Ameen Qudir
Published:2018-02-18 18:45:52 BdST
বিএসএমএমইউর সমাবর্তনে ৭ দেশবরেন্য চিকিৎসক সম্মানসূচক পিএইচডি পাচ্ছেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ । ফাইল ছবি।
ডাক্তার প্রতিদিন
_____________________
এখন সমাবর্তন উৎসবের অপেক্ষা। নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লক সংলগ্ন মাঠেসমাবর্তন হবে।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের ডা. মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলনে জানান হয় বিস্তারিত ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তৃতীয় সমাবর্তনে স্বনামধন্য দেশবরেন্য সাত জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও গুণী চিকিৎসককে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমান, প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, শিশু বিশেষজ্ঞ ও ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুল আনোয়ার, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অর্থোডনটিকস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আফজালুন নেছা।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান জানান, দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
১ হাজার ২০২ জন উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসক সমাবর্তনে অংশ নিয়ে তাদের সনদ গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে মেডিসিন অনুষদ থেকে ৩৪১ জন, সার্জারি অনুষদ থেকে ৩৮৮ জন, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদে ২৪১ জন, ডেন্টাল অনুষদে ৫০ জন, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদে ১৪০ জন উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসক এবং নার্সিং অনুষদে ৪২ জন ডিগ্রিধারী নার্স সনদ গ্রহণ করবেন। ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০১ জন ছাত্র এবং ৬০১ জন ছাত্রী রয়েছে। সনদ অর্জনকারীদের মধ্য থেকে ছয়টি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ছয়জনকে স্বর্ণ পদক প্রদান করা হবে।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৪২টি অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর কোর্সের সংখ্যা ৯৫টি। এর মধ্যে রেসিডেন্সি ৬২টি, নন রেসিডেন্সি ৩০টি, বিএসসি নার্সিং একটি এবং মাস্টার অব সায়েন্স ইন নার্সিং একটি এবং পিএইচডি একটি। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২ হাজার ২৭৪ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। এর মধ্যে রেসিডেন্সি শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১ হাজার ৯৯ জন এবং নন রেসিডেন্সি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হলো ১ হাজার ১৭৫ জন। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের অধীন ফেজ এ এবং ফেজ বি-তে ৪ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। ফেজ বি-তে পাশ করেছেন ৭৬৮ জন। নন রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের অধীনে ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ৬৯১ জন এবং পাশ করেছেন ৬ হাজার ৬৫১ জন। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ২৫১ জন ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষায় অধ্যায়নরত আছেন।
এবারে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন আইপিজিএমঅ্যান্ডআর (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) এর পরিচালক, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।
এবারের সমাবর্তন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে ইতোমধ্যে ১৬টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ প্রথম ও ২০১৫ সালে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আপনার মতামত দিন: