Saha Suravi

Published:
2024-12-13 21:53:22 BdST

কিছু অঙ্ক মিলে না বা মিলাতে চাই না আমরা


অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
প্রাক্তন অধ্যক্ষ , চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
________________________


কিছু অঙ্ক মিলে না বা মিলাতে চাই না আমরা।
ছোটবেলায় তৈলাক্ত বাশ আর বানরের উঠা নামার অঙ্ক যেমন মিলে না ।
তেমনি বড় হয়ে দেখা যায় এর চেয়ে বিশাল জটিল অঙ্ক মিলে না ।
যেমন জন স্বাস্থ্যের কথা সজোরে গোল টেবিল ফাটিয়ে বল্লেও;
বাংলা দেশে আউট অব পকেট এক্সপেন্সেস হল ৬৪.৩% ;দেখা যায় চিকিৎসা আর অষুধের ব্যয় মিটাতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়
আবার কেবল ওষুধ কিনতে ব্যয় হয় ৬০ % বেশি।
আমরা কথায় এত জারগন ব্যবহার করি জাগ্লারি করি যে আসল কথা হারিয়ে যায় মানে হারিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়।
তাই উত্তর মিলে না ।
আবার আরেক জটিল অঙ্ক মিলে না বলা হয় স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কম কিন্তু প্রতিবার এর কিছু টাকা খরচ না করতে পেরে ফেরত যায় । তাহলে?
এ অঙ্ক মিলে না।
আমরা পুরানো মানুষ তাই অনেক কিছু দেখা সৌভাগ্য হয়েছে ।
পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানের যা বরাদ্দ তা থেকে টাকা ফেরত দিতেন কর্তারা । আর এর বিনিময়ে তমঘা , সিতারা ইত্যাদি খেতাব পেতেন।
তাই পূর্ব আর পশ্চিম দুই দিক মিলে যে বৈষম্য হয়েছিলো এতে আমরা একেবারে অংশিদার নই তা নয় । তৎকালিন সময়ের কর্তারা তাই করতেন।
তবে এই এই সমাধান এ ক্ষেত্রে খাটে না।
তাহলে?
অনেকে বলেন দক্ষতা বৃদ্ধি আমাদের এজেন্দাতে নেই
আমরা নিজেদের লোক দিলেও হল।
, এটা ঠিক
এজন্য দেশে দক্ষ জন শক্তি গড়ে উঠেনি
কেউ বলেন ব্যবস্থাপনার সঙ্কট । বটে কিন্তু এই ব্যবস্থা পনা সুষ্ঠু করার উদ্যগ নাই
তাহলে ?
এর মুল কারন প্রকল্প হান্টিং।
বাজেট থাক বাজেটের খাতায় ।
প্রকল্পের বিশাল টাকা নয় ছয় করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়া ছিল মূল কাজ
যন্ত্র পাতি ওষুধ রিয়েজেন্ট আর মারি হলে এর সংক্রান্ত কেনা কাটার ব্যাপার এলে পোয়া বারো
আর অনারা পাব্লিককে কেয়ার করেন না।
পাব্লিকের যা ইচ্ছা হোক আমার উদর স্ফিত হোক।
জানিনা ভুল বলেছি কিনা।
পাকিস্তান আমলে টেলেন্ট সাপ্রেশন বলে একটা কথা ছিল।
মনে হয় সেই ট্রাডিশন সমানে চলিতেছে।
অফিসে যেমন বস যদি দেখেন তার চেয়ে চৌকশ লোক তার অধিনস্থ তখন তাকে নানা প্যাঁচে ফেলে তার বশ্য কর আর না পারলে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেন।
তাই দক্ষ জন শক্তি গড়ে তুললে দুটো অসুবিধা। সেই লোক উপরে উঠে যেতে পারে আর দক্ষ লোক নাই দেখিয়ে বিদেশি কন্সাল্টেন্ট নিয়োগ দিয়ে বেশ কিছু কামানো ।
ভাল আর সৎ দক্ষ লোককে দমন করার অভিপ্রায় বলবৎ থাকে আর এভবে এক শুন্যতা সৃষ্টি হয় আ এদিকে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে বিদেশে আর ব্যঙ্ক লুট করে নিয়ে যায়।
এমন এক কালো চিত্র দেখেও না দেখার ভান করার এক চল আছে।
দেশে স্বাস্থ্য বীমা হল না কেন হল না এর ব্যখ্যা নাই।
জ্ন গনএর সরকার এর ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত কি অসুবিধা?
আমার প্রিয়জন আর অনুজপ্রতিম অর্থনীতির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ আর অনুজ অধ্যাপক প্রথিত জশা বিজ্ঞানি লিয়াকত আলি এ নিয়ে কাজ করছেন।
এদের প্রয়াস ফলপ্রসু হোক কামনা করি।
বারডেমে হাসপাতালে ঢোকার মুখে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইব্রাহিমের একটি ছবি আর একটি উক্তি;
কোন ডায়েবেটিক রোগীই বিনা চিকিৎসায় বা অভুক্ত অবস্থায় মারা যাবেনা যদি সে দরিদ্রও হয়
আর এজন্য সরকার অনুদান দেন বারডেম কে
কারন বারডেম অন্য হাস পাতাল আর প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা ।
সরকার তাই মনে করেন নিছক বানিজ্যিক মনে করেন না।
বারডেম সেই আদর্শের অনুসারি
ঠিক বলেছি?
এমন কি হতে পারে সারা বাংলাদেশ
আমরা সব কিছু মোটা দাগে দেখি গভীর চিন্তা ধ্যান অনুধ্যান অন্তর্দর্শন আমাদের মধ্যে অনুপস্থিত তা জিন গত কারন হতে পারে
আর সেজন্য আমরা ভ্রান্তি বিলাস পছন্দ করি
স্বচ্ছন্দে।
আর কথা ফুলঝুরি ছড়িয়ে আসল সত্য চাপা দেওয়া ।
আর মুখে এক আর সাইনবোর্ডে আরেক
মিলিয়ে নিন কিছু না হোক ভন্ডামি অনেকে ভাল জানে।
চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষের যে দুর্গতি তা ভুক্ত ভোগী ছাড়া কে জানে।
#

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়