DR. AMINUL ISLAM
Published:2024-12-11 12:43:56 BdST
ডাক্তারি শিক্ষা নিয়ে দারুণ মর্ম ব্যথার কাহিনী
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
প্রাক্তন অধ্যক্ষ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
_______________________
দারুণ মর্ম ব্যথার কাহিনী
কিভাবে ধ্বস নামে।
এম বি বি এস হল ডাক্তারি সর্বোচ্চ ডিগ্রি।
কিন্তু বড় অবিচার হল।
ডাক্তার হওয়ার এক সরলীকরণ হয়েছে। তাই মেডিক্যাল কলেজ বিল্ডিং হল। মনে হলেই হয়।আর আজকাল শিক্ষা ত ব্যবসা তাই সেই অজুহাত আছে।
ব্যবসাতে নিয়ম নাস্তি।
আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেন নতজানু।
মেডিক্যাল কলেজ হবার পর পর একে অধিভুক্ত করার জন্য বসে আছে।
অনেকে বলেন পেশাজীবি সংগঠন যখন বদলে এল রাজনৈতিক দলবাজি তখন থেকে অধ:পাত শুরু। অবশ্য গবেষণা এর সত্যতা র পক্ষে প্রমাণ হাজির করবে।
একজন ডাক্তার আর প্রকৌশলী রাজনীতি করবেন কেন।নিজের পেশা ছেড়ে? এতে পেশার ক্ষতি হয় নিজের ধার আর দক্ষতা কমে।
ভর্তি হল।ভর্তি বানিজ্য। প্রশ্ন ফাঁস।সেই টাকা দিয়ে ১০০০০ টাকা বেতনের চাকুরের ঢাকায় ৫ টি ফ্লাট হয়।বড় সাহেব দের হিসাব জানা নাই।
ডাক্তার বেরিয়ে গেল।
কিন্তু না-ই
দক্ষ জনবল।যন্ত্রপাতি হাস্ পাতাল তেমন নাই তাতে কি।।অনুমোদন মিলে যায়।দক্ষিন হস্ত খোলা।দেবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে।
খালি এক বাক্য হবে হবে। সেই হবে আর আসে না।
বইপড়া হল।কিন্তু হাতে কলমে কাজের অভিজ্ঞতা হলনা।রোগী দেখে অভিজ্ঞতা হল না।
অসম্পূর্ণ থাকল শিক্ষা।
তাতে কি। ডাক্তার হলাম
অবশ্য বিচ্ছিন্ন ভাবে ডাক্তার বিদ্যা কেন
পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ঘুনে ধরা। ভ্রুক্ষেপ নাই।
মুখে নীতি শোনালেও কাঁচা টাকার লোভ সামলাবে এমন সাধু কে?
অবশ্য মুখে বলে উপরের চাপ।এই বাক্য বড় চেনা।এ অঞ্চলে।
কেউ বাধ সাধলে একে বাদ দেওয়া।
সন্তর্পণে তাকে বাদ দিয়ে ভাগ বাটোয়ারার মহোতসব জমে উঠে।
ভাল ডাক্তার হওয়া যে কঠিন এই বোধ নেই।এ যেন পণ্য। ফিনিসড প্রডাক্ট।আর ডাক্তার মানে কাড়ি কাড়ি টাকা এমন এক মনস্থিতি সমাজে প্রার্থীর অভিভাবক,সবার।
অবশেষে মোহ ভংগ হয়
রংগিন কাঁচের ভেতরে দেখা দুনিয়া হটাত সাদা কালো হয়ে যায়।
তাই
বাস্তবে এর প্রতিফলন হয়না।তখন ভাংগন হয় শুরু।সব কিছুর।আর এভাবে অন্তত মান সম্মান থাকার মত টাকা রোজগারের জন্য এই ক্লিনিক সেই ক্লিনিক। কিন্তু বেসরকারি হাস পাতাল এমন টাকা তাদের দেয় তা শুনলে হাসি পায়।জনগন জানে না।
দিশাহারা হয় নবীন ডাক্তার। বিভ্রান্ত হয় কেউ।এত লেখা পড়া শিখে কি লাভ?
কেউ হয় পুলিশ, কেউ আমলা। কেউ ব্যবসায়ী।কেউ টেন্ডার বাজ।
যার ধরার কেউ নাই সে থাকে ভুরুংগামারি
কেউ হয় অবসন্ন। হতাশ।কেউ বাইরে যাবার সুযোগ খোজে। কেউ পারে এরা বেচে যায়।কেউ স্রোতে গা ভাসায়।পেশা থেকে অন্য কিছু প্রবল হয়।।সমাজ এভাবে নষ্ট করে প্রজন্মকে। বাড়ে দূষণ।
মিথ্যা নয়।কেউ বলে কেউ বলে না। সব শেষ। কি বলার আছে?
বদলাবে কি এই অমানিশা?।বিশেষ করে স্বাস্থ্য আর শিক্ষা অধপাতে গেছে এর বিপক্ষে কি বক্তব্য থাকে?
ইতিবাচক বলার জন্য চাপ মানে সব ভাল চলছে বলা।আর সত্য বলা মানে নেতিবাচক।এমন এক প্রচার।
আমরা বলি ভাল ডাক্তার ভাল মানুষ একটা উদ্দেশ্য পুরণনা হলে এ শিক্ষার মানে কি? যারা হচ্ছে নিজ গুনে হয়। রাষ্ট্রের অবদান নাই।#
আপনার মতামত দিন: