Ameen Qudir

Published:
2020-02-17 01:14:38 BdST

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিয়ে আজকে অনেক শিশু ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছে


বিএসএমএমইউ সংবাদদাতা ও বিজ্ঞপ্তি
_____________________

বিএসএমএমইউয়ের শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। এটি ছোঁয়াচে কোনও রোগ নয়। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিয়ে আজকে অনেক শিশু ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমাদের জন্য আজকের দিনটি একটি মহৎ দিন। দিবসটির তাৎপর্য হচ্ছে মানুষের মধ্যে শিশু ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। সবাইকে জানানো যে, শিশু ক্যান্সার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। নিয়মিত চিকিৎসা নিলে এ থেকে মুক্তি সম্ভব। যার প্রমান হলো আজকের এই শিশুরা।

তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যমনি হলেন যারা ক্যান্সারের সাথে নিরলস যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছেন এবং যারা এই যুদ্ধে জয়ী হতে সহযোগিতা (অভিভাবক) করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে, বাংলাদেশে শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য। আমরা অনেকেই মনে করি ক্যান্সার ভালো হওয়ার নয়, কিন্তু আমরা বারবার বলে আসছি চাইল্ডহুড ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। তবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, আমাদের হয়তো স্থান সংকুলন হয় না, প্রয়োজনীয় ওষুধ আমরা পর্যাপ্ত পাই না -এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে আমরা আরও ব্যাপাকভাবে কাজ করতে পারবো।
১৫ ফেব্রুয়ারি২০২০ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় :বিএসএমএমইউ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবণতা ব্লাড ক্যান্সারের, এর পরে রয়েছে ব্রেন টিউমার, বোন টিউমার ইত্যাদি। ২০১২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনকৃত শিশু ক্যান্সার রোগীর অধিকাংশ এখনও এ বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশার বিষয় শিশু ক্যান্সারের ৭৫ শতাংশ নিরাময় করা সম্ভব।

বক্তারা আরও বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের ৯০ শতাংশই মারা যেত। একই সময়ে উন্নত রাষ্ট্রে ক্যান্সারে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ শিশুই চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১২ সালের আগে দেশে কি সংখ্যক ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু রয়েছে তার কোন তথ্য ছিল না। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে আমেরিকা ও কানাডা ইউনিভার্সিটি কলেজ হাসপাতালের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিভাগ চালু হয়। সেই থেকে ওই দুই কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স নানা সময়ে বাংলাদেশে এসে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই আক্রান্ত হয় শতকরা ৮০ ভাগ। এখানে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার মাত্র ৫ ভাগ। অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলোয় এই হার শতকরা ৮০ ভাগ।
সংস্থাটির তথ্য মতে, বর্তমানে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লাখ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু রয়েছে। ২০০৫ সালেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সচেতন না হলে ২০৩০ সালে এ হার দাঁড়াবে ১৩ শতাংশে।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়