Dr.Liakat Ali

Published:
2022-01-05 10:42:48 BdST

'জয়েনিং এজ মেডিক্যাল অফিসার এন্ড রিটায়ারিং এজ মেডিক্যাল অফিসার'দের সুখ দুঃখ 


লেখক

 


ডা. আজাদ হাসান
__________________

বাংলাদেশে সরকারী- বেসরকারী হাসপাতালে তথা সমগ্র দেশে স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থাপনায় দারুণ বিশৃঙ্খলতা বিরাজমান।
আর এক্ষেত্রে বিরাজমান অব্যবস্থার জন্য ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ঢালাও ভাবে অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে থাকে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দায়ভারটা কার? এজন্য আসলে কোনো একটি ফ্যাক্টরকে এককভাবে রেস্পন্সিবল বলা ঠিক হবে না। বিষয়টি ব্যাখা করছি।

একটা সেবা খাতে কেবল একটা পেশার জনবলই থাকে না বরং বিভিন্ন পেশার সমন্বিত কর্মযজ্ঞের সম্মিলিত ফলাফলের উপর বস্তুত ঐ সার্ভিসের আউটকাম নির্ভর করে থাকে। আর এই সত্যটা সরকারের নীতি নির্ধারকেরাও জানেন ঠিকই কিন্তু তারা এক্ষেত্র বিরাজমান সমস্যা সংকুল খাত গুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথে হাটছেন না, ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যা পুঞ্জিভূত হয়ে পাহাড় সম সমস্যায় পরিণত হচ্ছে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব হতে এমন কিছু কথা শুনতে হয়েছে যা সত্যিই হতাশা ব্যঞ্জক।
ডাক্তারদের বিরুদ্ধে একটি কমন অভিযোগ ~
১) ডাক্তাররা গ্রামে থাকতে চান না।
এখন প্রশ্ন হলো ~
ডাক্তাররা কেনো গ্রামে থাকতে চান না?
এবার তাহলে বিষয়টা বিশ্লেষণ করা যাক।
ক) বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মেডিক্যাল সাইন্সে সেই দেশের সেরা বা মেধাবী ছাত্ররাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে থাকেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। স্বভাবতঃই এই সব ছাত্ররা যখন মেডিক্যাল গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী অর্জন করে তখন তাদের ভেতর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য, আরো পড়াশুনা করার জন্য অদম্য আগ্রহ কাজ করে। আর এই উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষা অর্জন ছাড়া যেমন পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জন সম্ভব নয়, তেমনি কোনো পদন্নোতি লাভও সম্ভব নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বাধীনতার আজ ৫০ বছরেও ডাক্তারদের ক্যারিয়ার বিল্ড আপের সরকারী কোনো রোড ম্যাপ আজো গড়ে উঠে নি।

খ) উল্লেখ্য, একমাত্র ডাক্তারী পেশাতেই প্রমোশনের ক্ষেত্রে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়। এ কথা ঠিক সব ডাক্তাররা বিশেষজ্ঞ হবেন না বা সবাই বিশেষজ্ঞ হবেন সেটাও প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তারদের ভাগ্য হলোঃ চাকুরীতে "জয়েনিং এজ মেডিক্যাল অফিসার এন্ড রিটায়ারিং এজ মেডিক্যাল অফিসার"। এ রকম উদাহরণ আপনাদের আশে পাশে ভুড়িভড়ি পাওয়া যাবে। একবার ভাবুন তো দেশের এক সময়ের দেশের সব চেয়ে মেধাবী ছাত্রটির জন্য এর চেয়ে ডিজগাস্টিং আর কি হতে পারে?

গ) বর্তমানে সরকার কর্তৃক নব নিযুক্ত সরকারি চিকিৎসকদের জন্য নূন্যতম দু'বছর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরী করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সরকারী চাকুরীতে পরবর্তী চাকুরীর ক্ষেত্রে পোস্টিং, বদলী, কোর্সের ক্ষেত্রে ভর্তি কিংবা পদন্নোতি কোনো ক্ষেত্রেই যারা গ্রামে চাকুরী করেন তাদের জন্য কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার বা প্রণোদনার ব্যবস্থা নেই। ফলে দেখা যায়
যাদের মামা-চাচার খুটির জোর আছে কিংবা রাজনৈতিক ভাবে সরকারী দলের আশির্বাদ পুষ্ট তারা অনায়াশে রাজধানী কিংবা বিভাগীয় শহরে সুবিধাজনক স্থানে তাদের পোস্টিং ম্যানেজ করে ফেলেন। আর যাদের তেমন খুটির জোর নেই তারা ডিউটি ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পিজি'র লাইব্রেরীতে খেয়ে না খেয়ে, রোদে ঝড়ে ভিজেও পড়াশুনা করার চেষ্টা করে, পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার জন্য।

আর যাদের সেই সুযোগ নেই তারা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গ্রামে অর্থাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঘুরপাক খেতে হয়। তাদের জন্য ঐ চক্র থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই, কারণ


তাদের পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী নেই,

তারা কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে পারে নি ফলে, তারা কোনো ডিগ্রী অর্জন করতে পারেনি,

তখন তার গ্রামে চাকুরী করার জন্য তাকে কোনো ক্রেডিট দেয়া হয় না বরং সেটা তখন তার ব্যর্থতা বা অযোগ্যতা হিসেবে সমাজে এবং রাষ্ট্রের কাছে বিবেচিত হয়।

ঘ) এ ক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জেলা সদর হাসপাতালে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি করণ সহ পদ আপগ্রেডেশন করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ান্তে চিকিৎসকদেরকে উপজেলা হতে জেলা সদর হাসপাতালে বদলীর সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

ঙ) যদি গ্রামে চাকুরী করা ডাক্তারদেরকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার না হোক অন্তত কোটা থাকতো, ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টে না হলেও নন- ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টস অথবা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন -এ অগ্রাধিকার দেয়া হতো, তা হলো ডাক্তাররা এই গ্লানি হতে উদ্ধার পেতেন।

বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের বক্তৃতায় চিকিৎসকদের ব্যাপারে তাঁদের পেশাগত স্কিল/উৎকর্ষতা সম্বন্ধেও সন্দেহ প্রকাশ করে বলা হয়ে থাকে~
২) "রোগী মারার না রোগী বাঁচানোর ডাক্তার তৈরী হচ্ছে, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে"।
এই কথাটির ভেতর চিকিৎসকদের স্কিলের ক্ষেত্রে সরাসরি অভিযোগ উত্থাপিত না হলেও এক ধরণে সন্দেহের আবহ পাওয়া যায়, আর যখন অভিযোগটি কোনো পাবলিক মিটিং এ উত্থাপিত হয়, তখন বিষয়টিকে ছোটো করে দেখার অবকাশ নেই। তাই বিষয়টি বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছেঃ
ক) মান সম্পন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা নিশ্চিত করতে কতগুলো বিষয়কে আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
অ) মেডিক্যাল কলেজের ভৌত অবকাঠামো।
আ) মান সম্মত মেডিক্যাল শিক্ষক (ক্লিনিক্যাল এবং নন- ক্লিনিক্যাল)।
ই) মান সম্মত ল্যাব ও শিক্ষা উপকরণ।
ঈ) রোগীদের মান সম্মত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মান সম্মত হাসপাতাল ও মান সম্মত প্রয়োজনীয় উপকরণ আছে কিনা?


ঙ) মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে "মেধা" বিবেচিত হচ্ছে নাকি অর্থ-বৈভব অগ্রাধিকার পাচ্ছে?
এবার এ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবেন এসব বিষয় মনিটরিং করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সংস্থা দায়িত্ব প্রাপ্ত কিন্তু সেগুলোকে এড্রেস না করে ঢালাও ভাবে মন্তব্য প্রকারান্তরে ডাক্তারদের প্রতি জনগণের নেগেটিভ অ্যাটিচুড ডেভলাপ করে।
প্রসংগত উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন রয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসৃত হচ্ছে কিনা(?) কিংবা যদি সেই নীতিমালা যথেষ্ট না হয় সেক্ষেত্রে নীতিমালা সংশোধন করা যেতে পারে। এবং সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিৎ বিষয় গুলো নিয়মিত মনিটরিং এর আওতায় আনা।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে "মেধাই" মূল নিয়ামক হওয়া বাঞ্চনীয়। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের " মেডিক্যাল এডুকেশন" উইং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

তবে যদি এমন হয় যে, কারো মেডিক্যালে পড়ার মতো "মেধা" আছে, কিন্তু মেডিক্যালে পড়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি সরকারী কিংবা বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে কিছু আসন সম্পূর্ণ "বিনামূল্য" কিংবা নির্দিষ্ট কিছু আসনে "স্বল্প সুদে" দীর্ঘ মেয়াদী "শিক্ষা ঋণ" প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

খ) এবার আসুন সেবার মান প্রসংগে। স্বাস্থ্য সেবা কখনো ডাক্তার কিংবা নার্সিং স্টাফ দিয়ে একক ভাবে পূর্ণাংগ স্বাস্থ্য সেবা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ একটি টীম ওয়ার্ক। যখন কোনো রোগী রিসিপশনে আসে সেখান থেকে শুরু করে ট্রলি বয়, আয়া, ওয়ার্ড বয়, নার্সিং স্টাফ, ল্যাব. ট্যাকনিশিয়ান, এক্স-রে ট্যাকনিশিয়ান, ফিজিও থ্যারাপিস্ট, নিউট্রিশনিস্ট, কাউন্সিলর, স্টোর কিপার, মেডিক্যাল অফিসার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সবাই হলেন এই টীমের সদস্য। মান সম্পন্ন চিকিৎসা দিতে হলে সবাইকে সমন্বিত ভাবে আন্তরিকতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করলেই কেবল মান সম্মত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেতে পারে। ব্যাপারটা অনেকটা একটা ফুলের মালার মতো। অনেকগুলো ফুলের গাঁথুনী দিয়ে একটি মালা গাথা হয় কিন্তু যদি কোনো একটি ফুল নষ্ট হয়, তা হলে পুরো পরিশ্রমটি ব্যর্থ হয়ে যায়। লক্ষ্য করুন এক্ষেত্রে, ডাক্তাররা "টিম লীডার" হিসেবে "দায়িত্ব সম্পন্ন একজন সদস্য" ঠিক কিন্তু সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নয়। মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সর্ব স্তরের কর্মচারীদের সমন্বিত কর্ম প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
গ) এবার হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে একটু আলোকপাত করা যাক।
মেডিক্যাল কলেজ এবং বিভিন্ন ইনিস্টিটিউশনের পরিচালকের অধিকাংশরাই আসেন আর্মি থেকে, জেলা সদর হাসপাতালের "ডাইরেক্টর" গণ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনগণ পদাধিকার বলে "অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত" হয়ে থাকেন। স্বভাবতঃই একজন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গেলে দু'টো দায়িত্ব কখনো পুরোপুরি সঠিক ভাবে পালন করা সম্ভব নয়, তাই এ ক্ষেত্রেও রোগীদের অভিযোগের অন্ত নেই। অন্য দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএইচএন্ডএফপিও -এর উপর সব দায়িত্ব কিন্তু ওনার সেকেন্ড ইন- কমান্ড কেউ নেই। সেজন্য উনার অনুপস্থিতি কিংবা প্রশাসনিক মিটিং কিংবা অফিসিয়াল কাজে স্টেশনের বাহিরে থাকলে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করার মতো দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায় না।
মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালের নার্সরা প্রশাসনিক ভাবে মেট্রনের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় কোনো নার্স যদি ডাক্তারদের অর্ডার ডিস-ওবে করে কিংবা অনুমতি ব্যতিরেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না। ওয়ার্ড বয় এবং আয়ারাও ওয়ার্ড-মাস্টারের নিয়ন্ত্রণাধীন। ওদের ছুটি-ছাটা ওয়ার্ড-মাস্টাররা নিয়ন্ত্রণ করেন।
তাই এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক রিফর্ম করা আবশ্যক।

রোগীদের খাদ্য সরবরাহের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়ী। কিন্তু সম্প্রতি সর্বত্র রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে যেখানে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদারি পেয়ে থাকে সে ক্ষত্রে নিম্ন মানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ এলেও ডাক্তারদের পক্ষে কি করার আছে? সব মিলিয়ে আসলে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।

তাছাড়া নব্বই এর দশকে একটি আইন করে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদেরকে তাদের নিজ জেলার বাহিরে বদলী করা যাবে না, এ ধরণের একটি আইন পাশ করায় বস্তুতঃ স্বাস্থ্য খাতে ডাক্তাররা তাদের অধঃস্তন কর্মচারীদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। এমন কি ক্ষেত্র বিশেষে ডাক্তারদেরকে তৃতীয় -চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতাদের অন্যায্য দাবী মেটাতে হচ্ছে আর সেটা পূরণ না করলে ডাক্তারদেরকে তৃতীয় /চতূর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দ্বারা নিগৃহীত হতে হচ্ছে। বস্তুত তৃতীয় -চতুর্থ শ্রেণীর বদলীর নিয়ম রদ করে তাদের নেতাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেটের কাছে আজ অধিকাংশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া আর একটি বিষয় হলো, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য প্রমোশনের কিংবা প্রণোদনার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে, তাদের ভেতর এক ধরনের অন্তর জ্বালা তথা হতাশা কাজ করে যা তাদেরকে কাজ করতে অনুৎসাহিত করে।

হাসপাতালের সার্বিক সার্ভিসের মানোন্নয়ন করতে এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
বস্তুতঃ স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনা এত ব্যাপক এবং জটিল (কমপ্লেক্স) যে এত অল্প পরিসরে তা সম্পূর্ণ ভাবে আলোচনা করা সম্ভব নয়। আমি কেবল আপনাদের চিন্তার খোরাক দিলাম। তবে যে জন্য এত কথার অবতারণা করলাম, সেটা হলো,

সব অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার জন্য যেভাবে ডাক্তারদের অভিযুক্ত করা হয় সেটার জন্য ডাক্তাররা আংশিক দায়ী হলেও শত ভাগ দায়ী নয়। তবে এমন নৈরাজ্য জনক পরিস্হিতিও কারো কাম্য নয়।

তৃতীয় -চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলী রদ সংক্রান্ত বিধিটি সংশোধন পূর্বক যুগোপযোগী ধারা সংযুক্ত করতে হবে।

তাই চিকিৎসকদের জন্য বদলী ও পদোন্নতির নীতিমালা প্রনয়ন, ডাক্তারদের ক্যারিয়ার প্লানিং-এর উপযোগী নীতিমালা প্রনয়ন, চিকিৎসকদের পদ সংখ্যা বৃদ্ধি ও পদ আপগ্রডেশনসহ সার্বিক ভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো আবশ্যক।

সিওমেক
২১তম ব্যাচ।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়