Ameen Qudir

Published:
2016-12-06 00:15:06 BdST

ফেসবুকে আত্মহত্যার ঘোষনা : অত:পর...




ডাক্তার প্রতিদিন

_______________________________

এভাবে চলে যাওয়া ঠিক নয়। এভাবে হার মানাও ঠিক নয়। মনোবল হারাতে নেই। কিন্তু এই কিশোরী কিছুতেই ধরেরাখতে পারে নি তার মনের শক্তি।
শোকে বাকরুদ্ধ কিশোরী ছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত কিশোর প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শোকে কার্যত পাথরই হয়ে গিয়েছেন দীপ্তিমান এবং তাঁর স্ত্রী শম্পা । দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে শনিবার রাতে তাঁরা গিয়েছিলেন স্থানীয় গির্জাপাড়ায়। আচমকাই ছোট মেয়ের ফোনটা এসেছিল। ছোট্ট মেয়ের কাতর আকুতি, ‘মা, দিদি দরজা খুলছে না। ভিতর থেকে বন্ধ করে রেখেছে। দরজা ধাক্কালেও সাড়া দিচ্ছে না।’ মনে যেন কু ডেকেছিল দীপ্তিমান ও শম্পার। ১৬ বছরের বড় মেয়ে অরুণার সারাক্ষণ ফেসবুকে পড়ে থাকা খুব একটা পছন্দ ছিল না শম্পার। বাবা দীপ্তিমান বাড়িতে না থাকলেই ফেসবুক নিয়ে বসে পড়ত। এই নিয়ে মেয়েকে বার কয়েকবার বকেওছিলেন শম্পা। কিন্তু, তাঁরা তখনও জানতেন না, ফেসবুকে কী কাণ্ড ঘটিয়ে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছে অরুণা।

গার্লস স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল অরুণা।

 

অরুণার ঝুলন্ত দেহের সামনেই বিছানার উপর থাকা ল্যাপটপে খোলা ছিল ফেসবুক পেজ। দেখা যায়, মৃত্যুর আগে নিজের আত্মহত্যার খবর ফেসবুকে বন্ধুদের গ্রুপে জানিয়েছিল অরুণা। তার পোস্ট করা মেসেজে লেখাছিল, ‘গুডবাই অল, ভাল থাকিস তোরা।’ সেইসঙ্গে দেখা যায় বন্ধুদের গ্রুপেই এক কিশোরের কথা লিখেছে অরুণা। ওই কিশোর তাকে কী পরিমাণ মানসিক কষ্ট দিয়েছে তাও বন্ধুদের গ্রুপে শনিবার সন্ধ্যায় লিখেছিল অরুণা। ওই লেখার সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে, পাশের স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অরুণার। কিন্তু, সম্প্রতি ওই কিশোর প্রেমিক অরুণাকে এড়িয়ে চলছিল। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলছিল। শনিবার সন্ধ্যাতেও অরুণা এবং তার কিশোর প্রেমিকের সাক্ষাৎ হয়। কিন্তু, সেখানেও দু’জনে ঝগড়া করে।

এর পরইে বাড়ি ফিরে অরুণা ফেসবুকে বন্ধুদের গ্রুপে তার কষ্টের কথা শেয়ার করে আত্মহত্যার করার কথা ঘোষণা করেছিল।

মনোবিদদের বক্তব্য ______________

 

এ বিষয়ে মনোবিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন বলেন,
কিশোর বয়সটা বড়ই ঝুঁকির। এই সময়টায় সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া উচিত পিতা মাতার। এই সময় মনোগঠন হয়। পারসোনালিটি প্যাটার্ন গড়ে ওঠে। এই সময় অভিভাবকরা যত বেশী সময় দেবেন, তত বেশী সন্তান উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন , ফেসবুক এখন অনেক ক্ষেত্রেই আসক্তি। কোন কোন ক্ষেত্রে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের সচেতনতা দরকার।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়