Ameen Qudir

Published:
2018-04-02 03:09:47 BdST

রাষ্ট্রপতি বললেন এক শ্রেণীর চিকিৎসক: মিডিয়া সব চিকিৎসকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিল


ডা. আইনুল হক সুজন
__________________________
মিডিয়া শুধরাবে বলে মনে হয় না। এরাই নানারকম বিভ্রান্তিকর খবর , বানোয়াট খবর বানিয়ে সাধারণ অসচেতন মানুষকে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছে। তিলকে এরা তাল করছে।
কদিন আগে এক প্রসূতির গর্ভস্থ মৃত ভ্রুণ অপরারেশনকে মিডিয়া নবজাতকের মস্তক কর্তণের মত মূর্খ নির্বোধ ও অশিক্ষিত অপপ্রচার চালিয়ে সারাদেশের চিকিৎসক সমাজের হাসির পাত্র হয়েছে।
এই মিডিয়া কর্মীরা জানেই না, কিভাবে মৃত ভ্রুণ অপারেশন করে প্রসূতি মাকে রক্ষা করতে হয়। কত কষ্ট করে মায়ের জীবন বাঁচায় ডাক্তাররা। সেসব না জেনে মস্তক কর্তণের মত অসাধু ও দেশবিরোধী প্রচার চালিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে এক শ্রেনীর মিডিয়াকর্মী। সব মিডিয়াকর্মী বা সাংবাদিক এরকম নন। তাদের মধ্যেও শিক্ষিত লোকবল আছেন। জ্ঞানী সাংবাদিক আছেন। কিন্তু কবিরাজ, ওঝা , কোয়াক টাইপ সাংবাদিক দেশে বেড়েই চলেছে।
তার আরেকটি প্রমান মিলল, সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সুগঠিত বক্তব্যর পরও সেটাকে বিকৃত হেডিং করে প্রকাশ করেছে অনেক মিডিয়া। এপিবি সম্মেলনে
রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ বিনা প্রয়োজনে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য রোগীদের ব্যবস্থাপত্র না দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এক শ্রেণির চিকিৎসক বিনা প্রয়োজনে রোগীদের মেডিকেল টেস্ট করাতে দেন।

রাষ্ট্রপতি শনিবার বিকেলে নগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চিকিৎসক সমিতি (এপিবি) আয়োজিত ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা পেশাকে একটি মহৎ পেশা হিসেবে উল্লেখ করে যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা ও পেশার মান নিশ্চিত করতে মেডিকেল এথিক্স কোড মেনে চলতে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অনেক রোগী বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপ্রয়োজনীয় টেস্টের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম নন।

রাষ্ট্রপতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরের উল্লেখ করে বলেন, কিছু কিছু ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, জনগণ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা অথবা তার চিকিৎসা অবহেলার শিকার হচ্ছে। এতে চিকিৎসকের এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্রের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির বক্তব্য গঠনমূলক। কিন্তু কোন কোন মিডিয়া তালগোল পাকিয়েছে। রাষ্ট্রপতি যেখানে একশ্রেনীর চিকিৎসক বা একশ্রেণীর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন।
মিডিয়া ঠিকই হেডিং করেছে সকল ডাক্তারকে দায়ী করেছে। ভাবখানা, একশ্রেণী নয়, দেশের সকল চিকিৎসক অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দেন আর টাকা কামান। রাষ্ট্রপতি আদৌ তা বলেন নি।
আমাদের একশ্রেণীর অসৎ এই সাংবাদিক দের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত প্রতিবাদ ছাড়া্ কোন গতি নেই।
ডা. সুলতানা অালগিন মেডামকে ধন্যবাদ । তিনি ডাক্তার প্রতিদিন নামে অনলাইন নিয়ে চিকিৎসক সমাজের আলোকবর্তিকা হিসেবে এগিয়ে এসেছেন। আমরা এই সদাজাগ্রত অনলাইনে চিকিৎসকরা এই অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে অামাদের মত তুলে ধরতে পারছি।
______________________________

ডা. আইনুল হক সুজন , ঢাকা।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়