Dr. Aminul Islam
Published:2020-10-30 00:55:07 BdST
ওটি বয় অস্ত্রোপচার করছিল: মাধ্যমিক পাস আবুল অধ্যাপক পরিচয়ে রোগী দেখত
ডেস্ক
____________________
নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতালের ওটি বয় জাহাঙ্গীর হোসেন পঞ্চম শ্রেণি পাস। কিন্তু তিনি রোগীর অস্ত্রোপচার করছিলেন। এই হাসপাতালসহ এলাকার অন্য হাসপাতালে রোগী সরবরাহ করতেন দালালনেতা বাবুল হোসেন। তাঁদের দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেন মাধ্যমিক পাস। কিন্তু তিনি অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করতেন। তাঁকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব চিত্র ও তথ্য ধরা পড়েছে খোদ ঢাকার মহম্মদপুরের ক্লিনিকে। ধরেছেন ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু ।
অপচিকিৎসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অভিযান চলে। অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও র্যাব-২-এর একটি দল অংশ নেয়।
র্যাব সূত্র জানায়, হাসপাতাল তিনটি হলো মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নুরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড। হাসপাতাল তিনটির মধ্যে মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল ও নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব সূত্র জানায়, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নূরুন নবীকে এক বছর, ওটি বয় আনোয়ার হোসেনকে ছয় মাস ও আবদুর রশীদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতালের ওটি বয় জাহাঙ্গীর হোসেনকে দুই ও দালালনেতা বাবুল হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু প্রথম আলোকে বলেন, মক্কা মদিনা হাসপাতালে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারকক্ষের (ওটি) বয় দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। এর দায়ে মালিক নূরুন নবী, ওটি বয় আনোয়ার হোসেন ও আবদুর রশীদকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে নামসর্বস্ব ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়া জটিল অস্ত্রোপচার, অপচিকিৎসায় রোগীদের মারাত্মক ক্ষতিসহ প্রাণহানি, রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিল আদায়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রভৃতি। এ ছাড়া জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের ভাগিয়ে একটি দালাল চক্র বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগ পেয়ে ওই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
আপনার মতামত দিন: