Ameen Qudir
Published:2016-11-11 01:13:53 BdST
একজন পিতা কেমন করে এমন নিষ্ঠুর হতে পারল ! কী নির্মম !
ডা. সুলতানা আলগিন
সত্যি , ছবিটা সহ্য করার মত নয়। অথচ চারপাশে কখনও কখনও এমন নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটছে। দেশেও ঘটছে । ঘটছে বিদেশেও।
ছবির শিশুটির বয়স মাত্র চার। তার বাবাই তাকে এই নির্মম নিষ্ঠুরভাবে মেরেছে।
কেন মারল।
শিশুটির জন্য লোকটা একটা জুতো কিনে এনেছিল। জুতো পছন্দ হয় নি অবোধ শিশুটির। সে না বুঝেই জুতো ছুঁড়ে ফেলেছিল। বুঝতেই পারে নি , তাতে তার বাবা অমন ক্ষেপা মোষের মত ক্ষেপে যাবে। তাকে এমন পশুর মত পিটিয়ে জখম করবে।
শিশুটি গুরুতর জখম হয়ে কেঁদেই চলছিল। ভাগ্যিস! তার মা এসে বর্বর বাবাটির হাত থেকে তাকে রক্ষা করে।
এই নির্মম আচরণ একদমই ঠিক নয়। অমানবিক। শিশুর কেন পছন্দ অপছন্দ থাকবে না। শিশুর মতামত ফেলনা নয়। তাকে জোর করে, পিটিয়ে কোন কিছু শেখাতে যাওয়া , কোন কিছু পছন্দ করতে বাধ্য করা একেবারেই মুর্খতা।
তাতে হিতে বিপরীত ঘটে।
শিশুরা পিতামাতা অভিভাবকদের ব্যাপারে বৈরী হয়ে বড় হয়। ফলাফল ভাল হয় না। শৈশবে কৈশোরে পিতামাতা অভিভাবককে বাধ্য হয়ে সমীহ করে। মারের ভয়ে কাবু হয়ে। শিশুরা ভীতু, আত্মকেন্দ্রিক হয়ে বড় হতে থাকে। পরে বড় হয়ে নানা ধরণের মনোসমস্যার শিকার হয়।
আরেকটি কথা, এ ধরণের মারকুটে পিতারাও কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ নয়। শৈশবে, কৈশোরে বা অন্য পর্যায়ে তারা গুরুতর মানসিক ট্রমা শিকার হয়ে থাকতে পারেন। সে কারণে এই শিশুনিপীড়নের প্রবৃত্তি গড়ে ওঠে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ।
আপনার মতামত দিন: