Ameen Qudir
Published:2017-05-07 17:44:40 BdST
নব গঠিত মেডিকেল কলেজ গুলোতে না আছে জমি না আছে বিল্ডিং
ডা. শিরিন সাবিহা তন্বী
__________________________
নতুন যত গুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হয়েছে,,খুব কম সময়ের পার্থক্যে হয়ে যায় বিশাল কর্মযজ্ঞ।একই সাথে একাডেমিক ভবন,হোস্টেল,শিক্ষক ডরমেটরী এই সেই।ছাত্র ছাত্রী শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য নেয়া হয় পুলিশ প্রশাসনিক বলয়।
ব্রীজ পার হয়ে শিক্ষাঙ্গনে পৌছতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক গাড়ীকে কোন ভ্যাট দিতে হয় না।
আর নব গঠিত মেডিকেল কলেজ গুলোতে না আছে জমি না আছে বিল্ডিং।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার বলে কিছু নাই।
শিক্ষক সংকট।কারন শিক্ষকদের না আছে থাকার জায়গা,না আছে কোন ধরনের কোন সুযোগ সুবিধা।যেখানে শিক্ষক পর্যাপ্ত আছেন,তারাও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
রেসিডেন্স থেকে দূরে মেডিকেল কলেজ হলে ব্রীজের টোল,এই ভ্যাট,সেই ভ্যাটে জীবন অতিষ্ট।অথবা ঝুলে থাকা লোকাল বাসের যাত্রী।
ছাত্র ছাত্রীরা এতিমের মত অসহায়ত্ব নিয়ে তাদের শিক্ষাজীবন পার করেন।মেডিকেল শিক্ষার মত কঠিন পড়াশুনা আরো কঠিন হয়ে তাদের ঘাড়ে চেপে বসে।
তবু রোজ তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন সরকারী মেডিকেল কলেজ।আর বেসরকারী মেডিকেল কলেজ তো ব্যাঙের ছাতার মত বেড়ে অসীম সংখ্যক।
কোন চিকিৎসক ই বাংলাদেশে আর একটাও মেডিকেল কলেজ স্থাপনার পক্ষে বলবেন না।
বরং যতগুলো মেডিকেল কলেজ আছে,সেখানকার শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রন,শিক্ষক সংকট দূরীকরন,ছাত্র ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান,প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাঝে পড়াশুনাটা আরো সহজবোধ্য এবং জীবন সহজ করার চেষ্টা করা খুব কি কঠিন???
দেশের মানুষের জীবন যদি সবথেকে মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকে তবে মেডিকেল শিক্ষার মান বাড়ান।
আর কোন মেডিকেল কলেজ নয়।বিরাজমান কলেজগুলোর উন্নয়ন চাই।।
আর তা পাওয়ার জন্য প্রতিটি চিকিৎসক যে যার অবস্থান থেকে একটু ইনিশিয়েটিভ নিলে এটা কি আর কঠিন কাজ থাকবে?
_______________________________
ডা. শিরিন সাবিহা তন্বী । সুলেখক। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত।
আপনার মতামত দিন: