Dr. Aminul Islam

Published:
2021-07-05 16:55:59 BdST

পারকিন্সন রোগ ধাপে ধাপে



অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যাচার্য
__________________________

পারকিন্সন রোগ ধাপে ধাপে

এক রহস্যময় আর কম জানা এই পারকিন্সনের রোগ । স্ন্যায়ু তন্ত্র হয় প্রভাবিত আর এতে ব্যাহত হয় দেহের চলন সঞ্চালন, চালক স্নায়ুর নিয়ন্ত্রন আর বুদ্ধি বৃত্তি
উপসর্গ গুলো ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হয় দীর্ঘ দিনে অবস্থা হয় শোচনীয় ।
ঠিক সময়ে নির্ণয় হলে সুফল আছে উপযুক্ত চিকিৎসা কমিয়ে আনে শরীরে কাপুনি, সঞ্চলনের সীমাবদ্ধতা আর অন্যনান্য উপসর্গ ।

একে বলা হয় স্নায়ু অবক্ষয়ের রোগ নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিজিজ ।
মগজ বা স্নায়ুর এক ক্রমান্বয়ে অগ্রসর রোগ , । হাতে কাপুনি হল
লক্ষ্যনীয় উপসর্গ । এই রোগ আক্রান্ত করে মগজের বিশেষ এলাকা
" সাবসটেনসিয়া নাইগ্রা " ।
পারকিন্সন ফাউনডেশনের মতে এক মিলিয়ন আমেরিকান আর বিশ্ব জুড়ে ১০ মিলিয়ন মানুষ তে আক্রান্ত।
সঠিক কারন না জানা গেলেও সম্ভাব্য ঝুকি চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা
।১। জিন । ১০-১৫ % মানুষ যারা আক্রান্ত হন এদের পরিবারের কারো না কারো থাকে এই রোগ
২। বয়স। এই রোগ দেখা যায় ৫০-০ বছর পেরুলে।
৩। জেন্ডার । নারীর চেয়ে পুরুষের এ রোগে আক্ত্রান্ত হবার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেশি।
৪। পরিবেশ । রাসায়নিক পেশা গত ঝুকি, মাথায় আঘাত, কীট নাশক গুল্ম নাশকের মুখা মুখি হলে।

রোগের অগ্রসর হওয়া ঘটে ৫ টি ধাপে ধাপে।বিশেষ এ র নমুনা তবে এর দ্রুতি রোগী ভেদে ভিন্ন ভিন্ন।অনেকের এত উপসর্গ নেই আবার অনেকের থাকে গুরুতর সব উপসর্গ ।অনেকের হয় গুরুতর কাপুনি কিন্তু বুদ্ধি বৃত্তি থাকে ঠিক আবার অনেকের থাকে ডি মেন শিয়া আর ব্যালেনস সমস্যা।
উপসর্গ এগোয় ক্রমে ক্রমে ১০ বছর ধরে ।

ধাপ ১।
তেমন লক্ষ্যনীয় হয়না, । একটি হাত দৃঢ় শক্ত ভাব বা সামান্য কাপুনি।
অস্পষ্ট উপসর্গ ।হাটার সময় দোলেনা আগের মত , পা মনে হয় ভারি ।
কথা নরম একটু জড়ানো লিখা ছোট ছোট আর লেখার ভিড় হয়ে যায় ।
পরিবারের লোক বা বন্ধুরা দেখে দেহ ভঙ্গিতে পরিবর্তন , মুখের ভঙ্গি অনেক কম প্রকাশিত আর এতে ইমশনের প্রকাশ তেমন নেই। ওষুধ পত্র কিছু নিয়ন্ত্রন করে উপসর্গ ।

ধাপ২।
মাঝারি ধাপ , উপসর্গ এগুতে থাকে, রোগী প্রাত্যহিক কাযে অনেকটা স্বনির্ভর । কিছু জটিল কর্মে সমস্যা হয়। এই ধাপ ধীর মাসাধিক বা বৎসর অধিক কাল। দেহের দু পাশে পেশি আট সাট শক্ত ভাব তবে ব্যাল্যান্সে তত সমস্যা নাই। হাঁটার সময় দেহ ভঙ্গীতে রিবর্তন , কথা বলায় সমস্যা।

ধাপ তিন।
এ হল মধ্য পর্যায় এই ধাপে আসতে লেগে যায় ৩-৭ বছর । সঞ্চলন আর কথা বলা অনেক ধীর , কথা বলায় বেশ সমস্যা। হাটতে বা দিক পরিবর্তন করতে গেলে মনে হয় পা মেঝেতে আটকে গেছে, পদক্ষেপ হয় ছোট ছোট ব্যালেন্সে সমস্যা।
অনেকে এ সময় স্ব নির্ভর থাক্লেও জটিল কাজ যেমন সুপের বাটি থেকে খাওয়া, জুতার ফিতা লাগানো , সমস্যা। ওষুধ দেন ডাক্তার রা ডোজ বেশি , পুন পুন।

ধাপ ৪ ।
এই ধাপে পৌঁছালে তাদের স্ব নির্ভরতা আর থাকেনা হাটতে , চলতে ফিরতে লাগে সহায়তা , লাঠি বা ওয়া কার। নেক রোগী সে ধাপে পৌঁছান না । দিনের কাজ করা হয় কঠিন , ব্যাথা, দেহ ভঙ্গি , কাপুনি হয় বাধা।
এ ধাপে পৌঁছে যেতে লাগে ১২ বছর ।

ধাপ ৫।
সবচেয়ে গুরুতর আর পঙ্গু করে দেয় রোগীকে । তার দরকার হয় অবিরাম পরিচর্যা

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়