Ameen Qudir

Published:
2020-04-05 14:50:58 BdST

ময়মনসিংহ মেডিকেলের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দেশের কোথাও ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন না!


 

ডেস্ক
____________________

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এম-৫২ ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বাংলাদেশের কোন সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বা ইন্টার্ন স্বাস্থ্য বিদ্যাপীঠে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের অব্যবস্থাপূর্ণ পরিবেশে তারা
আপাতত: ইন্টার্নশিপে যোগ না দেয়ায় কথা বলেছিলেন। তাদের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ তার ফেসবুক পেজে এক বিস্তারিত লেখায়  এ তথ্য ও এ নিয়ে আত্মকৈফিয়ত  তুলে ধরেন।
নিচে সেই লেখার পুরোটা প্রকাশ হল।

#জরুরি_বার্তা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ----------------
আমি এখনও ছুটিতে।আমার বর্তমানে বা অবর্তমানে যে চিঠি বা নোটিশ দেয়া হয় তার সম্পুর্ন দায় আমার।

শব্দ চয়নে ভুল বা কাঠিন্য অনেক সময় পরিস্থিতির বিবেচনায় বাড়াবাড়ি মনে হয় এবং এতে অনেকেই আঘাত প্রাপ্ত হয়ে যায়।

সম্প্রতি সদ্য পাশ করা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ কৃত এম ৫২ ব্যাচের ডাক্তারদের ২৫ মার্চ জয়েন করার জন্য সকল কাগজপত্র নিয়ে রিপোর্টে করার কথা ছিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আমি অসুস্থতার মধ্যে যেয়ে ১ লা এপ্রিল অফিসে যেয়ে জানতে পারি ইন্টার্ন রা জয়েন করে নি। কেন করে নি চীফ ইনটারন কোর্ডিনেটর আমাকে বা প্রশাসনের কাউকে জানায় নি।কেন যোগদান করেনি প্রশাসনের কেউ আমাকে বলতে পারি নি।

যোগদানের চিঠির ব্যাপারে আমাকে জানান হয় নি। ব্যাক্তিগত ভাবে সদ্য পাশ কৃত একজন চিকিৎসক যোগ দান করেছেন বলে আমাকে ইমেইল করেন।

এদিকে নির্দেশনা আছে সবাই যেন কর্মস্থলে থাকে। আমরা প্রশাসন একটা ভারসাম্য মুলুক অবস্থা বজায় রেখে হাসপাতাল চালাই।

আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো। সেখানে জেলা প্রশাসন,ডিজিএফ আই,আাইন শৃংখলা বাহিনী, এন এস আই সবাকেই বর্তমান পরিস্থিতে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে।শুধু স্বমন্বয়ের জন্য।

আমার প্রতিষ্ঠানের আমার বর্তমানে বা অবর্তমানে সব চিঠি বা দালিলিক যোগাযোগ এ শব্দ চয়নে কেউ আঘাত পেলে ব্যাক্তিগত বিশ্বাস ও আল্লাহ ভীরু মানুষ হিসেবে সব দায় আমার।

ক্ষমা ও বিনয় আল্লাহর কাছে প্রিয়। এম -৫২ ব্যচের সদ্য পাশ কৃত ডাক্তার দের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী আমার প্রশাসনিক অফিসের সকল ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যা সংগঠিত হয়েছে আমার জ্ঞাত সারে বা অজ্ঞাত সারে।আমি সকল দায় মাথা পেতে নিচ্ছি।

কিন্তু তোমাদের দায়িত্ব ছিল এস এম এস,টেলিফোনে বা ই মেইলে ব্যাক্তিগত ভাবে আমাকে বা অফিস কে জানানো তোমাদের সমস্যাগুলো।

আমি এ ৪ বছর ৫ মাসে সাধ্যের মধ্যে হাসপাতালের সকল কল্যান ও নিরাপত্তা সবার নিশ্চিত করেছি।

যে সকল সন্মানিত ডাক্তার রা খাবার খেতে হোটেল পাচ্ছেন না তাদের খাবার,পেশাগত নিরাপত্তা নিজে অনেক কষ্ট করে নিশ্চিত করার সম্ভব সাধ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা করছি।যদিও আমি অসুস্থতা নিয়েই ময়মনসিংহ এ অবস্থান করছি পরিস্থিতির বিবেচনায়।

মন্তব্য বা কমেন্ট করার অধিকার সবার আছে। শালীনতা কাম্য।কারন আমরা ডাক্তার। পৃথিবীর থ্যানকলেন্স পেশার একটা। আরো দুটি পেশা আছে পরিচ্ছন কর্মীর পেশা এবং দিন মজুরের পেশা।

করোন ভাইরাল ডিজিজের জন্য দেশের এ সংকট ময় পরিস্থিতিতে নবীন ডাক্তারদের সাহায্য হাস্পাতালের প্রয়োজন। তোমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠাতে হবে তোমাদের নিরাপত্তা ও রোগীর নিরাপত্তার জন্য।

আমি বিনয়ী কিন্তু দুর্বল মানসিকতার নই।অবশ্যই আল্লাহ বিনয়ী বান্দাকে তাঁর নৈকট্য দান করেবন।আমিন। তোমাদের হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে আমি হয়তো আর অল্পকিছু দিন থাকব।দোয়া প্রার্থী।

বিনীত
পরিচালক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল

 

এ বিষয়ে একটি পত্র তুলে ধরে ডা: ফারজানা আরজুমান্দ ডাক্তার গ্রুপ প্লাটফর্মে লেখেন , ইন্টার্ণদের service তো রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় নয়। তারা শিক্ষানবীশ। শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। যদি রোগীর সেবা দিতে সমস্যা হয় তবে ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে। হাজার হাজার ডাক্তার বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। এভাবে দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে ভালই হয়েছে।

আমজনতার মতো ট্যাক্সের হিসাবটা না আসলেই ভাল হতো। ট্যাক্সের টাকায় শুধু ডাক্তাররাই পড়ে না, সবাই পড়ে। কেউই তার দাদার স্কুলে, নানার কলেজে কিংবা চাচার ভার্সিটিতে পড়ে না।

যে ক্যাডারে এমন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন, তাদের অবদমিত বা নিগৃহীত বা অপদস্থ বা হেয় করার জন্য অন্য ক্যাডারের তো প্রয়োজন নেই।

ডা: ফারজানা আরজুমান্দ
 

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়