Ameen Qudir
Published:2018-04-18 14:59:37 BdST
মনোজিজ্ঞাসা“আমার খুব ঘন ঘন স্বপ্ন দোষ হচ্ছে”
সংগৃহীত ছবি
প্রফেসর ডা. তাজুল ইসলাম
________________________________
রোগী জানিয়েছেন:
“আমার খুব ঘন ঘন স্বপ্ন দোষ হচ্ছে”।
সমস্যাঃ
স্যার,আমি রায়হান,,,অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি,,,ফ্যামিলিগত এবং পরিবেশগত কিছু কারণে আমি একটু মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি কয়েক বছর আগে,বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।
এখন আমি রিসডন-১,পারকিনিল-৫,মিরটাজ-১৫ এই ঔষধগুলো নিয়মিত খাই!
এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি।
কিন্তু আমার অন্য একটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে,আমার খুব ঘণ ঘণ স্বপ্ন দোষ হচ্ছে।
সপ্তাহে প্রায় ৫-৬বার,
দিনে দুইবারও হয়!
এটা কি মানসিক কোন সমস্যা?
এবং এর প্রতিকার কি জানালে খুব উপকৃত হব!
ধন্যবাদ!
পরামর্শ
উত্তর:তুমি যে ঔষধ গুলো খাচ্ছো সেগুলো কি কারনে খাচ্ছো তা জানার প্রয়োজন।
তোমার মানসিক বিপর্যয়ের লক্ষন গুলো কি ছিল এবং এখনো ঔষধ কেন খেয়ে যাচ্ছো তাও জানা প্রয়োজন ছিল।
যাহোক তোমার বর্তমানে ঘন ঘন স্বপ্ন দোষ হচ্ছে
।কিশোর – তরুন বয়সে তথাকথিত স্বপ্ন দোষ হওয়া কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
পুরুষের অন্ডকোষ থেকে বীর্য তৈরি হয়ে স্যামিনাল ভেসিকলে এসে জমা হয়।
জমতে জমতে সেই খুবই ছোট থলি দুরুত ভর্তি হয়ে যায়।
তখন সে বীর্য কোন না কোন পথে বের হয়ে আসতে চাইবে।
কোন পাত্রে পানি বেশি জমে গেলে বাড়তি পানি যেভাবে উপচে পড়ে সেরকম।
স্বাভাবিক ভাবে বীর্য স্খলন হয় স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলনের মাধ্যমে বা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে।
যদি তেমনটি না হতে পারে, তখন জমাকৃত বীর্য স্বপ্নের ভিতর লিঙ্গ পথে বের হয়ে আসে।
এটি তেমন ক্ষতির কোন কারন নয়।
যদিও আমাদের সমাজে ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে যে এক ফোটা বীর্য তৈরি হয় ৮০ ফোটা রক্ত থেকে- তাই বীর্য ক্ষয় মানে শক্তির মহা অপচয়।
এগুলো কুসংস্কার ও ভুল বিশ্বাস।
বীর্য ক্ষয়ে যদি স্বাস্থ্য হানি হতো তাহলে স্বামীদের স্বাস্থ্য হানি বেশি হতো- কেননা তারা নিয়মিত স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে প্রচুর বীর্য পাত ঘটিয়ে থাকে।
তবে অতিরিক্ত যৌন চিন্তা,পর্নগ্রাফী দেখা,সঙ্গদোষ,ইত্যাদি কারনে সব সময় যৌনতা নিয়ে কুচিন্তা করলে স্বপ্ন দোষ বেশি হতে পারে।
আগেই বলেছি বীর্যপাতের জন্য কোন রকম স্বাস্থ্য হানির কারন নেই।কিন্তু আমাদের সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার ও ভুল বিশ্বাসের কারনে তরুনরা হস্তমৈথুন ও স্বপ্ন দোষ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুংশ্চিন্তা করে থাকে
।বিশেষ করে শারীরিক শক্তি ক্ষয় সহ অন্যান্য শারিরীক লক্ষণ গুলো দেখা দেয়। বহু কবিরাজি চিকিৎসা নিয়েও দুর্ভাবনা যায় না।
একসময় জটিল এক মনো- দৈহিক রোগে ভুগে- যার নাম “dhat syndrome “। যদি এ পর্যায়ে রোগ চলে যায় তাহলে মনোচিকিৎসা নিতে হবে।
তবে তুমি যৌন কুচিন্তা বাদ দিয়ে ও স্বপ্ন দোষ নিয়ে দুর্ভাবনা না করে স্বাভাবিক, সুস্হ জীবন যাপন করতে থাকো।তাহলে আশা করি এমনিতেই ভালো থাকবে ।
______________________________
আপনার মতামত দিন: