Ameen Qudir
Published:2018-02-17 00:22:51 BdST
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের ঈভটিজিংএর শিকার রামেক ইন্টার্ন ডাক্তার
ডা. কামরুল হাসান সোহেল
_____________________________
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক অধ্যাপক অসভ্য আচরণ করেন।
ইনটার্ন চিকিৎসকের অপরাধ ছিল ; তার সঙ্গে ধাক্কা লাগায় উনাকে দেখে শুনে চলাফেরা করার জন্য অনুরোধ করে বলা।
রাবি অধ্যাপক রেগে গিয়ে বলেন,"ফাক ইউ ফাকিং গার্ল, ডু ইউ নো হু আই এম?" তার এই ধরণের আচরণে হতবাক হয়ে পরে ডাক্তার ।সে উনাকে তার এই অসভ্য আচরণের জন্য সরি বলতে বলেন। উনি সরি না বলে বারবার একই ধরণের বাজে কথা বলে যেতে থাকেন। তখন ইনটার্ন ডাক্তার ইচিপ এর সভাপতি ডাঃ কামাল হোসেন কে জানান।
তখন ইন্টার্নরা তাকে ইভটিজিং এর অভিযোগে ঘিরে ধরেন,তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি ক্ষমা চান নাই উল্টো একই সুরে কথা বলতে থাকেন,তখন সবাই মিলে তাকে কিছু উত্তম মধ্যম দেন।
তিনি উত্তম মধ্যম খেয়ে নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলে পরিচয় দেন। তখন সবাই তার সম্মানের কথা ভেবে তাকে আটক না করে ডিরেক্টর এর জিম্মায় ছেড়ে দেন। উনি তার মুঠোফোনে তার ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র শিক্ষকদের কাছে তার নিজের কৃত অপরাধের কথা লুকিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলেন। তাদের দিয়ে আন্দোলনের ডাক দেন, তারা রাস্তা অবরোধ করেন।
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যখন ইভটিজার হন তখন আমরা কি করে এই জাতিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব বলেন? যখন একজন ইভটিজারের পক্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলন করে তখন দেশে ইভটিজিং এর হার বেড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। একজন শিক্ষক যিনি তার ছাত্রদের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দিবেন তিনি নিজেই যদি অনৈতিক আচরণ করেন তাহলে তিনি কি শিক্ষা দিবেন তার ছাত্রছাত্রীদের?
#ইভটিজিং কে না বলুন
#ইভটিজারের শাস্তি চাই
#রা বি অধ্যাপকর শাস্তি_চাই
___________________________
ডা. কামরুল হাসান সোহেল
আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা
আপনার মতামত দিন: