লন্ডন আমেরিকা নয়, স্বামীর জন্য দেশীয় ডাক্তারদের ওপর আস্থা ড. ইয়াসমিন হকের

ডা. সুশান্ত সাহা
____________________

সিঙ্গাপুর,লন্ডনী চিকিৎসা নয়; মাতৃভূমি বাংলাদেশের ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবার ওপরই ভরসা করলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার পত্নী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, এদেশের ডাক্তারদের ওপরই আমাদের পরম আস্থা। ড. জাফর ইকবালের চিকিৎসা বাংলাদেশেই হবে।

যখন বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ওপর নেতিবাচক নোংরা প্রপাগান্ডার গড্ডালিকা প্রবাহ; বাংলাদেশের ডাক্তাররা খারাপ কসাই বলা আবুল থেকে আব্দুল পর্যন্ত সকলের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে; সেই সময়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে জাফর ইকবাল দম্পতির এই আস্থা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাফল্যরই স্বীকৃতি।

স্যাটেলাইট টিভিতে ড.জাফর ইকবালের পত্নী ড. ইয়াসমিন হকের কাছে রিপোর্টার প্রশ্ন করলেন,
স্যারকে কি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া খুবই দরকার। আপনরা কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

ড. ইয়াসমিন হক অবাক ও বিস্মিত হন রিপোর্টারের প্রশ্নে। তিনি সাংবাদিকের উদ্বেগ ও অবিশ্বাস উড়িয়ে বলেন,
দেখুন এদেশের ডাক্তার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আমার ভরসা আছে, আমার বাবা একজন ডাক্তার ছিলেন, তাই অামি এসব অনেক কাছ থেকে দেখেছি।

তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দক্ষ চিকিৎসকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

জাফর ইকবাল পত্নীর এই অনন্য ভরসা আমাদের ডাক্তার সমাজের জন্য প্রেরণা হয়ে রইল। যারা কথায় কথায় বাংলাদেশের ডাক্তারদের কসাই , অযোগ্য বলে গালি দিয়ে সর্দি কাশি সহ যে কোন রোগ সারাতে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া ছোটেন; ইয়াসমিন হকের এই বক্তব্য তাদের মুখের ওপর চপেটাঘাত।
একজন মহিয়সী নারীর দেশপ্রেম কতটা গভীর হতে পারে, স্বামীর বিরাট বিপদের মুখেও তিনি দেশীয় চিকিৎসার ওপর পরম ভরসা রাখেন। রাষ্ট্রের সকল রকম সুবিধা ও প্রলোভন স্বত্ত্বেও তিনি স্বামীকে নিয়ে আমেরিকা লন্ডন ছোটার জন্য ব্যাগ্র হন নি। যেখানে তারা দাবি করলে সরকার খুব দ্রুত তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করত।
জাফর ইকবাল স্যার ও ইয়াসমিন হককে এজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সবাই এভাবে পাশে থাকলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ডাক্তাররা বৃক্ষ মানব সহ সকল রকম সুচিকিৎসায় পরম দক্ষতা দেখাবে।