Ameen Qudir

Published:
2020-02-16 00:11:09 BdST

ইনফেকশাস ডিজিজ কন্ট্রোল হাসপাতাল গড়ুন, কোথাও থাকলে আধুনিকায়ন করুন



ডা. আজাদ হাসান
________________________


Quarantine এবং Isolation
এ দু'টি পদ্ধতি পাবলিক হেলথ-এ ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত দু'টি প্রতিরোধ মূলক স্বাস্থ্য সেবার পদ্ধতি।
Quarantine (পৃথকীকরণ) এবং Isolation (বিচ্ছিন্নতা ) হ'ল জনসাধারণের স্বাস্থ্যচর্চা যা সংক্রামক রোগের বিস্তার থামাতে বা সীমাবদ্ধ করতে অনুসরণ করা / ব্যবহৃত হয়।
Quarantine(বা পৃথকীকরণ):
কোয়ারেনটাইন (বা পৃথকীকরণ) এমন একটি প্রতিরোধ মূলক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা যখন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।

যে সব লোক কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয় কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিনা (?) তা অবজার্ভেশন বা পর্যবেক্ষণ করার জন্য অনুসরণ করা হয়।
এসব ব্যক্তিরা কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং এটি জানেন না যে তাদের এই রোগ হতে পারে, কিংবা তখনও লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় নাই বা দেখা যায় নাই। তাদের ক্ষেত্রে এটি অনুসরণ করা হয়।
এভাবে "কোয়ারেন্টাইন" সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার সীমাবদ্ধ করতেও সহায়তা করতে পারে।

আইসোলেশন (বা বিচ্ছিন্নতা):
এটি এমন একটি প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা যা অনুসরণ করে কিছু নির্দিষ্ট রোগের বিস্তার রোধে সহায়তার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিদের চলাচল রেস্ট্রিকটেড বা সীমিত করণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যক্ষা সংক্রামক রোগীদের জন্য সংক্রমন ছড়ানো প্রতিরোধ কল্পে হাসপাতালগুলি আইসোলেশন (বা বিচ্ছিন্নতা) ব্যবস্থার অবলম্বন করে থাকেন।

এভাবে Isolation (বা বিচ্ছিন্নতা): এমন একটি ব্যবস্থা যখন অসুস্থ ব্যক্তি যাদের "ইনফেকশাস ডিজিজ"/ রোগ রয়েছে তাদেরকে যারা সুস্থ ব্যক্তি তাদের থেকে আলাদা রাখতে অনুসরণ করা হয়।
আমার যত দূর মনে পড়ে পুরানো সব ডিস্ট্রিক্ট শহরে "ইনফেকশাস ডিজিজ কন্ট্রোল" হাসপাতাল রয়েছে। যা "টিবি হাসপাতাল" নামে পরিচিত।
আমার ধারণা এই হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডই বছরের বেশীর ভাগ সময় আন্-অকুপাইড বা অব্যবহৃত পড়ে থাকে।

"করোনা" ভাইরাস-এর মতো রোগের প্রাদুর্ভাবের সময়, কিংবা এ জাতীয় ন্যাশনাল ক্রাইসিসের সময় রোগীদের "আইসোলেশন" বা "কোরেন্টাইল" করতে এই সব হাসপাতালগুলোকে ব্যবহার করা যায়।
প্রসংগত উল্লেখ্য, বর্তমান গ্লোবালাইজেশন এর যুগে বিগত কয়েক বছরের ডিজিজ প্যাটার্ন স্ট্যাডি করলে দেখা যাচ্ছে যে, ইদানীং সময়ে বেশ কিছু ইনফেকশাস ডিজিজ দেখা যাচ্ছে যার জন্য রোগীদের আইসোলেশন কিংবা কোরেনটাইন করার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। আর সে জন্য কি আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে? উত্তর সম্ভবত নেই বা থাকলেও সেটা ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ডের মানদণ্ডে নিতান্ত অপর্যাপ্ত বা অসম্পূর্ণ। সুতরাং সময় এসেছে প্রতিটি ডিস্ট্রিক্ট শহরে যেখানে যেখানে "ইনফেকশাস ডিজিজ কন্ট্রোল " হাসপাতাল রয়েছে সেগুলো আপডেট করে আধুনিকায়ন করা এবং যে সব জেলায় এখনো "ইনফেকশাস ডিজিজ কন্ট্রোল " হাসপাতাল নেই সে সব স্থানে ইনফেকশাস ডিজিজ কন্ট্রোল " হাসপাতাল স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রসংগত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সমগ্র বিশ্বে যে স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়ে চিন্তিত তার নাম "করোনা" ভাইরাস। এই "করোনা" ভাইরাসের সংক্রমণ হতে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য। আমাদের দেশের সবগুলো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ( শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরসহ সকল বিমান বন্দর), সকল নৌবন্দর (চট্টগ্রাম, মোংলা নৌবন্দর) এবং সকল স্থল বন্দরে ( বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, হিলি, টেকনাফ, আখাউড়া, গোয়াইনঘাট, ভুরুঙ্গামারি ইত্যাদি) দেশের বাহির হতে প্রবেশকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে যথাযথ ভাবে মনিটরিং করে প্রবেশানুমতি দিতে হবে।তা ছাড়া কোরেনটাইন সেন্টার এবং আইসোলেশন সেন্টার সমূহে নিম্নলিখিত বিষয় সমূহ নিশ্চিত করতে হবে:
 স্বাস্থ্য সম্মত খোলামেলা স্বাস্থ্য সম্মত আবাসিক পরিবেশ,
 মান সম্পন্ন ক্যান্টিন এবং উন্নত খাবার সরবরাহ,
বিনোদনের জন্য নিউজ পেপার এবং টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।
 আধুনিক চিকিৎসা সেবার সুবিধাদি সম্বলিত হাসপাতাল, চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিক্স নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
 রোগীদের জন্য যথাযথ ইনভেস্টিগেশন ফ্যাসিলিটি, রেপিড ডায়গনসিস কিট্ বা রিএজেন্ট সম্বলিত ল্যাবরেটরি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
 উক্ত কর্মস্থলে যারা স্বাস্থ্য সেবা দিবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য ১) পর্যাপ্ত ফেস মাকস্ (এন-৯), ২) এলকোহলিক হ্যান্ড ওয়াশ, ৩) হ্যান্ড গ্লাফ্স সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
 উক্ত কর্মস্থলে যেসব চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারা-মেডিক স্টাফ কাজ করবেন তাদের জন্য "রিস্ক এলাউন্স" এবং "বিশেষ প্রণদোনার" ব্যবস্থা করতে হবে।
 জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো হতে,
জনগণকে কি ধরনের প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে সে সম্পর্কে টেলিভিশন সহ সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
আর এভাবে সকল সেক্টরের সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের মতো ইনফেকশাস ডিজিজ এর মতো পাবলিক হেলথ্ প্রবলেম বা সমস্যা সমূহ নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ নিতে হবে।________________________

ডা. আজাদ হাসান
সিওমেক
২১ তম ব্যাচ।

Note:
Quarantine and Isolation
are public health practices used to stop or limit the spread of disease.

Quarantine is used to separate and restrict the movement of suspected persons who may have been exposed to a communicable disease to see if they become ill. These people may have been exposed to a disease and do not know it, or they may have the disease but do not show symptoms. Thus, Quarantine can help limit the spread of communicable disease.

Isolation is used to separate ill persons who have a communicable disease from those who are healthy. Isolation restricts the movement of ill-persons to help stop the spread of certain diseases. For example, hospitals use isolation for patients with infectious tuberculosis.

Thus, Quarantine and Isolation are used to protect the public health by preventing exposure to persons who may be infected or preventing exposure to infected persons.

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়