Dr. Aminul Islam

Published:
2021-01-23 14:36:41 BdST

৫টি বদভ্যাস: ভয় নেই, হতে পারে আপনার জন্য দারুণ উপকারী


 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী 

_____________________________

পাঁচ টি বদভ্যাস কি হতে পারে ভালই ??
কিছুটা বিশৃঙ্খল আর কাজে দীর্ঘ সুত্রিতা ?নিশ্চয় অপরাধ বোধ কি হচ্ছে। 
একটা মজার কথা বলা যেতে পারে ,বিশেষজ্ঞ কয়জন বলেন , পরিমিত এমন বদভ্যাস নাকি সৃজন শীল প্রতিভা বা আড়ালে কুশল আনতে পারে ?
এর মধ্যে এসে পড়লেন লাইফ কোচ জসুয়া যুছ টার বলেন জীবন মানে খুব নিখুত হওয়া নয়, ভাল মন্দে মিলে জীবন ।
কিছু বদভ্যাস বলি যাকে এদের কি কোন ও হিতকরী দিক থাকতে পারে /
১। বার বার বিরতি নেবার অভ্যাস
বিরতি কয়েক বার , দীর্ঘ অফিসে নিলেন এতে টিমের মধ্যে কাজের মান
নিয়ে কিছু অসন্তুষ্টি কল ক্ষোভ হল , তা একটু ধ্যান বা হাঁটা র বিরতি যাই হোক , ।
দাঁড়িয়ে পড়া আর প্রতি ২০ মিনিটে একটু হাঁটা এমন করলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে আর এতে মগজ খব শাণিত হয় ভাল কাজ করে, । কোচ গ্লা ড স্টোন বলেন আপনি যেখানে বসেন এর চারপাশে একটু হাঁটুন এতে বরং ভালোই হবে । কাজ মনে হয় নতুন কোন সৃজনশীল কিছু বেরিয়ে গেল, হতেও পারে এমন।
২। মাঝে মাঝে উধাও , মাঝে নাগালের বাইরে হলে ?
বলা হয় নিজে সুলভ হলে , সুগম হলে টিমের সবার সাথে সুসম্পর্ক হয় , কাজে চমৎকার সমঝোতা হয় আস্থ বাড়ে । এরকম সুলভ , সহজে অভিগম্য ম্যানেজার থাকলে টিমের সবাই নতুন নতুন ধারণা দেয়।যে কোন সময় , যে কোন ও স্থানে এত সুলভ হলে ই মেল , টেক্সট , বা অন্য কিছুতে ত্ব রি ৎ সাড়া দিলে হয়ত গুরুত্ব পূর্ণ কাজ আর করতে চাইলেন না , করলেন না টর ন টো র একজন এক বড় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এন গমেজ বলছেন, " আপনি একাজটি করতে সক্ষম বলেই কাজটি করতে হবে তা নয়" আমরা সজাগ সতর্ক না হলে গভির চিন্তা আর উচু মানের কাজ করআর জন্য খুব মনযোগী হতে পারবনা।
৩। একটু এলোমেলো , একটু বিশৃঙ্খল ।
এ অভ্যাস মানে বদ অভ্যাস অনেকের থাকে এতে মনে হয় শৃঙ্খলা নাই।
অনেক সময় এমন এলোমেলো অভ্যাসের লোকজন সৃজন শীল কর্ম করতে পারেন । মনোবিজ্ঞানের এক জরনলে প্রকাশ , মানুষ পরিষ্কার মন আর পরিসর পেলে তার উদ্ভাবনী অনুপ্রেরনা প্রবাহিত হয়। একটি পরিপাটি আর সুসংঘটিত ডেস্ক হয়ত হবে শান্তিময় , তবে সৃজন শীল কাজ অনেক সময় এলোমেলো মন থেকে আসে।
৪। সভা অনেক সময় বাদ দিতে হয়।
সভা মিস করলেন , এমন খ্যাতি আছে। অনেকের এজন্য আস্থা নেই , আপনার উপর , কিন্তু সত্যিটা হল আপনি এসব সভা তে চা নাস্তা , কাজের বাইরে কথা বেশি, অযথা দীর্ঘ বলে এড়িয়ে যান । গ্লা ড স্টোন বলেন , এরকম সময় অপচয় কারী মিটিং এড়িয়ে পরে সহকর্মী র কাছ থেকে গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্ট পরে জেনে নিলে সময় , শক্তি দুটোই বাঁচবে । তাই প্রতিষ্ঠান প্রধান বা টিমের নেতা হলে মিটিং এর যাতে পরিষ্কার এজেনডা যেন থাকে , সময় নির্ধারিত থাকবে, যাদের প্রয়োজন শুধু তারা মিটিং এ থাকবেন , আর সমাধান নিয়ে বেরুতে হবে।
৫। দীর্ঘ সুত্রিতা ।আমরা এমন এক সংস্কৃতিতে বাস করি অবিরাম আর এতে আমরা সরে আসছি মুল কাজ থেকে । ছোট খাট অগ্রাধিকার গুলো ঠিক করে রাখুন আর সেদিকে নজর দিন । গমেজ বলছিলেন প্রত্যেক কাজই অগ্রাধিকার হলে কোন কাজ গুরুত্ব পায়না। তাই বাকী যে কাজগুলো সেগুলো র ব্যাপারে করুন দীর্ঘ সুত্রিতা ।

আপনার মতামত দিন:


প্রেসক্রিপশন এর জনপ্রিয়