Dr. Aminul Islam

Published:
2020-12-30 03:56:50 BdST

রোগী ডাক্তার মুখোমুখি : ডা. শুভাগত চৌধুরীর ৭ পয়েন্ট


 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী 

---------------------------

আমি লিখছি তরুন ডাক্তারদের জন্য

কি করে উন্নত হবে শ্রবন দক্ষতা ।

রোগী ডাক্তার মুখোমুখি । আর রোগী পছন্দ করেন যদি তিনি তার কথা ভাল করে শুনেন । এতে তার রোগ অর্ধেক ভাল হয়ে যায় । অনেকে বলবেন আমার দিনে এত রোগী দেখতে হয় । কেন দেখবেন ?সঠিক ভাবে দেখার জন্য যে সময় লাহবে তাই নিন। এটি হল পেশাগত ব্যাপার । এখানে কেউ কাউকে জোর করতে পারেনা।

আছে ৭ টি কৌশল ।
১। চোখে চোখে তাকিয়ে শোনা । চোখে চোখে তাকালে রোগী বুঝবেন যে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুন ছেন , আপনি খেয়াল দিচ্ছেন , আর মন দিয়ে শুন ছেন । একেবারে সরাসরি তীব্র দৃষ্টিতে নয় কারন এতে মনে হবে আপনি বিরক্ত বা আপনি ভয় দেখাচ্ছেন , বরং একটু দৃষ্টি হবে অফ লাইন চোখের বা দিকে বা ডান দিকে।

২। যে প্রশ্ন হবে এর যেন একাধিক সমাধান থাকে হাঁ বা না এমন নয়
এতে রোগী মনে করবে ডাক্তার সত্যি রোগীর কথা শুনে আগ্রহী , তখন তিনি আরও তথ্য দেবেন আর যেমন তিনি একটি ঘটনা বলতে চলেছেন ডাক্তার এমন বলবেন না ' আপনি তা পছন্দ করেন " বরং বলুন " এ সম্বন্ধে বলুন, শুনি '

৩। হতে হবে সম মর্মী ।
কথা বলে বা দেহ ভঙ্গীতে তা বোঝাতে হবে। অন্যের আবেগ , অনুভব নিজের মনে করছেন এমন ধারনা দিতে হবে। রোগী তার স্বাস্থ্য সঙ্কট আর সে সময় তাঁর উদ্বেগ , দুশ্চিন্তা বলছেন সে সময় ডাক্তার বললেন , আমি বুঝতে পারছি কি কঠিন সময় আপনার গেছে আর আপনি জানেন না কি করে সমাধাণ করবেন , কি করতে হবে সত্যি। এমন শব্দ " হুউ তাইত" " বুঝতে পারছি " আর দেহ ভঙ্গী , হাত পা খুলে, আর মাথা নুয়ে তাকে আশ্বস্ত করছেন।

৪। কোন সমাধানে ত্বরিত লাফিয়ে পড়তে হয়না।
রোগী কথা বলছে , ব্যবস্থাপত্র লিখা ঠিক না মনে হবে না শুনে চিকিৎসা দিয়ে দিলেন। অনেক সময় মানু ষ সমাধানের চেয়ে বরং চাক তাকে কেউ শুনুক ।পরামর্শ দেবেন শোনার পর।

৫। আলাপে আলোচনায় নিজেকে অহেতুক টেনে আনা নয়
হা তাই আমি ভেবেছি এরকম হবে এভাবে বলা ঠিক না এতে তিনি বিরক্ত হন, বিরূপ মন্তব্য মনে করে,ন।

৬। তাদের অভিজ্ঞতা নিজে রকরেভাবুন, অদের অভিজ্ঞতা নিজের হয়েছে এমন ভাবুন।
রোগীর মানসিক অবস্থা দুর্ভোগ , কষ্ট কেমন হয়েছে ন এমন নিজের হলে কেমন হত সে ভাবে ভাবুন।

৭। রোগীকে জেরা করা কথার মধ্যে বাধা দেওয়া ঠিক না।
তারা যেন মনে না করেন জেরা করা হচ্ছে বেশি কথা বলতে না দিয়ে বাধা দেওয়া হল তা ঠিক না। বরং বলুন তিনি , আপনি পরে প্রশ্ন করতে পারবেন ।

রোগীকে সময় দিলে রোগীকে চিকিৎসা করা হল । এতে রোগী যে মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন এতে তিনি অর্ধেক ভাল হয়ে যান । রোগ একমাত্র শরীরের নয় মনের ও । আর এতে রোগী সেই ডাক্তারের প্রতি বিশ্বাস পান , নির্ভরতা খুজে পান।
তরুন ডাক্তার রা মেনে দেখুন কি আশ্চর্য ফল।

আপনার মতামত দিন:


প্রেসক্রিপশন এর জনপ্রিয়