Ameen Qudir

Published:
2020-02-22 23:32:47 BdST

'কেন ক্যাথ ল্যাবের উদ্বোধনে যাই নি তা নাকি অনেক জ্ঞানী বিজ্ঞ পেশাজীবি বুঝেন নি!'


ব্রিগেডিয়ার ডা.নাসিরউদ্দিন আহমেদ

_______________________

 

গুটিকয়েক জ্ঞান পাপী মানুষের ভীড়ে সত্য বচন কে অতি চালাকি বা চতুরতার সাথে অনেক বুঝেও না বুঝার ভান করেন।

আমি কেন ক্যাথ ল্যাবের উদ্বোধন এ যাই নি তা নাকি অনেক সন্মানিত ও জ্ঞানী বিজ্ঞ পেশাজীবি বুঝেন নি।

এবার পরিস্কার করেই বলি। হাস্পাতালের পরিচালক ;প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে খুব বিনয়ের সাথে তার সেনানিবাসের রেসিডেন্ট কাম অফিসে কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ১৩ তারিখ ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে সাক্ষাৎ করতে অনুরোধ করেছিলেন। ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হিব্রুর বারীর মাধ্যমে ১২ ই ফেব্রুয়ারী রাতে পরিচালক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কে অনুরোধ করেন যেন পরদিন ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে কার্ডিওলজি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলে এবং প্রশাসনের সকলে ১১ টা থেকে১২ টার মধ্যে সেনানিবাসে আসেন।

কারন পরিচালক অসুস্থ অবস্থায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথ ল্যাবের জন্য ৭ তারিখ থেকে রাত ২ পর্যন্ত প্রতিদিন মিটিং করেছেন।

১৩ ফেব্রুয়ারিতে পরিচালক বিভাগীয় প্রধান , কার্ডিওলজি বিভাগের সন্মানিত অধ্যাপক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ক্যাথ ল্যাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অবহিত হওয়ার জন্য ক্যান্টনমেন্টের অফিস কাম রেসিডেন্সএ ডেকেছিলেন এজন্য যে কোন বিষয়ে অপুর্নতা আছে কিনা তা জানার জন্য এবং সমাধানের জন্য।

কার্ডিওলজি বিভাগের সন্মানিত বিভাগীয় প্রধান আসতে অপারগতা প্রকাশ কেন করেছেন; তা তিনি জানাননি পরিচালক হাসপাতাল কে।১৩ ফেব্রুয়ারী ১২ টা ৩০ মিনিটে হাস্পাতালের উপপরিচালক এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পর আমি মিটিং ক্যান্সেল করেছি।

★উল্লেখ্য একজন জেলা প্রশাসক তার রেডিডেন্সে বা বাসভবনে প্রয়োজন এ অফিস করেন। এটা সংস্থা প্রধনের জন্য একটা রীতি।

আমি অসুস্থজনিত ছুটি তে থাকার কারনেই তাঁদের সেনাবাসে সংগত কারনেই ডেকেছি।

হাসপাতালের পেশাগত বিষয়ে সকলেই পরিচালকের কাছে দায়বব্ধ।

যিনি যুক্তি সংগত কারন ছাড়া শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছেন তিনি বা তাদের ব্যাপারে নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনারা সাধারণ জনগনের দেয়া সার্ভিস চার্জ ও পরিচালক অনেক কষ্ট করে ১ কোটি টাকা প্রাইভেট ভাবে খরচ করেছেন ক্যাথ ল্যাবের জন্য এবং ক্যাথল্যাবের সম্ভব সকল চাহিদা শত ভাগ পুরুন করেছেন।

এখানে কোন ধনাঢ্য ব্যক্তি বা কোন রাজনীতিবিদ বা পেশাজীবি নেতাদের কোন সাহায্য ছিল না।

দুখজনক হলেও সত্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রশাসন কর্তৃক জুনিয়র কে বিভাগীয় প্রধান করা হয় সিনিয়র কে ডিংগিয়ে।

পোস্ট গ্রেজুয়েট ডিগ্রি বিহীন মেডিকেল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বে কারো আস্থাভাজন ব্যাক্তি কে বসানো হয়েছে।প্রত্যেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পোস্ট গ্রেজুয়েশান ডিগ্রী ছাড়া পদোন্নতি পান না বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী

আরো অনেক অনিয়ম আছে।যারা অনিয়ম কে প্রশ্রয় দেয় ও অনিয়ম করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ইনশাল্লহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে যদিও তারা পি আর এল এ যান।

সব সংস্থাই জবাবদিহীর উর্ধ্বে নয়।
_____________________
ব্রিগেডিয়ার ডা. নাসিরউদ্দিন আহমেদ
বিনীত
পরিচালক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়