাংশে দায়ী । বাচ্চারা প্রকাশ করতে পারে না বিধায় তাদের প্রকাশভঙ্গী বড়দের থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়।স্কুলে ভর্তি বা পরীক্ষার চাপ,ক্লাশমেটদের সাথে তুলনামূলক আলোচনা বাচ্চাদের মনে অভিবাবকদের অজ্ঞাতেই একটা কালো ছায়া ফেলে। পিউবার্টির সময় মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়া ,ছেলেদের স্বপ্নদোষ অনেকক্ষেত্রে ওসিডির সূত্রপাতের ক্ষেত্রে একটা বড় ভ’মিকা রাখে। এই বয়সে বিয়ে, গর্ভধারণ বা বাচ্চা প্রসবও প্রভাব ফেলে।
বংশগত কারণঃ
যাদের পরিবারিকভাবে এই রোগের ইতিহাস আছে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫গুণ
জীবনের কোন ঘটনাঃ
জীবনের যে কোন ঘটনা দিয়ে রোগটি শুরু হতে পারে। যেমনঃ ব্যক্তি জীবনের মানসিক চাপ; পরিত্যক্ত ব্যান্ডেজ, বর্জ্য ইত্যাদি দেখে
রোগ জীবানুঃ
খুব কম েক্ষত্রে শারীরিক রোগের কারণে এটি হতে পারে। যেমন-স্ট্রেপটোকক্কাল ইনফেকশন, ম¯িতস্কে আঘাত, স্ট্রোক ইত্যাদি।
জৈব রাসায়নিকঃ
ব্রেনের কর্টিকো-স্ট্রায়েটাল-থ্যেলামোকর্টিকাল লুপ অথবা সার্কিট আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে শরীরে জৈব রাসায়নিক যেমনঃ সিরোটনিন, গ্ল­ুটামেট, ডোপামিন এর হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।

লক্ষণসমূহ:
ওসিডির লক্ষণগুলোকে আমরা ৪টা ডায়মেনশনে ভাগ করতে পারি। দেখা যায় কোন না কোন ডায়মেনশনের সাথে আপনার লক্ষণগুলো মিলে যাবে। আপনার এক বা একাধিক ডায়মেনশন এর লক্ষণ থাকতে পারে। ডায়মেনশন/শ্রেণীবিভাগ গুলো হচ্ছে:
শ্রেণীবিভাগ ১: জীবাণু এবং সংক্রমণ জনিত উদ্বেগ
শ্রেনীবিভাগ ২: ক্ষতি, আঘাত বা দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী ভেবে উদ্বেগ।
শ্রেনীবিভাগ ৩ : অগ্রহণযোগ্য চিন্তা সমূহ
শ্রেনীবিভাগ ৪ :সামঞ্জস্যপূর্ণ,সম্পূর্ণ এবং “একদম ঠিক”/ ”নিখুঁত ” ভাবে করার বিষয়ে উদ্বেগ।

শ্রেণীবিভাগ ১: জীবাণু এবং সংক্রমণ জনিত উদ্বেগ

উদাহরণসমূহঃ
আপনি কোন মানুষ অথবা বস্তুর সান্নিধ্যে এসে সংক্রমিত হয়েছেন এমন চিন্তা অথবা অনুভূতি আসা।
কোন নির্দিষ্ট জায়গায় গেলে সংক্রমিত হয়েছেন এমন অনুভূতি।(যেমনঃ বাথরুম)
জীবাণু অসুস্থতা অথবা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন চিন্তা।
সংক্রমিত হয়েছে এই উদ্বেগে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে হাত ধুয়ে ফেলেন, গোছল করেন,কাপড় বদলান অথবা জিনিসপত্র পরিষ্কার করেন।
সংক্রমিত হওয়ার কারনে নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলেন।(যেমনঃ বাথরুমে,পোশাক পরিবর্তন)
সংক্রমিত হওয়ার কারনে নির্দিষ্ট মানুষ, বস্তু,স্থান ,প্রাণী এড়িয়ে চলেন।

শ্রেনীবিভাগ ২: ক্ষতি, আঘাত বা দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী ভেবে উদ্বেগ।

উদাহরণসমূহঃ
আপনার ভুলের কারণে কোন ভয়াবহ/ক্ষতিকারক ঘটনা ঘটতে পারে এমন দ্বিধা।
ভয়ানক দুর্ঘটনা, দুর্যোগ, আঘাত বা অন্য কোন দুর্ভাগ্য ঘটতে পারে এমন চিন্তা আসে এবং তা প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না।
দুর্ভাগ্য বা খারাপ কিছু থেকে রক্ষা পেতে হলে কোন কিছু নির্দিষ্ট নিয়মে করতে হবে, নির্দিষ্ট সংখ্যা গণনা করতে হবে অথবা কোন “খারাপ” সংখ্যা বা শব্দ এড়িয়ে চলতে হবে এমন কোন চিন্তা আসা।
প্রয়োজনীয় জিনিস যেটা হারানোর কথা নয় অথচ হারিয়ে যেতে পারে এমন চিন্তা মাথায় আসে( যেমন মানিব্যাগ,কাগজপত্র,পরিচয়প্রতারণা)
প্রয়োজনের চেয়ে বেশী বার তালা, সুইচ্, মানিব্যাগ ইত্যাদি জিনিস যাচাই করা/ চেক করা।
কোন খারাপ কিছু ঘটে নি (বা ঘটবে না) তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বার বার জিজ্ঞাসা করা বা চেক/ যাচাই করা।
আমি কোন ভুল করি নি তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অতীতের ঘটনাগুলো মনে মনে পর্যালোচনা করা।
¶তি বা দুর্যোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিশেষ রুটিন মেনে চলা দরকার।
কোন ¶তি হবে এই ভেবে/ক্ষতির ভয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা গণনা করা বা খারাপ সংখ্যাগুলো এড়িয়ে চলা।

শ্রেনীবিভাগ ৩ : অগ্রহণযোগ্য চিন্তা সমূহ

উদাহরণসমূহ:
অপ্রীতিকর যৌন, অনৈতিক, বা সহিংস চিন্তা যা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মনে আসে।
ভয়াবহ, অনুচিত বা বিব্রতকর কোন কাজ যা আপনি কখনও করতে চান না এমন চিন্তা আসে।
খারাপ কোন চিন্তার জন্য একই কাজ বার বার করেন বা বিশেষ কোন রুটিন মেনে চলেন।
অনাকাক্সিখত বা অপ্রীতিকর চিন্তা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনি মনে মনে কাজ করেন বা দোয়া পড়েন।
অনাকাক্সিখত বা অপ্রীতিকর চিন্তার উদ্রেক করে এমন মানুষ, স্থান বা পরিস্থিতি এড়িয়ে চলেন ।

শ্রেনীবিভাগ ৪ :সামঞ্জস্যপূর্ণ,সম্পূর্ণ এবং “একদম ঠিক”/ ”নিখুঁত ” ভাবে করার বিষয়ে উদ্বেগ।

উদাহরণসমূহ:
ভারসাম্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সুষম ,নির্ভুলভাবে করার প্রয়োজনীয়তা।
“একদম ঠিক”/ ”নিখুঁত ভাবে” হয় নি এমন অনুভূতি আসা
‘একদম ঠিক’/ ”নিখুঁত ” বা ভারসাম্যের অনুভূতি না আসা পর্যন্ত রুটিন মেনে কাজটি বারবার করে যাওয়া।
অনর্থক জিনিস গণনা করা( যেমন ছাদের টাইলস, কোন বাক্যের অন্তর্গত শব্দ)।
অকারণে জিনিসপত্র নির্দিষ্ট ছকে সাজিয়ে রাখা।
‘একদম ঠিক’ / ”নিখুঁত ”এই অনুভূতি না আসা পর্যন্ত কোন কিছু একইভাবে বারবার বলা।


আপনি কি ভাবছেন ?
ওসিডির রক্ষণগুলোকে ৪টা ডায়মেনশনে ভাগ করা যায়।তার মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ। ৯৯% লোকজনই এটা জানেন। তাই রোগী যখন বলেন পরিষ্কার থাকাটা কি রোগ ? এটা কেন হবে ? মুখে একটা তাচ্ছিল্যভাব এনে বলেন তাহলে আপনাদের মতে সবাই ওসিডি রোগী ।

কিন্তু ওসিডির ক্ষেত্রে আপনি কি করছেন ?
ওসিডি বংশানুক্রমিক রোগ। আপনি অনেক দিন থেকে এই রোগে ভুগছেন। আপনার কারণে আপনি নিজে বা আপনার আত্মীয়¯^জন প্রতিবেশী বা অনাত্মীয় কেউ মৃত্যূভয়ে আতঙ্কিত নন। আপনার ওসিডি আপনাকে একটা ভুল অযৌক্তিক চিন্তার দ্বারা তাড়িত করে। যাকে আপনি চাইলেও মাথা থেকে সরাতে পারেন না। আর তারই কারণে আপনি ধোয়াধুয়ি,গোসল করা ,বাথরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্ছেন। আপনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে আপনার পরিবার আপনার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনার এই আচরণ আপনার পরিবারের বা সমাজের আর কেউ করছে না। আপনাকে বাধা দিলে আপনি রাগ করছেন । ঝগড়া করছেন। খাওয়াদাওয়া ঘুম সবকিছুরই ব্যঘাত ঘটছে। ওসিডির ক্ষেত্রে শুধু আপনিই আইসোলেশনে থাকছেন। পরিবার থেকে সমাজ থেকে একমাত্র আপনারই সামাজিক দূরত্ব শারীরিক দূরত্ব বাড়ছে। আপনার দ্বারা করোনার মত কারও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা নাই। াাপনার অৎান্তেই আপনি ঘরবন্দী হয়ে পড়ছেন।
আপনি ক্রমশ অন্যান্য মানসিক রোগ যেমন ডিপ্রেশন , ফোবিয়া ,প্যানিক ডিসঅর্ডারের মত রোগে ভুগতে পারেন। নিজেকে আঘাত করার বা আত্মহত্যার প্রবণতাও আপনার মধ্যে দেখা দিতে পারে। সাথে যদি অন্যান্য শারিরীক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ থাকে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিলেও এসব রোগ নিয়ন্ত্রনে আনা কঠিণ হয়ে পড়ে।
ওসিডির চিকিসা বিভিন্ন ওষুধ,সাইকোথেরাপী ,শৃক্সখলার মধ্যে থেকে করা হয়। আর করোনা ভাইরাস জনিত রোগ। তার প্রতিরোধে এখনকার নিয়মবিধিগুলো সবাইকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যাতে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে না যায়। এখানে সমাজের প্রতিটি লোক ভালনারেবল। আপনার অজান্তেই আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। করোনা কোন চিন্তাজটে ঘুরায় না।

ওসিডির জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাব্যবস্থা:

ওষুধ :যেমন- এস.এস.আর.আই. গ্রুপের ওষুধ এবং অন্যান্য
সাইকোএডুকেশন : রোগী ও তার পরিবারকে রোগ সম্পর্কে জানানো । তাদের চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করা।
সাইকোথেরাপী : এক্সপোজার এন্ড রেসপন্স প্রিভেনশন থেরাপী, শাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন থেরাপী,রিলেক্সেশন থেরাপী,কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপী

এছাড়াও যা করণীয় ঃ
১। পর্যাপ্ত ঘুম ২। নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ৩। সঠিক খাদ্যাভাস ৪। নিয়মিত ব্যায়াম ৫। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি।

নি¤œলিখিত সিরোটনিন সমৃদ্ধ খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়া উচিত ----
* আমিষ জাতীয় খাবারঃ মাংস, কলিজা, ডিম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ।
* ফলমুল জাতীয় খাবারঃ কলা, আনারস, আম, আঙুর, খেজুর।
* শাকসবজিঃ পালং শাক, পুই শাক, বেগুন, ফুলকপি, শিম জাতীয় বীজ, মাশরুম, টমেটো, ব্রকলি।

যে সকল খাবার কম / খাবেন না ----

মিষ্টি জাতীয় খাবার, ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যেমন-চকলেট, চা, কফি, সফ্ট ড্রিংকস, ক্যাফেইন যুক্ত কিছু ওষুধ, মদ জাতীয় পানীয়, কৌটায় সংর¶িত খাবার।


আপনি কি অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারে ভুগছেন?
১।আপনি কি অতিরিক্ত ধোয়া-মোছা করেন অথবা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন?
২।আপনি কি কোন কিছু অতিরিক্ত চেক/ যাচাই-বাছাই করেন?
৩।আপনার মাথায় অযাচিত ভাবে কি কোন চিন্তা আসে? যা কিনা আপনি চাইলেও মাথা থেকে সহজে বের করতে পারেন না ?
৪।আপনার দৈনন্দিন কাজ শেষ করতে কি অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়?
৫। আপনার মধ্যে আসবাবপত্র, বই খাতা, কাপড়-চোপড় অথবা যে কোন জিনিস নির্দিষ্ট ছকে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা আছে কি ?

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর যে কোন একটির উত্তরও যদি হ্যাঁ বোধক হয় তবে মানসিকরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ।

যা মনে রাখবেন :
অন্যান্য শারিরীক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ চিকিৎসার মাধ্যমে যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ঠিক তেমনি এই ওসিডি রোগটিও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। এইসব আচরণসমূহকে ¯স্বাভাবিক না ভেবে কমিয়ে আানতে চেষ্টা করুন। সচেতন হন। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আর করোনা হচ্ছে সাময়িক ভাইরাসজনিতরোগ। বিশ্ববাসী এখন ভ্যাকসিনের আশায় দিন গুণছে। সার্স,মার্স,প্লেগ,কলেরা ,গুটিবসন্ত যেমন মহামারী আকার ধারণ করেছিল এটাও তেমনি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অনেক বেশী ছোয়াচে। এর প্রভাব কতদিন থাকবে বলা যাচ্ছে না। কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন কমাতে, মানুষের মৃত্যুর আশংকা কমাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। সচেতন হোন । নিজে এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখুন।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়