Ameen Qudir

Published:
2019-04-23 18:12:01 BdST

২০২২ সাল নাগাদ লক্ষাধিক চিকিৎসক বেকার থাকবেন


 

 


ডা. কামরুল হাসান সোহেল
___________________________

দেশে যে হারে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তাতে প্রতিবছর ২০,০০০ বা তারও বেশি গ্র‍্যাজুয়েট চিকিৎসক এমবিবিএস পাস করে বের হচ্ছে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। কিন্তু এতো বিপুল সংখ্যক চিকিৎসকের জন্য নেই পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ। সরকারি চাকরিতে মেডিকেল অফিসারের পদ সীমিত। প্রতিবছর বিসিএস এ ৩০০/৪০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতি চার,পাচ বছর পর পর বিসিএসে ৫,০০০+ চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্ত বিসিএস এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া খুবই ধীর,দুই বছর লেগে যায় নিয়োগ পেতে পেতে।আর সরকারি চাকরিতে মেডিক্যাল অফিসারের পদ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। তাই প্রতিবছরই বাড়ছে বেকার চিকিৎসকের সংখ্যা। ২০২০ সাল নাগাদ ৫০,০০০ এর অধিক চিকিৎসক বেকার থাকবেন। ২০২২ সাল নাগাদ লক্ষাধিক চিকিৎসক বেকার থাকবেন। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক,হসপিটালেও এন্ট্রি লেভেলের চিকিৎসক পদের সংখ্যা অপ্রতুল। ক্লিনিকগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিনমজুরদের চেয়েও কম পারিশ্রমিক দেয় ডিউটি ডাক্তারদের। এত অল্প পারিশ্রমিকে চাকরি করে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। সেই বেতনটাও অনেক ক্লিনিক নিয়মিত এবং সময়মতো দেয় না। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে স্বল্প বেতনে লেকচারার, মেডিক্যাল অফিসার, এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পদে চাকরি করতে হয়। সব প্রতিকূলতা মেনেও সবাই বেসরকারি ক্লিনিক,হসপিটাল ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চাকরি পাওয়ার জন্য রীতিমতো জোর তদবিরে লিপ্ত হতে হয়। এক অসম ও অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়। কি করবে,কিছু করার নাই বেচে থাকার তাগিদে তা করতে হয়।
অন্য দিকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে থাকে চরম চিকিৎসক সংকট, প্রতিবছর বিসিএস এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেয়া হয় না বলে প্রায়ই উপজেলা হাসপাতালগুলো চিকিৎসক শুন্য থাকে। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোতে দিন রাত ২৪ ঘন্টা জরুরী চিকিৎসা সেবা দেয়া হলে ও নেই ইএমও পোস্ট। যদি এইসব উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ইএমও পদ সৃজন করা হয় তাহলে আরো অধিক সংখ্যক চিকিৎসকের চাকরির সুযোগ হবে। ক্রমান্বয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে কিন্তু জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা। যদি জনবল নিয়োগ দেয়া হতো তাহলে আরো অধিকসংখ্যক চিকিৎসকের চাকরির সুযোগ হবে। প্রতিবছর বিসিএস এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রত শেষ করতে হবে। তাহলে হয়তো বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে অনেক চিকিৎসক।
__________________________

ডা. কামরুল হাসান সোহেল :
আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা

 

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়