Ameen Qudir

Published:
2016-12-21 13:30:26 BdST

বিদেশে পড়া ডাক্তারদের বিএমডিসি এক্সামে পাশ দশ শতাংশেরও কম


 

প্রতিকী ছবি।

 

 

______________________________

ডা. সাঈদ সুজন
________________________________

বিদেশ থেকে মেডিকেল পাশ করা স্টুডেন্টদের জন্য বাংলাদেশে প্রাকটিসের জন্য বিএমডিসি এর "Registration Qualifying Exam" দিতে হয়।। গত ১৩ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো।। প্রায় দুইশ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, কিন্তু পাশ করে মাত্র সতের জন।। তার পাশের হার 10% এর কম।।

এর কারন হিসেবে দেখা যায় , অনেক গুলো ফ্যাক্টর গ্যাপের জন্য এমন রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে।। সেই গুলো তুলে ধরা হলো-

1. এগজাম সিস্টেম- এই পরীক্ষায় চরম মাত্রায় নেগেটিভ মার্ক ধরা হয়েছে।। একটা স্টিম ঠিক হলে 0.25 মার্ক পাবে, আবার ভুল হলে মূল নাম্বার থেকে 0.25 কাটা যাবে।। তার মানে 100 প্রশ্নের মধ্যে 50 টা সঠিক, এবং 50 টা প্রশ্ন ভুল হলে তার টোটাল মার্ক জিরো।। অথচ বিএসএমএমইউ স্বয়ং নেগেটিভ মার্কের বিষয়ে অনেক উদার।।

2. এগজাম মার্ক ডিস্ট্রিবিউশন - এই পরীক্ষায় 100 মার্ক, 100 মিনিট। । 4 টা স্টিমে MCQ system .. ক্লিনিক্যাল 70%, প্যারাক্লিনিক্যাল 20% এবং ব্যাসিক থেকে মাত্র 10% প্রশ্ন আসে।। এই টোটাল সিলেবাস ও মার্ক ডিস্ট্রিবিউশন বেখাপ্পা সবার জন্য।।

3. কোর্স পার্থক্য - বিদেশ থেকে একটা স্টুডেন্ট যেই কোর্স কারিকুলামে পড়াশুনা করে আসে, বিএমডিসি এর কোর্স কারিকুলাম অনেক ভিন্ন। তাই এগজামের আগে স্টুডেন্ট কে নতুন করে অনেক কিছুই জানা লাগে। যা নতুন আরেক কারিকুলামের সমান।। বিশেষ করে - disease pattern of different countries ...

4. Orientation এর অভাব- বাংলাদেশী পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে অনেকের Orientation নাই বলে অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়। কারন, সিলেবাস ছাড়া টোটাল মেডিকেল সাইন্স নিয়া মাত্র 100 মিনিটের এগজামে ভালো প্রস্তুতি ছাড়া হাবুডুবু সুনিশ্চিত। ।

এক বার পরীক্ষা খারাপ হলে ছয় মাস শেষ। । এমবিবিএস পাশ করে এসে Bangladesh এ ইন্টার্নশীপে ঢুকতে যাওয়ার আগে এই পরীক্ষা অনেক স্টুডেন্টকে ভোগাচ্ছে নীরবে।।। ইয়ার লস হচ্ছে অনেকের।

_______________________

 

লেখক ডা. সাঈদ সুজন । মেডিকেল নানা বিষয়ে জনপ্রিয় লেখক। সদপরামর্শক।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়