Ameen Qudir

Published:
2018-03-27 02:12:15 BdST

বিএসএমএমইউকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন ঘটানোর দৃঢ় প্রত্যয়




বিএসএমএমইউ প্রতিবেদন
________________________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সলর দেশের বিশিষ্ট নিউরোসার্জন, বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস)-এর সভাপতি এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডীন ও নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ২৪ মার্চ ২০১৮ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তিবড়ুয়া শনিবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেন। এরপর তিনি দুপুর ১২টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।


উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ তাঁকে এ নিয়োগ দেন। গত ১৫ মার্চ ২০১৮ইং তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জনাব বদরুন নাহার ¯স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে (নং-¯^াপকম/চিশি-১/নিয়োগ-১(১১)/৯৮(অংশ)১১১- বলা হয়, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮
সনের ১ন! আইন)-এর ১২ ধারার ক্ষমতাবলে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া,সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) এবং চেয়ারম্যান, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-কে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।


ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তিবড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিকিৎসা শিক্ষা গবেষণা এবং চিকিৎসা সেবায়
সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো। আমি নিজে একজন ক্লিনিশিয়ান হওয়ায় কীভাবে রোগীকে আরও অধিকতর উন্নতমানের সেবা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে আমার সম্যক ধারণা আছে।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিপুলসংখ্যক ডাক্তার বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তি ও পড়াশুনা করছেন। শুধু সংখ্যায় কোর্স খুলে দিলেই হবে না, যথাযথ মনিটরিং করে ওই সকল কোর্সের শিক্ষার্থীরা উন্নততর প্রশিক্ষণ পেয়ে ও ভালোভাবে পড়াশুনা করে ডিগ্রি লাভ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদেরকে দেশ-বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হবে। কোনো চিকিৎসকের ভুলে কারণে যেন রোগীরপ্রতি না হয় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন ভালো শিক্ষক ও
চিকিৎসক তৈরি করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো। এছাড়া গবেষণার প্রতিও অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরো বলেন, জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীণ উন্নতিই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ চিকিৎসা বিষয়ক দেশের সকল প্রতিষ্ঠান, ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসমূহ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে বিদেশে স্বীকৃতি অর্জণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করাটাও আমার অন্যতম লক্ষ্য।


ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য ও নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক কাজী শহীদুল আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোঃ এম এ আজিজ, নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জুলফিকার রহমান খান, নিউরো সার্জারি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম আফজাল হোসেন, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার, শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের
চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ হাসানাত, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন স্বাচিপ,বিএসএমএমইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু তাহের, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান ভূঁইয়া, ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ, ডা. হাসান ইমাম, ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম প্রমুখসহ চিকিৎসক সমাজের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডীনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ,
শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজি ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিন পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।


অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ওস্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ১৯৫৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মিরের সরাই উপজেলার হাইত কান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম প্রয়াত সুখদা বড়ুয়া এবং পিতার নাম প্রয়াত ডা. শুভংকর বড়ুয়া। পারিবারিক জীবনে তাঁর স্ত্রী ডা. শিউলি চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস এন্ড গাইনী বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। বড় ছেলে ডা. সুদীপ বড়ুয়া এবং কনিষ্ঠপুত্র সৌমিক বড়ুয়া আমেরিকতাতে অধ্যয়ণরত।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে এফসিপিএস, ২০০৩ সালে এমস (নিউরোসার্জারি), ২০০৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফআইসিএস (এওয়ার্ডেড ফেলোশীপ অফ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ সার্জন্স) এওয়ার্ডে ভ‚ষিত হন। অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা থেকে
অনারারী এফএসএলসিএস এবং কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স, পাকিস্তান থেকে অনারারী এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষকতার জীবনে তিনি সাবেক আইপিজিএমএন্ডআর এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়)-এ ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সহকারী
অধ্যাপক হিসেবে, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাবেক আইপিজিএমএন্ডআর এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী
অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অধ্যাপক হিসাবে শিক্ষকতা পেশার
সাথে যুক্ত আছেন। উল্লেখ্য যে, ২০০২ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার কারণে হাইকোর্টে রিট করেন (রিটনং ২৯১০) এবং এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে তাঁকে ভ‚তাপেক্ষভাবে ২০০১ সাল থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০১৫ সালে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি
বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্যময় শিক্ষাজীবনের অধিকারী অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিন তিন বার ডীন নির্বাচিত হয়ে সার্জারি অনুষদের ডীনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক বডি
সিন্ডিকেটের সম্মানিত সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েরও সম্মানিত সিন্ডিকেট মেম্বার। 


দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও ¯স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা গুণী এই শিক্ষকের ইতমধ্যে ৪৭টিরও বেশি গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ, নিবন্ধ দেশী-বিদেশী জার্নাল ও
আন্তর্জাতিক নিউরোসার্জিকাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গাইড হিসেবে তাঁর তত্ত¡াবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এমএস ইন নিউরোসার্জারি বিষয়ক ১৫টি
থিসিস পরিচালিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা অধ্যাপক ডা. কনক কান্তিবড়ুয়া ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকা শহরে গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছেন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএমএ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নেতৃত্ব দেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির
সাবেক সদস্য ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ১৯৬৮-১৯৭০ সালে মরহুম জনাব শেখ কামালের নেতৃত্বাধীন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা
মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সম্পাদক ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক
পরিষদ (¯স্বাচিপ), বিএসএমএমইউ-এর প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি ¯স্বাচিপ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি
হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বৈচিএ্যময় জীবনের অধিকারী অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ
মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন-এর বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
¯স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখাসহ মানবসেবায় জীবন উৎসর্গকারী অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বিসিপিএস-এর সভাপতি ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ
এ্যাসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিনের সভাপতি, সাউথ এশিয়ান এ্যাসোসিয়েশন অফ নিউরোসার্জন্স-এর সভাপতি এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউরোসার্জন্স-
এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন এবং স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপিত হিসেবে ¯স্বাস্থ্যসেবাসহ চিকিৎসকদের
অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি সাউথ এশিয়ান সার্জিক্যাল কেয়ার সোসাইটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এ্যালমুনাই এ্যাসোসিয়েশন-এর সাবেক চেয়ারম্যান, স্বাচিপ, বিএসএমএমইউ ব্রাঞ্চ-২০০০-২০০৩-এর সাবেক সভাপতি, এ্যাশিয়ান কংগ্রেস অফ নিউরোসার্জিক্যাল সার্জন্স-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক সেক্রেটারি, বাংলাদেশ সোসাইটি
অফ নিউরোসার্জন্স-এর সাবেক সভাপতি (২০০৮-২০০১২) ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক (১৯৯৮-২০০২), বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিনের
সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সোসাইটি অফ সার্জন্স অফ বাংলাদেশ-এর সাবেক সভাপতি (২০১২-২০১৪) ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন,
বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউরোসার্জন্স, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ সার্জন্স, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং ¯স্বাধীনতা চিকিৎক পরিষদের আজীবন সদস্য।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়