Ameen Qudir

Published:
2018-05-29 17:00:46 BdST

সকাল সকাল এই বিনোদন :"চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া রোগীকে কলেরার স্যালাইন দেয়ার অভিযোগ"


 

ডাক্তার প্রতিদিন ডেস্ক __________________

মিডিয়ার সুশিক্ষিত কর্মী বাহিনির অসাধারণ জ্ঞানের বহর ও দক্ষতার অভূতপূর্ব নজির আবার অামরা পেলাম। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় টিভি মিডিয়ার খবরে অভিযোগ করা হয়েছে , :চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া রোগীকে কলেরার স্যালাইন দেয়া হয়েছে।
মিডিয়াকর্মীর খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে সম্প্রচারও করা হয়েছে। শিরোনামও করা হয়েছে: :"চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া রোগীকে কলেরার স্যালাইন দেয়ার অভিযোগ"।
বিষয়টি চিকিৎসক মহলে ব্যাপক কৌতুহলের যোগান দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও তার পদাধিকারীরা কেউই কলেরা কি , ডায়রিয়া কি ; এ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানার চেষ্টা করেন নি। কোন চিকিৎসকের শরণ নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেন নি। সেটা করলে এই অপার আগ্রহের সৃষ্টির সুযোগ হত না। নিউজে একজন ডাক্তারের বক্তব্য নিয়েও ব্যাপক কৌতুহল। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।
ইতোমধ্যেই নানারকম গুরুগম্ভীর আলোচনা শুরু হয়েছে গুরুগম্ভীর জ্ঞান নিয়ে।

বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল। তিনি তার লেখায় জানাচ্ছেন:

"তবে কথায় কিন্তু যুক্তি আছে কলেরার জন্য কলেরা স্যালাইন থাকলে ডায়রিয়ার জন্য ডায়রিয়া স্যালাইন থাকবে, ডিসেন্ট্রির জন্য ডিসেন্ট্রি স্যালাইন। ওষুধ কোম্পানিরা নিশ্চয়ই আজকে থেকেই বসে যাবেন মিটিং এ।

একবার এক ব্লাড ক্যান্সার রোগীকে নরম্যাল স্যালাইন দেওয়ার পর রোগীর লোক বলেছিল " আমার ক্যান্সারের রোগী...... আপনারা এই 'নরম্যাল' স্যালাইন দিচ্ছেন। আজ আমরা গরীব বলে......."
পরে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দেওয়ার পর উনি শান্ত হয়েছেন।

ভাগ্যিস বুঝিয়ে বলার আগেই 'নিউজ' হয়ে যাইনি।"


এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট টিভির ওয়েব সাইটেও লিখিত খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সেটি এ খানে দেয়া হল।

 

""কি কারণে স্যালাইন দেয়ার ক্ষেত্রে এমন ত্রুটি ঘটলো, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ """


_________________
চুয়াডাঙ্গা কলেরার স্যালাইন দেয়ায় রোগীদের খিচুনি

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের কলেরা রোগের স্যালাইন দেয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রোগীরা।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সকালে হাসাপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১৩ জন রোগীকে, অপসো কোম্পানির স্যালাইন দেয়া হয়। স্যালাইন দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীদের খিচুনিসহ তীব্র জ্বালা-পোড়া শুরু হয়।

এসময় শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন দিতে হয় রোগীদেরকে। পরবর্তীতে তাদের স্যালাইন পরিবর্তন করে দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক।

কি কারণে স্যালাইন দেয়ার ক্ষেত্রে এমন ত্রুটি ঘটলো, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ।
________________

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়