Dr. Aminul Islam

Published:
2022-05-14 23:29:36 BdST

কার-বাস সংঘর্ষে স্ত্রী,ছেলে এবং ড্রাইভারসহ মারা গেছেন বারডেম হাসপাতালের ডা.বাসুদেব সাহা


 


সংবাদ দাতা
_____________
নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জ পৌঁছার আধা ঘন্টা পূর্বে মহাসড়কে নিজস্ব কার এবং বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্ত্রী, ছেলে এবং ড্রাইভার সহ ঘটনাস্থলে মারা গেছেন বারডেম হাসপাতালের ডা.বাসুদেব সাহা। অকালে মর্মান্তিক ট্রাজেডিতে চলে গেলেন অনন্ত লোকে। বাড়িতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সান্নিধ্য লাভ আর হলো না। পুরো গোপালগঞ্জ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গভীর শোক।
বারডেম হাসপাতালের ডা.বাসুদেব সাহা( সিএমসি৩১) এর অকাল প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছেন ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন। তিনি শোক এপিটাফ এ বলেন, ডা বাসুদেব সময়ের উজ্জ্বল মেধাবী চিকিৎসক ছিলেন। সপরিবারে এই মৃত্যু অপ্রত্যাশিত মর্মান্তিক ট্রাজেডি। রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হল তাঁর মৃত্যুতে। এই মৃত্যুর মিছিল রুখতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। মানুষকে দিতে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।

 ডা বাসুদেব এর পরিবারের একমাত্র কন্যা শর্মিলা  জীবিত রয়েছেন।  স্যার সলিমুল্লা  মেডিকেল কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী এই বাসুদেব কন্যা। গভীর শোকে মোহ্যমান তিনি। ২২ মে তার ফাইনাল প্রফেশনাল। তাই সে বাবা মা ভাইয়ের সফরসঙ্গী হয় নি। ব্যাস্ত ছিল  পড়াশোনা নিয়ে।

এই করুণ বাস্তবতা এখন চরম অকল্পনীয় ট্রাজেডি র মুখোমুখি করেছে বাসু-কন্যা শর্মিলা সাহাকে।

বিএসএমএমইউ র সহযোগী অধ্যাপক ডা অাহসান হাবিব জানান,

বাসুদেব সাহা।

পেশায় চিকিৎসক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩১ তম ব‍্যাচের ছাত্র ছিলো। এনেসথেসিয়া বিভাগে কাজ করতো, বারডেম হাসপাতালে। নীচের ছবিটি সে নিজে পোষ্ট করেছিলো মাত্র সাড়ে চার ঘন্টা আগে। নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে ফেরিতে বসে।

আর বাড়ি যাওয়া হলো না। গোপালগঞ্জ পৌঁছার আধা ঘন্টা পূর্বে মহাসড়কে তার প্রাইভেট কার এবং বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্ত্রী, ছেলে এবং ড্রাইভার সহ চারজনেই স্পট ডেথ.....

এ ধরণের মৃত‍্যুর শেষ কোথায়।

আমি/আমরা জানিনা....????

 

 


এক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তিন দম্পতির প্রাণ শিরোনামে
প্রতিনিধিগোপালগঞ্জ পাঠানো রিপোর্টে প্রথম অালো জানায়,
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বেরিয়েছিলেন এক দম্পতি। কাজ শেষে নববিবাহিত এক দম্পতি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। আরেক দম্পতি ব্যস্ত ছিলেন সড়কের পাশে ধানমাড়াইয়ে। হঠাৎ এক দুর্ঘটনা একসঙ্গে কেড়ে নিল তাঁদের সবার প্রাণ।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তিগত গাড়িটির চালকও মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহত মানুষের সংখ্যা হয়েছে আট।


মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন—ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ও গোপালগঞ্জ শহরের বটতলা এলাকার প্রফুল্ল কুমার সাহার ছেলে বাসুদেব কুমার সাহা (৫২), তাঁর স্ত্রী শিবানী সাহা (৪৮) ও ছেলে আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্নিল সাহা (১৯)। চিকিৎসক বাসুদেব সাহার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক আজিজুর ইসলামও (৪৪) নিহত হয়েছেন।

নিহত বাকি চারজন হলেন কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের পেয়ার আলী মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৪৮), তাঁর স্ত্রী রুমা বেগম (৪০), একই গ্রামের জিন্দার ফকিরের ছেলে অনীক বাবু (২৮) ও অনীকের নববিবাহিত স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১৯)। ফিরোজ ও রুমা সড়কে ধানমাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। অনীক ও ইয়াসমিন মোটরসাইকেলে কাশিয়ানী থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন।

 

আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাজিব পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ব্যক্তিগত গাড়ি ও কাশিয়ানী থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে ব্যক্তিগত গাড়িটি সড়কের পাশে ধানমাড়াইরত মেশিনের ওপর গিয়ে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের তিনজন, ধানমাড়াইরত স্বামী-স্ত্রীসহ আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন।

 

খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান, গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও মহাসিন উদ্দিনসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়