DESK

Published:
2024-08-28 10:35:22 BdST

মর্গ থেকে মর্মান্তিকহাতিরঝিলে নারী সাংবাদিকের করুণ মৃত্যু: যা জানা গেল


ডেস্ক
_________________

রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে রাহানুমা সারাহ (৩২) নামে এক নারী সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি-টিভির সাংবাদিক ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে   তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

  তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে।


রাহানুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া পথচারী সাগর জানান, আমরা রাতে হাতিরঝিলের পানিতে এক নারীর দেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই। এরপর তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান মেয়েটি আর বেঁচে নেই।
পরে আইডি কার্ড দিয়ে তাকে শনাক্ত করা হয় প্রাথমিকভাবে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাহানুমার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট থানাকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।তার কাছ থেকে অফিসের আইডি কার্ড পাওয়া যায়। সেখান থেকে তার পরিচয় পাওয়া যায়।

সারাহর বাসা কল্যাণপুরে। তিনি নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে।

রাহানুমা সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর পূর্বে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও হয়নি তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।

ওদিকে আরেক খবরে জানা যায় , মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন রাহানুমা। তাতে ফাহিম নামে তার এক বন্ধুকে ট্যাগ করে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন।

এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন,
"তোমার মতো বন্ধু থাকা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। আশাকরি খুব শিগগিরই তোমার স্বপ্ন পূরণ করবে। আমি জানি, আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। দুঃখের বিষয় হলো পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলাম না। আল্লাহ তোমার জীবনের সব আশা বাস্তবায়ন করুন।"

শেষে তিনি দুটি ভালোবাসার ইমোজি জুড়ে দেন।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়