Ameen Qudir

Published:
2017-02-23 19:50:06 BdST

বগুড়া মেডিকেল : রোগীর ছেলেই প্রথম ডা. আসিফের কলার ধরে : গাল দেয়


ডাক্তার প্রতিদিন
_______________________

বগুড়া জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী ইনটার্ন ডাক্তারকে ঈভটিজিংএর পাশাপাশি ইনটার্ন ডাক্তার আসিফের কলার প্রথম টেনে ধরে হুমকি ধমকি দিয়েছিল রোগীর কথিত ছেলে । মন্ত্রীর নামেও সে ভয় ভীতি দেখায়। যার ফলে পরিস্থিতির বেশ অবনতি ঘটে। কান ধরে উঠবস মিডিয়ার বানানো। এর আগে ব্যাপক ধরপাকড়ের কবলে বগুড়ার সাংবাদিকদের ক্লিনিক বন্ধ হলে সেটির শোধ তোলঅ হয় বলে অনেকের ধারনা।

এর আগে একজন নীতিবান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ম্যাজিস্ট্রেট ডাক্তারকে বগুড়ার কতিপয় হলুদ সাংবাদিক জামাতশিবির রাজাকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে একাধিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশ করে। ওই ম্যাজিস্ট্রেটের দোষ , তিনি অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছেন।

বগুড়া মেডিকেলের ডাক্তার ঈভটিজিং বনাম মিডিয়া কথিত রোগীর আত্মীয় নিগ্রহের বিতর্কে আমরা একটি প্রত্যক্ষ দর্শী বিবরণ পেলাম


ইরফানুর রহমান রাফিনের লেখায়। সেটা পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হল।
""" পত্রিকা 'প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান' এই সূত্র দিয়ে একটা আস্ত রিপোর্ট করে ফেললেও ঘটনার ব্যাপারে ইন্টার্নি ডাক্তারদের ভাষ্য জানার কোনো প্রয়োজনই বোধ করে নি। অথচ সাংবাদিকতার নৈতিকতা অনুযায়ী ঘটনার দুই পক্ষের বয়ানই হাজির করা উচিত ছিল তাঁদের। তাঁরা হাজির করেছে শুধু রোগীর ছেলের বয়ান, এবং এই লেখার একেবারে শেষে আমরা দেখবো, রোগীর ছেলের পক্ষের ভালো 'রাজনৈতিক যোগাযোগ' আছে।
ইন্টার্নি ডাক্তারদের বয়ানটাও মনে হয় জানা উচিত।

 

 


আমি অন্তত একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছি। বনানী বিশ্বাস-এর সাথে। সে ঘটনার সাক্ষী, কারণ সেও ওই মেডিকেল কলেজের একজন ইন্টার্নি ডাক্তার, এবং ঘটনা ঘটেছে তার চোখের সামনে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, যা ঘটেছে, তা এইটাঃ
গত শনিবার রাতে রোগী ভর্তি হন এবং স্ট্রোক করায় তাঁর ব্রেইনে ব্লিডিংও হচ্ছিল। রোগীর কন্ডিশন শুরু থেকেই খুব খারাপ ছিল। ঘটনার দিন সকালবেলা বনানীদের বড়ো স্যার সেই রোগীর ছেলেকে ঠিকমতন কাউন্সেলিং করেও রেখেছিলেন।

 


দুপুরের দিকে বনানীরা অই রুমে উপস্থিত ছিল। তখন রোগীর ছেলে বনানীর বান্ধবীকে বলেন, "সিস্টার, এইখানে ফ্যানের সুইচ কোনটা, একটু দিয়া দেন।" বনানীর বান্ধবী তাঁকে বলেন, "ফ্যানের সুইচ কোনটা আমি জানি না। আপনি একজন নার্সরে ডেকে জিজ্ঞেস করেন। আমি ডাক্তার, সিস্টার না।" তখন রোগীর ছেলে বনানীর বান্ধবীর দিকে আঙুল তুলে বলেন, "আপনারা এই হসপিটালের, আপনারা জানবেন না তো কি আমরা জানবো?" তখন বনানীর বান্ধবী বলেন, "আপনি আমার সাথে এভাবে আঙুল উঁচু করে কথা বলছেন কেনো?"
কথোপকথনের সময় বনানী আর তার বন্ধু আসিফ তখন পাশের বেডের এক রোগীর ফুসফুস থেকে পানি বের করছিলো। আসিফ এগিয়ে গিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই রোগীর ছেলেকে বলেন, "আপনি এভাবে কথা বলছেন কেনো?" তখন দুই-এক কথার ভিতরে হঠাৎ করে সেই লোক আসিফের শার্টের কলার টেনে ধরেন।

 


এরপর দুজনের ভেতরে হাতাহাতির একটা ঘটনা ঘটেছে। আসিফের বন্ধুরা যারা ছিলেন, বন্ধুদের অপমানে রোগীর ছেলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে, কিলঘুষি দিয়েছেন। কিন্তু একটা রুমে নিয়ে গিয়ে মারধোর করা বা কানে ধরে একশ বার উঠবোস করানোর কথাগুলো পুরোপুরি মিথ্যা।
মেডিকেল কলেজের ডিরেক্টর এবং অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টররা চলে আসায় হাতাহাতির ঘটনার ওখানেই পরিসমাপ্তি ঘটে। পুলিশ খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। রোগীর ছেলেকে ডিরেক্টর স্যারের রুমে নিয়ে যায়।
বনানীরা ডিরেক্টর রুমে যায় এর কিছুক্ষণ পরে।
তাঁরা যখন ডিরেক্টরের সাথে কথা বলছিলেন, তখন হঠাৎ দুইজন মহিলা এসে রুমে ঢোকেন, এবং বলতে থাকেন, "আমরা মন্ত্রীর এলাকার লোক, সবগুলাকে দেখে নেবো।"
কোন মন্ত্রী আমি এটা জিজ্ঞেস করেছিলাম বনানীকে। সে বললো স্বাস্থ্যমন্ত্রী; মোহাম্মদ নাসিম এমপি।""""

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়