Ameen Qudir
Published:2018-04-24 00:49:00 BdST
নাটোরে চিকিৎসক পিটিয়ে বর্ষবরণ:১৪২৫ বঙ্গাব্দ: আমরা বিএমএও চুপ
ডা. বাহারুল আলম
____________________________________
নওগাঁ থেকে বগুড়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা রোগী পথিমধ্যে মৃত্যুতে চিকিৎসক শারীরিক লাঞ্ছনা থেকে বেঁচে গেলেও নাটোরের সিংড়ায় মৃত্যু ছাড়াই জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে নববর্ষের পরদিন রোগী নিজে এবং ৫/৭ জন স্বজনসহ বেদম প্রহার করে- ‘কেন আগে আসা জরুরি রোগী ফেলে রেখে তাকে দেখা হল না’? সিংড়ায় ইউএইচএপপিও বাদী হয়ে থানায় মামলা করার ফলে সেখানে হয়ত কিছুদিন হামলা বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাবে কর্মস্থলে চিকিৎসকের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করার পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিট মামলার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবরে ১৪ দিনের সময় দিয়ে বিএমএ-র প্রত্যাশিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়।
এরপর থেকে অসংখ্য চিকিৎসক কর্মস্থলে লাঞ্ছিত হয়েছে/ হচ্ছে রাজশাহী , কুষ্টিয়া ধামরাই, সিলেট , বরিশাল নওগাঁ-সহ আরও অনেকস্থানে । দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব-গণ চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার কোন উদ্যোগ নেয় নি, নড়েচড়ে বসে নি। একেবারেই নির্বিকার, কোন জবাবদিহিতা নাই। সেই সাথে আমরাও (বিএমএ) চুপ।
চিকিৎসক মাইর খাওয়ার যত-স্থানের নাম উল্লেখ করলাম, সেসব স্থানে ঘটনা পরবর্তীতে আপোষ- কেবলই আপোষ। আপোষেই বলি হচ্ছে চিকিৎসকের মর্মবেদনা। মাইর খেয়েও সাথে-সাথে চিকিৎসা দিতে কুণ্ঠিত হয় না। এ যেন ‘মাইর বান্ধব পেশাজীবী এক সম্প্রদায়’। সিংড়াতেও তার ব্যতিক্রম নয় – অপেক্ষা করতে হবে ১৮ এপ্রিল/১৮ সেখানকার মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কি বলেন !
এ সকল ঘটনা নিয়ে আমরা আবার উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব। চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার সকল তথ্য-উপাত্ত খুলনা বিএমএ-তে ডাকে বা মেইল করত একান্ত অনুরোধ করছি। উচ্চ আদালতের সামনে সচিবদের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আইনি লড়াইয়ের আরেকটি দিক উন্মোচিত হবে। সকলের অংশীদারিত্ব ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। রাজপথ না হোক , আইনি লড়াইয়ে আমরা যেন নীরব না থাকি।
_____________________________
ডা. বাহারুল আলম। সুলেখক। লোকসেবী চিকিৎসক। পেশাজীবি নেতা।
আপনার মতামত দিন: