ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-05-26 19:19:48 BdST

মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা চিকিৎসক ওএসডি: ওদিকে পিপিই' নিয়ে বলায় মানসিক হাসপাতালে



ডাক্তারের হাত পেছনে বেঁধে পুলিশ মারধর করেছে: বিবিসি,বিশাখাপত্তনম

ডেস্ক
________________________

"মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা চিকিৎসক ওএসডি": এ ঘটনা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার । হোটেল বাতিল করায় মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ ৩ চিকিৎসককে বদলী ও ১ জনকে ওএসডি। এ ঘটনাও ঢাকার।
আর বিশাখাপত্তনম-এর ঘটনা আরও ভয়াবহ।
পিপিই'র অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা চিকিৎসককে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছে তাকে।
এভাবেই উপমহাদেশ ব্যাপী নির্যাতিত হচ্ছে জীবনদানের অগ্রসৈনিকেরা। ছিনিমিনি চলছে তাদের নিয়ে।


ডা. মোহাম্মদ টিপু সুলতান লিখেছেন

ঘটনা-১ঃ ২৯-০৪-২০২০ইং

"মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা চিকিৎসক ওএসডি":

রাজধানীর ৫০০ শয্য বিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তার অবসরে যাওয়ার মাত্র ৭ মাস বাকি ছিল।

সম্প্রতি কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে দেওয়া মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই পরিচালক। তিনি এ বিষয়ে মতামত চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার সাদিকুল ইসলামকে ওএসডি করে আদেশ জারি করা হয়। এ সংক্রান্ত চিঠি সাদিকুল ইসলাম হাতে পেয়েছেন। তবে এ সংক্রান্ত আদেশে ওএসডি করার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষাসামগ্রী দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে মাস্কও আছে। রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে 'এন–৯৫' মাস্কের নামে যেসব মাস্ক দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এন-৯৫ মাস্ক লেখা মোড়কে দেওয়া হয়েছিল মুন্সিগঞ্জে তৈরি করা মাস্ক। গত ১ এপ্রিল শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়, হাসপাতালের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ কেন্দ্রীয় ঔষধাগার অন্যান্য মালামালের সঙ্গে ৩০০টি এন–৯৫ মাস্ক সরবরাহ করেছে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্কের প্রস্তুতকারী।

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো

ঘটনা-২ঃ ২৩-০৫-২০২০ইং

হোটেল বাতিল করায় মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ ৩ চিকিৎসককে বদলী ও ১ জনকে ওএসডি।

রাজধানীর সরকারি মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষসহ চার চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক নির্দেশনায় এই বদলি কার্যকর করা হয়।

বদলিকৃতরা হলেন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহ গোলাম নবী তুহিনকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে। সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাহবুবর রহমান কচিকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে। হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিঠুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল মোত্তালেবকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই হাসপাতালের চার জন গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসককে বদলি করায় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মুগদা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে আড়াইশ বেডে করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডিউটি করার পর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিজয়নগরে অবস্থিত একাত্তর নামে হোটেলে।

গত মাসের ২০ এপ্রিল থেকে ওই হোটেলে চিকিৎসকরা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু হোটেলের সেবা কার্যক্রমে অবস্থানরত চিকিৎসকরা মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসকদের জন্য হোটেল যাতায়াত ও খাদ্য কমিটির সভাপতি হলেন ডা. মনিলাল আইচ লিঠু। চিকিৎসকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি ওই হোটেলের সিও ও ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেন।

চলতি মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত ৩৫ জন চিকিৎসক ওই হোটেল থাকেন। হোটেলের বিল বাবদ ৩৫ লাখ পরিশোধ করে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হোটেল যাতায়াত ও খাদ্য কমিটি। এরপরই চিকিৎসকদের জন্য গুলশানের ওরিয়েন্টাল হোটেল ঠিক করা হয়। হোটেল একাত্তরে থাকার ব্যবস্থপনা বাতিল করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার এই চার চিকিৎসককে বদলি করা হয় বলে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা মনে করছেন।

তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

আসলে এদেশে সৎ লোকদের মূল্যায়ন তো নেই ই,পদে পদে খালি বিপদ। এদেশে নকল মাস্ক সরবরাহকারী ও হোটেল ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। তাদের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু হলেই তারা মন্ত্রণালয়ের একশ্রেণীর দূর্নীতিবাজ পেইড কর্মকর্তাদের যোগসাযোশে সৎ ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে থাকেন।

 

এবার আসি উপমহাদেশের ঘটনায়।
করোনাভাইরাস: পিপিই'র অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা চিকিৎসককে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি
বিবিসি ---------------
বিশ বছরের অভিজ্ঞ অ্যানেস্থেটিস্ট সুধাকর রাও দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন গত সপ্তাহান্তে।

তার ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে দক্ষিণের বিশাখাপত্তনম শহরের একটি মহাসড়কে ডাক্তার রাও-এর সঙ্গে পুলিশের এক ধরণের রেষারেষির ঘটনা ঘটেছে। ডা. রাও এই শহরের বাসিন্দা এবং তিনি এখানেই কাজ করেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, তাকে পরে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভারতীয় চিকিৎসকেরা হাসপাতালের প্রস্তুতির অভাব বা হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতির বিষয়ে কথা বলার কারণে তোপের মুখে পড়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে।

ডা. রাও-এর ক্ষেত্রে কী হয়েছে?

শনিবার থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনাটির যে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে, তাতে একটি যোগসূত্র দেখতে পাওয়া যায়।

ডা. রাওকে প্রথমে রাস্তার পাশে তার গাড়ির ভিতরে শার্ট ছাড়া অবস্থায় বসে বসে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করতে দেখা যায়।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কনস্টেবল তাকে লাঠিপেটা করার সাথে সাথে তিনি হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে পড়েন।

কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, এবং এ ব্যাপারে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শেষ ভিডিওতে পুলিশ কর্মকর্তারা উৎসুক জনতার সামনে ওই ডাক্তারকে একটি অটোরিকশায় তুলে নেয়।

অটোরিকশায় ওঠার আগে ডা. রাও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছিলেন - তারা ততক্ষণে জড়ো হয়ে জানার চেষ্টা করেছেন যে কী হয়েছে।

তিনি বলেছেন যে পুলিশ সদস্যরা তার গাড়ি থামিয়ে তাকে জোর করে নামিয়ে আনে। "তারা আমার ফোন এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় আর আমাকে পেটায়," এই অভিযোগ করেন তিনি।

তাঁকে আটকে রাখা নিয়ে বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী এবং অন্যান্যরা রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

বিরোধীদলগুলো পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ আনে।

ডা. রাওয়ের মামলা আগে থেকেই বিতর্কিত, কারণ তিনি ইতিমধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন।


তাকে কেন বরখাস্ত করা হয়েছিল?
গত ৩রা এপ্রিল একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডা. রাও গণমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন যে ডাক্তারদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা গাউন এবং মাস্ক দেয়া হচ্ছে না।

তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে তিনি এই বিষয়গুলো উত্থাপন করলে তাকে বৈঠক থেকে চলে যেতে বলা হয়।

"নতুন মাস্ক চাওয়ার আগে তারা আমাদের বলেছে একটি মাস্ক ১৫ দিন ব্যবহার করতে। আমরা কীভাবে আমাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে রোগীদের চিকিৎসা দেব?" - তিনি স্থানীয় টেলিভিশন সাংবাদিকদের সামনে এমন একটি বক্তব্য দিলে সেটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।

সরকার এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেও এর আগেই ডা. রাওকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের না করে তিনি জনসমক্ষে কেন বক্তব্য দিয়েছেন? তাদের দাবি, এ ধরনের বক্তব্যের কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কয়েক দিন পরে, ডা. রাও একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যাতে দেখা যায় তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাঁর সাসপেনশন বাতিল করার জন্য বলেছেন। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।


ডা. রাও এবং তার পরিবারের অভিযোগ যে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব রয়েছে - এমন কথা বলার পর থেকেই তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

শনিবার ডা. রাও বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে লোকজন আমাকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে।"

তাঁর মা কাবেরি রাও বিবিসি তেলেগু সার্ভিসকে বলেছেন যে তাঁর কোনও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা নেই।

"সে একজন নামী ডাক্তার," তিনি বলেন। "এই উদ্বেগগুলো প্রকাশের দিন থেকেই সে নানা ধরণের নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছে। লোকেরা যখন আমাকে ফোন করে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন আমার খারাপ লাগে। কয়েক সপ্তাহ ধরে সে খুব চাপের মধ্যে ছিল।"

কর্মকর্তারা কী বলছে?
একটি মাতাল লোক মহাসড়কে উদভ্রান্ত আচরণ করছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

বিশাখাপটনাম পুলিশ কমিশনার আর. কে. মিনা বিবিসি তেলেগুকে বলেছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত তার কর্মকর্তারা জানতেন না যে ওই ব্যক্তি ডা. রাও।

পুলিশের অভিযোগ, ডা. রাও রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন এবং একটি মদের বোতল রাস্তায় ছুড়ে মেরেছিলেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন যে পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই আশেপাশের পথচারীরা দড়ি দিয়ে তার হাত বেঁধে ফেলে।

পুলিশ ডা. রাওয়ের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ এনে মামলা করে
তারা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও ক্ষতি করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

তবে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি এবং এখনও পর্যন্ত কোনও প্রত্যক্ষদর্শী সরকারি দাবির পক্ষে অবস্থান নেয়নি।

ডা. রাওকে আটক করার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে একজন পুলিশ স্থানীয় আরেকজনের সাহায্যে তার হাত বাঁধছেন।

মি. মিনা সাংবাদিকদের বলেন, "তিনি পুলিশের সাথে অভদ্র আচরণ করেছিলেন। তিনি একজন কনস্টেবলের কাছ থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন।"

"তিনি সম্ভবত মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।"

তিনি আরও যোগ করেন যে ডা. রাওকে প্রথমে একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানকার চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন যে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিত।

হাসপাতালের সুপার ডা. রাধা রানী বিবিসি তেলেগু সার্ভিসকে বলেছেন যে ডা. রাওকে স্থিতিশীল বলে মনে হলেও দু'সপ্তাহ ধরে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যাতে তার "সার্বিক অবস্থা সম্পূর্ণরূপে নির্ণয়" করা যায়।

__________________________

 

AD..

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়