Ameen Qudir

Published:
2020-02-17 00:18:20 BdST

বিএমডিসির অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনে রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা



ডেস্ক
______________________

বিএমডিসির অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য , এটা তাদের ন্যায্য দাবি। এ নিয়ে সুবিচার চান তারা।

তারেক কামালের এক লেখায় জানা গেল বিস্তারিত। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে অভিভাবকদের মাঝেও।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন। এর আগে শনিবার দুপুরে সভা করেন কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গত সাত বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটিতে অব্যাহতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি বিএমডিসি’র। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেও এই কলেজটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ উঠে। মেডিক্যাল কলেজের অনুমতি না থাকার পরেও ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে ওইসময় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর ২০১৫-১৬ শেসনে অনুমতি ছাড়ায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করায় পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ কলেজটি ওই সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ছিল।
শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, এই কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন এমবিবিএস পাশ করেন গত বছরের মার্চে। কিন্তু কলেজটির বিএমডিসি’র অনুমোদন না থাকায় ওই শিক্ষার্থীরা গত এক বছর ধরে ইন্টার্নশীপ করতে পারছেন না। এতে করে তাঁরা প্র্যাক্টিস করারও অনুমতি পাচ্ছেন না। ফলে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসক হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হয়ে আছেন তারা।
এখন পর্যন্ত মোট সাতটি ব্যাচে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে কলেজটিতে। এর মধ্যে প্রথম ২ ব্যাচ ও চতুর্থ ব্যাচে ২৫ জন করে এবং পরবর্তিতে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন মিলে। তবে কলেজটিতে শুরু থেকেই অনুমোদন না থাকা, শিক্ষক সংকট এবং হাসপাতালে রোগী না থাকায় আসন ফাঁকায় থেকে যায়।
কলেজের এমবিবিএস পাশ করা শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নানা সংকটের মধ্যেও আমি গত বছর ১২ মার্চ এমবিবিএস পাশ করেছি। কিন্তু কেন ইন্টার্নশীপ করতে পারছি না, সেটি জানতে বার বার মেডিক্যাল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গেছি। কিন্তু তারা আমাকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টো আমাকেই নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যেন আমি বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করি।’
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীন গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শন করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে। হয়তো দ্রুত আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো। তবে কিছু শিক্ষার্থী হয়তো কারো দ্বারা প্ররোচণায় আন্দোলনে যাচ্ছে। তারপরেও তারা তাদের ন্যায্য দাবি উত্থাপন করতেই পারে।’
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কলেজে পরিদর্শন শেষে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন দেয়। কিন্তু সেখানে ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে এই অনিয়ম রাবি কলেজ পরিদর্শকের নজরে আসার পর ২০১৬ সালে সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সদুত্তর না পাওয়ায় সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীরাও নানা ভোগান্তির শিকার হোন। তারা ৬ মাস ধরে শেসনজটে পড়েন।

 লেখা ও ছবি তারেক কামালের সৌজন্যে পাওয়া।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়