Ameen Qudir

Published:
2019-08-22 20:11:24 BdST

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ১৩ প্রস্তাবনা


ফাইল ছবি 

 


ডা. সুরেশ তুলসান
_______________________


বিষয় - বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমার কিছু প্রস্তাবনা
১. একই সময়ে একই দিনে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সকল সরকারি, বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল থাকবে।

২.ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় সকল সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে পছন্দক্রম দেয়ার সুযোগ থাকতে হবে। তা হোক না তা লম্বায় কয়েকশো, আজকের ডিজিটাল যুগে এটা কোন দাপ্তরিক সমস্যা হবে বলে মনে হয় না

৩. একজন শিক্ষার্থী কোন বেসরকারি মেডিকেল এ ভর্তি হবে সেটা যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নির্ধারিত হতে হবে। দামের তারতম্যের এবং দাম দেওয়ার সক্ষমতার ভিত্তিতে নয়।

৪. চিকিৎসা শিক্ষার বাণিজ্যিক করন মেনে নিতেই অনেক কষ্ট হয়েছে আমাদের। দাম এবং দাম দেওয়ার সামর্থের ভিত্তিতে মানের তারতম্য কোন ভাবেই মেনে নেয়া যাবে না।

৫.সুতরাং সকল বেসরকারি মেডিকেল এর ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ পছন্দ অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে হতে হবে এবং কে কোন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবে সেটা সরকারি মেডিকেল কলেজের মত করেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে উল্লেখ খাকবে।

৬. অপেক্ষামান তালিকা হতে ভর্তি এবং পরবর্তীতে অটোমাগ্রেশন অবশ্যই সরকারি মেডিকেল কলেজ সমুহের মত একই নিয়মে হতে হবে।

৭.কোন একজন শিক্ষার্থী কোন একটি বেসরকারি মেডিকেল এ ভর্তি হওয়ার পর অপেক্ষামান তালিকা হতে কোন সরকারি মেডিকেল এ ভর্তির সুযোগ পেলে তার ভর্তির সময় জমাকৃত সমুদয় টাকা ফেরত দিতে হবে।

৮.অনুরূপ ভাবে একজন শিক্ষার্থী কোন একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির হওয়ার পর তার পুর্ববর্তী পছন্দের কোন বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হলে তাকে মাইগ্রেশন এর সুযোগ দিতে হবে। এবং তার ভর্তিকৃত কলেজে জমা কৃত সমস্ত টাকা তার মাইগ্রেশন কৃত নুতন কলেজে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯.সকল বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ও আনুষঙ্গিক খরচ অবশ্যই সমান এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে হতে হবে।

১০.সরকার যদি মনে করে কোন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মান সম্পন্ন নয় এবং কোন ভাবেই মানের উন্নতি করা যাচ্ছে না। তাহলে কম দামে বাজারজাত করার চাইতে সেই কলেজ কে বন্ধ করে দিতে হবে।

১১. সরকার ইচ্ছে করলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমুহের কিছু আসন টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারে। এবং এই সকল আসনে জাতীয় মেধা তালিকা থেকে প্রকৃত মেধাবী ছাত্র - ছাত্রী ভর্তি হয়ে সরকারী মেডিকেল এর মত অল্প খরচে পড়াশোনা করতে পারবে। একটি পুর্ণাংগ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করে MBBS এর আসনপ্রতি সরকারের যত টাকা খরচ হয়, এই পদ্ধতিতে আসন প্রতি সরকারের ব্যয় তার চাইতে অনেক কম হবে।উপরন্ত এই পদ্ধতির ফলে শুধুমাত্র বাপের টাকায় যোগ্যতা এবং মেধার চরম ঘাটতি থাকা স্বত্বেও যে সকল ছাত্রছাত্রী বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হবে, তারা সরকারের ক্রয়কৃত এই সকল আসনে ভর্তিকৃত কিছু প্রকৃত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরকে সহপাঠী হিসাবে পাবে। চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে একজন ভালো মানের মেধাবী সহপাঠীর গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। আমি হলফ করে বলতে পারি চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে শিক্ষকদের কাছ থেকে যতখানি জ্ঞান লাভ করে, তার প্রায় সমানই অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে বেশী জ্ঞান লাভ করে ভাল মেধাবী সহপাঠীদের কাছ থেকে।

১২. বিদেশী কোটায় শুধুমাত্র বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীই ভর্তি করতে হবে। যদি কোন কারনে দেশী ছাত্র ভর্তি করতে হয় তবে তা অবশ্যই মেধাক্রম মেনে করতে হবে, এবং কোনভাবেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।

১৩. কোন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তি সংক্রান্ত কোন আলাদা বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত বিজ্ঞাপনে সকল সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর তালিকা ও তথ্য দেয়া থাকবে। ফলে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী দের বিভ্রান্ত হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকবে না।
___________________________

ডা. সুরেশ তুলসান।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়