AMIN QUADIR

Published:
2021-01-21 17:51:07 BdST

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের একমাত্র সন্তানের


ডেস্ক 

______________

প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খানের মেয়ে ম্যান্ডি করিম এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন তাকে সুকৌশলে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার। তিনি বলেন,

ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি যে বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই একটি চক্র আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে। আমি চিন্তাও করতে পারিনি, ডাক্তার এম আর খানের সহায় সম্পত্তিকে গ্রাস করবে। আমি বাবার একমাত্র সন্তান এবং কন্যাসন্তান। আমার কোনো ভাই নেই। সেই আমাকেই কেউ আমার ন্যায্য উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খানের মেয়ে ম্যান্ডি করিম।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি’ এবং ‘সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের অভিযোগে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ম্যান্ডি করিমের স্বামী রেজা করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান  ছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বরেণ্য  নাট্যকার মামুনুর রশীদ।

ম্যান্ডি করিম বলেন, বাবার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমার পাওনা শেয়ার, উত্তরাধিকার এবং ট্রাস্টি পদ থেকে আমাকে কৌশলে সরিয়ে রাখা ও বঞ্চিত করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমার কোনো অধিকার নেই, আমি এম আর খানের কেউ নই। আমার বাবা প্রয়াত অধ্যাপক এম আর খানকে ভালোবেসে এবং তাঁর ওপর ভরসা করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার নাম “সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি”।

ম্যান্ডি করিম বলেন, আমার বাবা যখন হাসপাতালে মৃত্যুপথযাত্রী, তখন গাজী  নামের এক ব্যক্তি চক্রান্ত ও জালিয়াতি করে ইউনিভার্সিটির সকল প্রকার রেজুলেশন, ডকুমেন্টস এবং ট্রাস্টি বোর্ডের তালিকা থেকে আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে দেন। আমার বাবা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনি এ কাজ করেন। আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে নিজেকে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েদের সমন্বয়ে একটি ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেন।

ম্যান্ডি করিম অভিযোগ করেন, ‘আমার বাবার অসুস্থতার সুযোগে তাঁর জমানো এফডিআরের টাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির নামে আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকে জমা দেন গাজী । এসবের বিষয়ে আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য কিছুই জানতাম না। আমি অবগত হওয়ার পর একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিকে জানাই। এবং আমার বাবার অনুপস্থিতিতে আমাকে চেয়ারম্যান করে নতুন একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের অনুরোধ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়