Dr. Aminul Islam

Published:
2020-12-04 02:18:36 BdST

কি কি টেস্ট আছে করার জন্য ? কি করে পছন্দ করবেন কি টেস্ট করাবেন!


 

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
_________________________


কোভিড ১৯ টেস্ট :
মনে করলেন টেস্ট করবেন , কি কি টেস্ট আছে করার জন্য? কি করে পছন্দ করবেন কি টেস্ট করবেন ।
টেস্টিং আছে তিন রকমের ।
প্রথমটি হল কো ভি ড ১৯ ভাইরাসের জিন পদার্থের অস্তিত্ব আছে কিনা তা শনাক্ত করা । NAAT test N_A_A T .এটি হল পি সি আর টেস্টিং যেখানে নেজোফারিঞ্জিএল সুআব বা অরো ফারিঞ্জিয়াল সোয়াব মানে নাক ও গলার ভেতর থেকে লালা দিতে হয় । এরপর ল্যাবে দেখা হয় সেই নমুনাতে ভাইরাসের জেনে টিক পদার্থ আছে কিনা ।
দ্বিতীয় ধরনের টেস্টে শনাক্ত করতে হয় ভাইরাস আবরনের একটি বাহিরের প্রোটিন । একে বলে এন্টিজেন টেস্টিং ।
তৃতীয় ধরনের টেস্টে দেখা হয় শরীরের ভেতরে এন্টিবডি, যা তৈরি হয় ভাইরাসএর বাহির আবরনের বিরুদ্ধে । এতে দেখা হয় সেই ব্যক্তির শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না অর্থাৎ তার শরীরে ইম্মুন প্রতিক্রিয়া ঘটেছে কি না।
এই তিনটি হল প্রধান টেস্ট সমুহ যা করতে হতে পারে ।
এন্টিজেন আর এন্টিবডি এ নিয়ে কিছু বোঝার ব্যপার রয়েছে ।
সহজ ভাবে বলতে গেলে ভাইরাসের আবরনের বাইরে আছে যে প্রোটিন একে বলে এন্টিজেন ।তাই এটি ভাইরাসটির শরীরের একটি অংশ ।
এন্টিবডি তৈরি হয় মানুষের শরীরে সে সব নিদৃষট এন্টিজেনের বিরুদ্ধে ।
এসব টেস্টের নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে আর আগামিতে আর কি কি টেস্ট আসতে পারে ।
পি সি আর টেস্টিং যা হল NAAT টেস্টিং যে টেস্টে ভাইরাসটির নিউক্লিক এসিড হল সবচেয়ে সংবেদন শীল টেস্ট । আর এই টেস্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজন হয় খুব জটিল অত্যাধুনিক ল্যাব আর সেজন্য এসব টেস্টের ফলাফল পেতে লাগতে পারে কয়েক দিন। ( turn around time ) ।আর প্রাদুভাব ঘটলে লাগতে পারে আর দীর্ঘ সময়
যে সব এন্টিজেন টেস্টিং বাজারে রয়েছে সেগুলোকে বলা হয় এন্টিজেন রেপিড ডায়াগনসটিক টেস্ট । এসব টেস্ট দ্বারা ভাইরাসটির বাহিরের আবরনের এন্টিজেন সন্ধান করা হয় । এমন ভাবে এদের উৎপাদন করা হয়েছে যাতে এসব টেস্ট করা যায় রোগীর শয্যার পাশে বা মাঠ পর্যায়ে । এই টেস্ট করতে লাগেনা আধুনিক ল্যাব । তবে পি সি আর টেস্টের মত এগুলো এত নির্ভুল নয় । তবে এ সব টেস্টের মুল্য কম নয় , যথেষ্ট গুরুত্ব পূর্ণ , করোনা প্যানডেমিক মোকাবেলায় এটি একটি গুরুত্ব পূর্ণ হাতিয়ার ।
কেন টেস্ট করতে হয় ? কি এর গুরুত্ব ?
এর অনেক দিক আছে ।
প্রথম হল সে ব্যক্তির রোগটি আছে কি না ।
আর থেরাপি বা চিকিৎসা দেবার জন্য এ তথ্য প্রয়োজনীয় ।
ঠিক করতে হয় আমরা কাকে যেতে দেব বা কাদের আরও টেস্টের প্রয়োজন আছে যেমন সে ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন এমন লোকদের টেস্ট করা ।
প্যান ডেমিক মোকাবেলায় এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
এন্টিবডি টেস্টিং এর মূল্য প্রসঙ্গে যদি বলি তাহলে সে ব্যক্তিটি অতীতে ভাইরাসের সম্মুখিন হয়েছেন কি না তা জানা যায় এর মাধ্যমে যা জানা খুব জরুরী ।
আর জনগোস্টির ইম্মুনিটি সম্বন্ধে যদি বলা হয় তাহলে এন্টিবডি টেস্ট করে তা জানা যায় ।
সহায়ক সুত্র ঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আপনার মতামত দিন:


প্রেসক্রিপশন এর জনপ্রিয়