Ameen Qudir

Published:
2019-07-31 23:09:25 BdST

বাংলাদেশের মত অপরিনামদর্শী মেয়র-কর্তাদের জন্য ফিলিপাইনে ডেঙ্গু এখন মহামারী


 

ডেস্ক
_______________________________

বাংলাদেশের মত মেয়র ও কর্তাদের অপরিনামদর্শীতা, হাস্যস্পদ উদ্যোগ, প্রহসনমূলক হিরোগিরির কারণে ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে। চারটি অঞ্চলে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’। এ অবস্থায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
এ থেকে শেখার আছে বাংলাদেশের। হিরোগিরি বাদ দিয়ে দরকার ব্যপক কার্যকর উদ্যোগ। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর দিক নির্দেশ দরকার বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জোর অভিমত।
কার্যকর উদ্যোগের কারণেই
ওপার বাংলার রাজধানী সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু দমন সম্ভব হয়েছে। কলকাতা শহরে ডেঙ্গু গত কয়েকবছর ধরেই নিয়ন্ত্রণে আছে।


সম্প্রতি ফিলিপাইনসের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, শুধুমাত্র জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখেরও বেশি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ শতাংশ বেশি। প্রাণহানি হয়েছে ৪৯১ জনের। গত বছর একই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।

জানা গেছে, এ পর্যন্ত মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস, সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও নর্দার্ন মিন্দানাও-সহ চারটি অঞ্চলে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস, যা ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। পাশাপাশি আরও ৯টি অঞ্চলের পরিস্থিতিও নজরে রেখেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বিভিন্ন প্রদেশের পাশাপাশি নিগ্রোস অক্সিডেন্টালেও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত নিগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে ৩,৭৪৪ জন রোগী। এ পরিস্থিতিতে প্রদেশটির কাবানকালান, বাগো, চাওয়াইয়ান, মুর্সিয়া ও চান্দনি এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘোষণার সুপারিশ করেছেন প্রাদেশিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান ড. এরনেল তুমিমবাং। কাবানকালানে ৪৯০ জন, বাগোতে ২৮৫ জন, চাওয়াইয়ানে ২২৮ জন, মুর্সিয়াতে ১৪৭ জন এবং চান্দনিতে ১৩৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাগোতে ১ জন, চাওয়াইয়ানে ২ জন, মুর্সিয়াতে ১ জন ও চান্দনিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রোগীদের শারীরিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে গ্রুপ এ, বি ও সি এ তিন ভাগে ভাগ করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। যেসব রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে সক্ষম তাদেরকে রাখা হয়েছে গ্রুপ ‘এ’-তে। যাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া দরকার, তাদের রাখা হচ্ছে গ্রুপ বি-তে এবং যাদের আশু জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন তাদেরকে রাখা হয়েছে গ্রুপ সি-তে।

জাতীয় সতর্কতা জারির উদ্দেশ্য হলো, রোগ মোকাবিলায় নজরদারি বাড়িয়ে দিতে আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আহ্বান জানানো, আক্রান্তের ঘটনায় ব্যবস্থাপনা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোতে জরুরি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা বাড়ানো। এছাড়া কমিউনিটি ও স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্যাম্পেইন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারিমূলক কর্মকাণ্ড এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করাও এ সতর্কতা জারির উদ্দেশ্য।

সূত্র: সিএনএন

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়