Ameen Qudir

Published:
2018-04-27 02:48:04 BdST

 জাতীয় সংসদে রোগী সুরক্ষা আইন পাস করা হবে 




বিএসএমএমইউ বিজ্ঞপ্তি
_____________________________

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য , শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য যা চিন্তা
করেন তাই বাস্তবায়ন করেন। সাহসী নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে
এগিয়ে নেয়া হবে। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণ ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণার প্রতি তাঁর বিশেষ নজর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার
ফলেই চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে আরো তিনটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে “রোগী এবং
স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন” মহান জাতীয় সংসদে পাস করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তাঁরা
রোগ নিয়ে, চিকিৎসা নিয়েও রাজনীতি করেন। তাঁদের নেত্রী জেলে। আদালতের মাধ্যমেই বিএনপি নেত্রীর মুক্তি সম্ভব। তাঁরা আন্দোলনের মাধ্যমে
বিএনপি নেত্রীর মুক্তির কথা বলছেন, কিন্তু আন্দোলন করতে যে জনসমর্থনের প্রয়োজন বিএনপির তা নেই।

বুধবার ২৫ এপ্রিল ২০১৮
দুপুর ১২টায় শহীদ ডা. মিলন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে সামনে রেখে
আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ¯স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল
এ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে রোগীদের সেবা প্রদান ও নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের
মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিকিৎসা শিক্ষা , গবেষণা এবং চিকিৎসা সেবায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন
ঘটানোর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট সকলকে চালিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিপুলসংখ্যক ডাক্তার
বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তি ও পড়াশুনা করছেন। শুধু সংখ্যায় কোর্স খুলে দেয়া নয়, যথাযথ মনিটরিং করে ওই সকল কোর্সের
শিক্ষার্থীরা উন্নততর প্রশিক্ষণ পেয়ে ও ভালোভাবে পড়াশুনা করে ডিগ্রি লাভ করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুধু
শিক্ষার্থীরাই নন, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদেরকে দেশ-বিদেশে উন্নততর প্রশি¶ণ গ্রহণের মাধ্যমে সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ করে গড়ে
তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কোনো চিকিৎসকের ভুলে কারণে যেন রোগীর ¶তি না হয় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন ভালো শি¶ক ও
চিকিৎসক তৈরি করতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এছাড়া গবেষণার প্রতিও অধিকতর গুরুত্ব প্রদান
করা হবে। জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীণ উন্নতিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ¯স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-এর সভাপতি অধ্যাপক
ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো: ইহতেশামুল হক চৌধুরী, ¯স্বাধীনতা চিকিৎসক
পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য
অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)
অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম, সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জুলফিকার
রহমান খান, শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, অনকোলজি সহযোগী অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান
ভূইয়াসহ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্সিং অফিসার, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ
বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক
সদিচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়”।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়