Ameen Qudir

Published:
2017-07-31 18:52:34 BdST

পরীক্ষায় ফেল ও আত্ম হত্যা: পরিবার ও সমাজের দায়


 

অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম

_____________________________________

 

আমি কিছুদিন আগে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট এর পরপরই " প্রথম আলোতে" পরীক্ষায় ফেল ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের করনীয় বিষয়ে একটি কলাম লিখি কিভাবে এ ব্যর্থতার ভার সয়ে নিতে হবে।কিন্তু এবার এইচএসসি পরীক্ষার পরও সেই একই অবস্হা।ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের অনেকেই হতাশা,গ্লানিতে আত্ম হত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
ফেইসবুকে এবারো ফেল করা এক ছাত্রের আত্মহত্যার " সুইসাইড নোট" খুজে পাই।শুধু কুমিল্লা বোর্ডে নাকি এবার ১১ জন আত্মহত্যা করেছে। ( যদি আমার ঐ লেখার মতন আরো তেমন উদ্বুদ্ধকরণ লেখা দেশের সব প্রান্তে সব লোকের কাছে পৌছানো যেতো হয়ত এমন দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা কিছুটা হলেও কমে আসতো)-
সে বিবেচনায় আমার সে লেখাটি ও সেই " সুইসাইড নোটটি আবারো পোস্ট করছি।
কুমিল্লা বোর্ডের মৃত ১১জনের মধ্যে

 

একজনের সুইসাইড নোটঃ
"আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো।মা, বাবাকে
বুঝাইছি। সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও।
কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপার্ঠীরা
মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো।
আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।। বাবা ও
আমাকে গালিগালাজ করলো।
যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো
চিন্তা করিস না, বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার
আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে কয়দিন।
.
অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা
আমাকে জুতা দিয়ে পিঠলো, শুধু তাই নয়, আমার উপর
রাগ করে বাবা পাতের ভাত লাথি মেরে ফেলে
দিলো।
অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না।
প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্ববা বের করে
অনুশোচনা করলো, শুধু অনুশোচনা নয়, আমার
জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে
আমি নষ্ট হয়ে গেছি।
তাদের কৈপিয়ত পেয়ে আমার বাবা মা কে উঠানে
প্রচুর মেরেছে। মা এখনো বেহুঁশ।
মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম।
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরা
ভালো থেকো সহপাঠী বন্ধুরা।।"

 


পরীক্ষা বা যেকোন ব্যর্থতা মোকাবিলায় করনীয়
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশী।এই ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের কেউ কেউ হতাশা,গ্লানি, ক্ষোভে আত্মহত্যা করছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।কৈশোর - তারুন্যে আত্ম হত্যার একটি অন্যতম কারন পরীক্ষায় ফেল করা।কেন এমনটি হয় ও এর প্রতিকার কি? স্কুল- কলেজের পরীক্ষায় কেন জীবনের সকল ধরনের পরীক্ষায় পাশ- ফেল অনিবার্য ঘটনা।জীবন কখনোই কারো জন্য কেবলই কমেডি ছিল বা থাকবে তেমনটি নয়,মাঝেমধ্যে ট্রাজেডি ও নেমে আসে।জীবন হচ্ছে সফলতা- ব্যর্থতার পালা- বদলের এক অবিরাম ধারা।কখনো কখনো এ পট- পরিবর্তন উপর্যুপরি ঘটতে পারে।পরীক্ষায় ব্যর্থতা বা যে কোন ব্যর্থতার পর কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে,কেউ তীব্র নেতিবাচক আবেগে বিস্ফোরিত হন( এরাই আত্মহত্যার চেষ্টা নেয়), আবার কেউ সাময়িক আপ-সেট থাকেন মাত্র।কে কোন ধরনের আবেগীয় প্রতিক্রিয়া দেখাবেন তা অনেক দেহ- মনো- সামাজিক কারনের উপর নির্ভর করে।

 

 


পরীক্ষায় ফেল করার পর একেবারে মুছড়ে পরেন,ভেঙ্গে পরেন,আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা যাদের ১। সহনশীলতা কম( টলারেন্স) ২। বিপর্যয়ের পর দ্রত ঘুরে দাড়াবার ক্ষমতা কম( রিজিলিয়েন্স) ৩। পরিবার থেকে বা নিজ থেকে অবাস্তব অতি" উচ্চ প্রত্যাশা" যাদের ৪। ফেল করার পর পরিবার বা অন্যদের থেকে তাচ্ছিল্য, অপমান পেলে ৫। পরীক্ষা পাশই জীবনে সফল হওয়ার একমাত্র উপায় বলে বিশ্বাস তৈরী হলে- ইত্যাদি।

 


যারা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন বা হবেন তাদের মনে রাখা ভালো পৃথীবীর অনেক সফল,বিখ্যাত ব্যক্তিরা পড়াশোনায় তেমন ভালো করতে পারেননি।তাদের মধ্যে রয়েছে: ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী উইনস্টিন চার্চিল( যিনি আবার সাহিত্য নোবেল পান), বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন, স্টিভ জবস,বিলগেটস এমনকি আইনস্টাইন। আপনি ব্যর্থ হয়ে যদি এই " ব্যর্থদের দলে" অন্তর্ভূক্ত হন সেটি খুব একটি " মন্দ দল" হবে না নিশ্চয়।বার্নার্ড 'শ এর কথা স্মরন করুন,তিনি বলেছেন" যখন আমি তরুন ছিলাম দেখলাম ১০ টি কাজের মধ্যে ৯টিতেই আমি ব্যর্থ হচ্ছি।তাই আমি সকল কাজে ১০ গুন বেশী পরিশ্রম করা শুরু করি"। আপনি কি তেমন করছেন?
যারা ফেল করেছেন বা করবেন তাদের করনীয়:
১। অতিরিক্ত আতঙ্কিত হবেন না- এটিই জীবনের শেষ নয় এবং একমাত্র আপনি একাই ব্যর্থ হননি।আরো অনেক পথ খোলা রয়েছে,অনেক পথ পেরোতে হবে
২। ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া,বিপর্যস্ত হওয়া,রাগ,ক্রোধ, গ্লানি, অপমানে জর্জরিত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।এ "শোক" সয়ে যাওয়ার জন্য নিজকে কিছুটা সময় দিন- ব্রেক নিন।সময় সকল ক্ষতের উত্তম নিরাময়ক
৩। আপনি এখন খুবই খারাপ অনুভব করছেন।নিশ্চয় চাইবেন না ভবিষ্যৎ ও তেমন খারাপ কিছু ঘটুক।তাই বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে ঘটনাটি পুন: মূল্যায়ন করে,সৃজনশীল ভাবে চিন্তা করুন আমি যেমনটি চাই তেমনটি পেতে হলে আমাকে কি কি করতে হবে? জীবনের সহজ আনন্দ গুলো উপভোগ করুন।
৪। কোন একটি ব্যর্থতা দিয়ে নিজকে সংজ্ঞায়িত করবেন না - ব্যর্থতা একটি ঘটনা মাত্রয় ।কোন মানুষ ব্যর্থ নন,তার কিছু চেষ্টা, কাজ ব্যর্থ হতে পারে।বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন এর কথা মনে করুন " আমি ব্যর্থ হইনি।আমি মাত্র জেনেছি ১০ হাজার উপায় রয়েছে যেগুলো কোন কাজে আসে না।" অর্থাৎ উনি ১০ হাজার বার ব্যর্থ হয়েও নিজকে ব্যর্থ বলতে নারাজ।আর আপনি কতবার ব্যর্থ হয়েছেন?
৫। যদি আপনি দেখাতে পারেন, যে কোন ব্যর্থতাকে আপনি মোকাবিলা করতে পারেন তাহলে কেউ মনে রাখবে না যে আপনি ব্যর্থ হয়েছিলেন।

 


৬। কিছু ঘটনাকে আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন না বটে, কিন্তু সেটি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখবেন ও এর প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া কি ধরনের হবে সেটি আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারেন
৭। নিজকে বিচ্ছিন্ন করবেন না- পরিবারের লোক, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গে সংযোগ রাখুন।গ্লানি,অপমান,কষ্ট চাপিয়ে রাখবেন না।প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে থাকুন।নিজের উপর যেমন নির্ভর করবেন, তেমনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপর ও নির্ভর করুন
৮। নিজের যত্ন নিন- যা ভালো লাগে করুণ, সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন,ভালো ঘুম দিন,পুষ্টিকর খাবার খান,ব্যায়ম করুন। কোথায় ও কার কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে তার একটি লিস্ট তৈরী করুন ।
৯। আবেগকে "বোতল বন্ধি" করে রাখবেন না।এগুলো যথাযথ ভাবে প্রকাশ করুন।অনুভূতি গুলোকে চিন্হিত করুন,সঠিক নাম দিন( রাগ,হতাশা,ভয়,লজ্জ্বা)। অনুভূতিগুলোকে প্রক্রিয়াকরনে কিছুটা সময় দিন।
১০। ভাবুন আপনি একাই কি হেরেছেন? এই হারার জন্য সবাই কি আপনাকে অপছন্দ করছে,অবজ্ঞা করছে,তিরস্কার করছে বা দূরে সরিয়ে দিয়েছে? খেয়াল করলে দেখবেন ঘটনা পুরোপুরি এতো খারাপ নয়।অনেকেই আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মি।
১১। ঘটনাকে ভয়াবহকরন করবেন না-( কোনভাবেই আমার পক্ষে উঠে দাড়ানো সম্ভব না) বা নিজকে অতিরিক্ত দোষারোপ করবেন না( আমি অথর্ব,পুরোপুরি ব্যর্থ মানুষ)।
১২। এতো ভগ্নমনোরথ অবস্হায় ও আশাবাদী হোন।আশঙ্কা,ভীতির দিকে নজর না দিয়ে যা অর্জন করতে চান তার একটি ইতিবাচক মন- ছবি( ভিজিউলাইজেশন) মনের ভুবনে তৈরী করুন।
১৩। ব্যর্থতার কারন নিয়ে ভাবুন- যা ঘটেছে বিস্তারিত সব লিখুন,সম্ভাব্য সমাধান কি খুজে বের করুন ও কি কি বাধা আসতে পারে তাও লিখুন,প্রত্যশাকে বাস্তবভিত্তিক করুন।
১৪। ঘটনার পরও জীবন চলবে- ব্যর্থ হয়েছেন তার মানে কেয়ামত হয়ে যায়নি।জীবন জগত আগের মতনই চলবে।আপনি পরিবর্তিত হবেন, জীবন পরিবর্তিত হবে- কিছুই একরকম থাকবে না।একই রকমভাবে আপনার এই দুঃসময় ও টিকে থাকবে না।সামনে তাকান, উঠে দাড়ান,অল্প করে হলেও চলতে থাকুন।
১৫। অনলাইনে বিভিন্ন পেইজে মানসিক সহায়তামূলক লেখা থাকে সেগুলো পড়ে দেখতে পারেন (ফেইসবুকে " বি পজিটিভ বি হ্যাপী" নামে আমাদের ও একটি গ্রপ আছে।আমরা নিয়মিত সেখানে অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট দিয়ে থাকি)। যদি খুব বেশী ভেঙ্গে পরেন প্রফেশনাল কাউন্সিলিং গ্রহন করুন।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্হা:
ব্যর্থতা, বিপর্যয় এ যাতে আমাদের সন্তানরা সহজে মুছড়ে না পরে,ভেঙ্গে না পরে সে জন্য তাদের মানসিক কাঠামো সবল,দৃড় করে গড়ে তুলতে হবে;হতাশা সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে( টলারেন্স);মানসিক নমনীয়তা বাড়াতে হবে( ফ্লেক্সিবল); ও ঘাত-সহ হওয়া বা বিপর্যয়ের পর দ্রত উঠে দাড়াবার,ঘুরে দাঁড়াবার মতন সক্ষম হতে হবে( রেজিল্যান্স)।

 

 

এর জন্য আমাদের করনীয়:
১। পরিবারে ও বাইরে যত্ন,সমর্থন, সহায়তামূলক পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ থাকতে হবে;ভালোবাসা, বিশ্বাস ও নিরাপত্তা বোধ নিয়ে বেড়ে উঠার পরিবেশ থাকতে হবে এবং উৎসাহ ও আশ্বস্তকরনে সহায়ক শুভাকাঙ্খী থাকতে হবে।

 

২। ইতিবাচক জীবন দৃষ্টি তৈরী করতে হবে( পজিটিভ আউটলুক)- এর মধ্য থাকবে আত্মবিশ্বাস, যোগাযোগ এর দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং তীব্র আবেগ ও অনুভূতি ম্যানেজ করা সক্ষমতা

 


৩। সাহস ও সহিষ্ণুতার গুন তৈরী করা ( গ্রিট)- গ্রিট হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধ্যাবসায়ী হওয়া এবং এর জন্য প্রবল অনুরাগ ও উৎসাহ থাকা;ব্যর্থতা সত্বেও, প্রবল বাধা,প্রতিকূলতা সত্বেও, বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং অব্যাহত ভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার মানসিক- চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকা। এরা কর্ম সম্পাদন বলতে " ম্যারাথন " বোঝায়,তাৎক্ষনিক কোন লক্ষ্য অর্জনকে নয়( এবারের পরীক্ষায় পাশই চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়,দীর্ঘ মেয়াদী জীবন সফলতা তাদের লক্ষ্য) । তাই এরা আত্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; লক্ষ্য অর্জনে সব সময় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকে( একবার ফেল করেই হাল ছেড়ে দেয় না); তাই আবেগতাড়িত,ক্ষতিকর প্রবনতা দমিয়ে রেখে সুদূর ভবিষ্যৎ এর লক্ষ্যের দিকে মনোযোগ ফোকাস করে রাখে;( তাই ফেল বা ব্যর্থতার কারনে এরা আত্মহত্যার চিন্তা করে না)। তাদের থাকে অবিচল জীবন লক্ষ্য, ফলে তাদের কাছে জীবন হয় অর্থপূর্ণ ও আশীর্বাদ পূর্ন।
৪। মা- বাবা, পরিবারের দায়িত্ব হচ্ছে সন্তানের মধ্যে বাস্তবভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করে দেওয়া( অথচ অনেক ক্ষেত্রে তথাকথিত জিপিএ-৫ পাওয়া,পরীক্ষায় ১ম হওয়ার মতন অবাস্তব ও অপ্রয়োজনীয় লক্ষ্য আমরাই তাদের মানসে সেট করে দেই) ; ঝুকি- বিপদ সম্পর্কে কার্যকর যোগাযোগ স্হাপন করা( পরীক্ষার সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে কতজন অভিভাবক বা শিক্ষক ছাত্র- ছাত্রীদের সঙ্গে পূর্ব কাউন্সিলিং করে থাকেন?); প্রতিকূল ও চ্যালেন্জিং পরিস্হিতি সমন্ধে ইতিবাচক পূন: মূল্যায়নে সহায়তা করা( পরীক্ষা - ভীতি বা পরীক্ষায় ফেল করার পর হতাশ সন্তানদের কতজন ইতিবাচক মূল্যায়নে সহায়তা করেন? যদি নিজেরা সমর্থ না হন,প্রফেশনালদের দ্বারা কাউন্সিলিং করান);
এবং সর্বোপরি সন্তানের মধ্যে মানসিক দৃড়তা/ কাঠিন্য তৈরী করা( মেন্টাল টাফনেস- যা সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলায় তাদের সহায়তা করবে)।
এই মানসিক কাঠিন্যের ( হার্ডিনেস) প্রধান ভিত্তি হচ্ছে- ৩টি সি(c): কমিটমেন্ট,কন্ট্রোল ও চ্যালেন্জ।

 

সক্রেটিস বলে গেছেন " অ- পরিক্ষীত জীবন আদর্শ জীবন নয়"। তাই উত্তম জীবনের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষা মোকাবিলা করেই একে আদর্শ জীবন হিসেবে বিনির্মাণ করতে হবে।ব্যর্থতা, কষ্টের মধ্য দিয়েই জীবনের মহত্তম বিকাশ ঘটে।ধৈর্য্য ও লেগে থাকা( পেশেন্স,পারসিভিয়ারেন্স) এ দুটি গুন থাকলে জীবনের কোন ব্যর্থতাই আমাদেরকে " থামিয়ে" দিতে," আটকে" দিতে পারবে না।আইনস্টাইন এ বিষয়ে বলেন" তুমি কতটুকু স্মার্ট সেটি বিবেচ্য নয়,বিবেচ্য হচ্ছে তুমি সমস্যার পিছনে কতটুকু লেগে থাকতে পারো"। তাই মনে রাখবেন আপনি কখনো কোন ব্যাপারে ব্যর্থ নন,যতক্ষণ না সে ক্ষেত্রটি থেকে আপনি পালিয়ে না যান।এবারের ব্যর্থতার পরই হয়তো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে "সুবর্ন জয়",।অথচ সাময়িক হতাশার কারনে আপনি হালছেড়ে দিয়েছেন।টমাস এডিসনের পরামর্শ মনে রাখুন" জীবনের বেশীরভাগ ব্যর্থরা বুঝতে পারে না,সাফল্যের দ্বার প্রান্তে এসে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছিল"।

______________________________________

 

প্রফেসর ডা. তাজুল ইসলাম
সোশাল সাইকিয়াট্রিস্ট
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
কমিউনিটি এন্ড সোশাল সাইকিয়াট্রি বিভাগ
জাতীয় মানসিক স্বাস্হ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল,ঢাকা
মোবাইল :০১৭১৫১১২৯০০
ইমেইল :[email protected]

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়