Ameen Qudir

Published:
2018-10-03 21:59:21 BdST

স্থানীয় গুন্ডামি ও চাঁদাবাজি দমন প্রশাসনই মিরপুর ডেন্টালের সমাধান


 


 
ডা.সুকোমল সাহা
______________________


দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি ডেন্টাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ডেন্টাল কলেজ। সেখানে লাগাতার অচলাবস্থা চলছে। মূল সমস্যা শিক্ষার্থীরা চায় চাঁদাবাজ মুক্ত শিক্ষার পরিবেশ। বদলির আদেশ পাওয়া অধ্যক্ষ ডা. ব্যাপারী স্যার সেটা নিশ্চিত করেছেন। সেটাই কাল হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অনড়। তারা চাদাবাজি , গুন্ডামি, সন্ত্রা স সইবে না। অনেকদিন ধরে মূল ভবনের গেট অবরুদ্ধ রয়েছে এবং ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে। তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে মিছিল দিচ্ছে।
এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও স্বাচিপ বনাম চাঁদাবাজ , গুন্ডা পার্টি লড়াই চলছে। চাঁদাবাজরাও সরকারি দলের প্রশ্রয়পুষ্ট স্থানীয় সন্ত্রাসী।


রাজধানীর মিরপুরের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিগত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে কলেজটিতে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলেও তাকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিদায়ী অধ্যক্ষর পক্ষে। কারণ তিনি স্থানীয় চাদাবাজদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করেছেন।

০১ অক্টোবর থেকে কলেজের মূল ফটকে ও ভবনের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি আগের অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ০২ অক্টোবর একইভাবে চলছে তাদের বিক্ষোভ।

মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা ডেন্টাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ (চ. দ.) ডা. আবুল কালাম বেপারীকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদফতরে নেওয়া হয়। এর নয়দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ডেন্টাল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবিরকে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে তাকে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট ও কলেজ শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির ২৬ তারিখ সকালে ডেন্টাল কলেজে যোগদান করতে গেলে তাকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে রাখা হয়।

এ অবস্থায় অধ্যাপক হুমায়ুন কবির নিজ কার্যালয়ে না বসেই কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নোটিস দেন। এর নির্দেশনা অনুসারে কলেজে ক্লাস শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষক। কিন্তু ক্লাস থেকে ওই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বের করে দেন বিক্ষুব্ধরা।

এ হল অচলাবস্থার ইতিহাস। কেন এটা হয়েছে, সেটা সবারই জানা। নতুন অধ্যক্ষ স্যার দক্ষতার পরিচয় দেবেন , সেটা নিশ্চিত। কিন্তু বিদায়ী ব্যাপারী স্যার কাজে কর্মে প্রমাণ করেছেন , তিনি সুদক্ষ। এই কলেজ মিরপুরে সব সরকারের আমলে স্থানীয় মাস্তান পার্টির ( যে সময় যে সরকার , সেরকারের প্রশ্রয়পুষ্ট) নানা হামলা , চাদাবাজি , গুন্ডামি অপকর্মের অভয়ারণ্য। তা থেকে মুক্ত করেন ব্যাপারি স্যার। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পরিক্ষিত সৈনিক। সরকার দলের চিকিৎসক নেতা বলেই সবাই জানি।
তিনি যে কর্মনৈপূণ্য দেখিয়েছেন, সেটা অতীতে কোন সরকারের আমলে হয় নি। ডা. ব্যাপারি যেটা পেরেছেন, সেটা ডা. হুমায়ুনও পারবেন আশা করি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা চায় গ্যারান্টি। 
সমস্যা ব্যাপারী স্যার বা হুমায়ুন স্যার অধ্যক্ষ কিনা , সেটা নয়। শিক্ষার্থীরা স্থানীয় গুন্ডামি ও সকল কাজে চাদাবাজ দের দমন করতে পারবে এমন প্রশাসন চায়।।

__________________________

ডা.সুকোমল সাহা । সুলেখক।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়