Ameen Qudir

Published:
2018-09-13 17:58:04 BdST

স্বপ্নের নির্মাণ শুরু: স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী


 

 

ডা.সুচিত্রা সাহা বীণা
_____________________________


বাংলাদেশের তথা বাঙালীর স্বপ্নের বিশেষায়িত হাসপাতালের নির্মাণ যাত্রা শুরু হল। শুরু হল বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিশ্বমুখীন যাত্রা। আমরা আর থেমে থাকব না। বিশ্বের সেরা মানের চিকিৎসা মিলবে বাংলাদেশেই। এই মহান প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রতিষ্ঠিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ১০টায় হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো এই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ। হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৩০ মাস । ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

দক্ষিণ কোরিয়ার ই.ডি.সি.এফ এর অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিশেষায়িত হাসপাতাল।
এটি প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বাাংদেশ রত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্নের হাসপাতাল। এটির বাস্তবায়ন দেখতে তিনি নিজেই আগ্রহী।

২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পটির অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে প্রায় ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে ৪০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রথম ১৫ বছর ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। পরবর্তী ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কোরিয়ার সরকার প্রথমে ৭শ’ শয্যা সরবরাহ করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে আরও ৩শ’ শয্যা যোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৩ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের ১১ তলা কোরিয়ার সরকারের অর্থায়নে এবং বাকি দুই তলা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের পেছনে নিজস্ব ৩ দশমিক ৮২ একর জমিতে দেশের প্রথম এই সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক এই হাসপাতালে মোট ১১টি সেন্টার থাকবে। সেগুলো হচ্ছে, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার, স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি, এক্সিডেন্টাল ইর্মাজেন্সি, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, অনকোলজি, রেসপিরেটরি মেডিসিন। এসব সেন্টারে সংশ্লিষ্ট রোগের যাবতীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

__________________________
ডা.সুচিত্রা সাহা বীণা । প্রাক্তন মমেক। রেসিডেন্ট ,বিএসএমএমইউ।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়