Ameen Qudir

Published:
2017-06-08 16:47:47 BdST

চিকিৎসক ঐক্য জিন্দাবাদ: মিথ্যাচারের মুখে চড়


 

 

ডা. রেজাউল করীম
____________________________

 

দিল্লির তাপমাত্রা আজ ৪৫ ডিগ্রি। গরম আঁচে যেন আস্তে আস্তে চামড়া সেদ্ধ করা হচ্ছে। এই প্রবল তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে হাজার হাজার চিকিৎসকের দৃপ্ত পদধ্বনিতে মুখরিত রাজপথ। এ যেন এক মহামিলন- ভারতের ক্ষুদ্র সংস্করন যেন উঠে এসেছে আজ দিল্লির রাজপথে। এই যে জনসমুদ্র নিরবে হেঁটে যাচ্ছে তারা কোন রাজনৈতিক দাবী করতে আসেন নি, নিরবে হেঁটে তাঁরা মানুষকে সেবা করার অধিকার ফিরে পেতে চাইছেন। এ এক অভূতপূর্ব সঙ্কট- মানুষের সেবা করাই যাদের পেশা তাঁরা হঠাৎ গনশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। অর্থনৈতিক সঙ্কট দেশের বেশীরভাগ মানুষের কাছে চিকিৎসা পাওয়ার স্বাভাবিক অধিকারকে মরীচিকায় পরিনত করে তুলেছে। প্রতিবছর শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে ঘটিবাটি বিক্রি করে নতুনভাবে দরিদ্র হচ্ছেন আর দরিদ্র আরো দরিদ্রতর হচ্ছে। দেশের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের শতকরা ৭০-৮০ ভাগ রোগীর ব্যক্তিগত ব্যয়, তার মধ্যে ৭৪ভাগ খরচ হয় চিকিৎসা সরন্জাম ও ওষুধ কিনতে, মাত্র ৬ ভাগ চিকিৎসক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়। অথচ, সাধারন মানুষ থেকে রাজনীতির কারবারীরা চিকিৎসকদের অর্থগৃধ্নু হিসেবে চিহ্নিত করছেন। দেশজুডে একটি অভিন্ন, উন্নত ও সুষম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা যে সম্ভব তা অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এমনকি, সরকারের গড়ে দেওয়া কমিশনও সে কথা বলেছে।
দেশের বিপুল জনসংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ধীরে ধীরে সমাজে রোগের চরিত্র বদল হচ্ছে। বার্ধক্য ও জীবনশৈলী জনিত অসুখ বিসুখ বাডছে। কলকারখানা বাড়ার জন্য তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ বাডছে, তাও নানা ধরনের অসুখের সমস্যা বাড়াচ্ছে। যেকোন সমৃদ্ধ দেশের রোগের ধরনের সাথে এদেশের রোগব্যাধির গুনগত মানের ফারাক কমেছে, মানুষের ব্যক্তিগত চাহিদা বেড়েছে ও চিকিৎসা ব্যবস্থার কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। অথচ, দেশের চিকিৎসার হাল ফেরানোর জন্য সরকার বিনিয়োগ বছরে বছরে কমেছে। সরকারী বেসরকারী নানা সুপারিশ এক সাথে জড করলে যা দাঁড়ায় তা হল- সরকারী বিনিয়োগ ধীরে ধীরে বাডিয়ে জিডিপির ৩.৫ শতাংশ করা ও ব্যক্তিগত খরচ কমিয়ে শতকরা ৩৫ ভাগ করা যা বর্তমানে 70-80%।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জরুরীকালীন চিকিৎসা পরিষেবা। এই পরিষেবা সরকারকেই দিতে হবে। সরকারী ব্যবস্থা অপ্রতুল হলে, রোগী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করবেন কিন্তু সরকার পরে সেই অর্থ পরিষেবা দানকারী ব্যক্তি বা সংস্খার কাছে ফিরিয়ে দেবে। বেসরকারী পরিষেবা গ্রহনকারী দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। হাসপাতাল অন্তরবিভাগের শতকরা ৫০ ও বহির্বিভাগের শতকরা ২০ ভাগ রোগীর দায়িত্ব সরকার নেবে। জনস্বাস্থ্য ও শিশু-পরিবার কল্যান বিভাগে সরকারী ব্যয় কমেছে। অথচ, উন্নত প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না। অথচ, পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্য যেখানে জনস্বাস্থ্যের একটি বহুবিস্তৃত পরিকাঠামো রয়েছে সেখানেও এই পরিষেবার ঘাটতি খুব দৃষ্টিকটুভাবে বেশী। ২০১৫-১৬ সালে প্রায় ৩ লক্ষ শিশুর প্রাথমিক নিবদ্ধীকরন হয় নি, পরিষেবা দেওয়া তো দূরের কথা। শিশুমৃত্যুর হার আরো কমাতে হলে জরুরীকালীন প্রসব পরিষেবা বাড়ীতে হবে ও উন্নতমানের নবজাতক কেন্দ্র বাডাতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষনের বন্দোবস্ত করে প্রতিটি নবজাতক কেন্দ্রে উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মান করতে হবে। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা মনে রেখে প্রতি হাজার জনসংখ্যা পিছু শয্যা সংখা দ্বিগুন করতে হবে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের ধারনা ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও আমলাতান্ত্রিক হলে সুসামন্জস্যপূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। উপভোক্তা, স্বাস্থ্য কর্মী, নীতিপ্রনেতা ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পারস্পরিক আলাপ আলোচনা ও তর্কবিতর্কের মাধ্যমে একটি সুষম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব যা সংবেদনশীল, সুসম ও সবার জন্য একই মানের অভিন্ন ব্যবস্থা করবে। বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা বর্তমানে অতীব আমলাতান্ত্রিক ও ব্যক্তিনির্ভর ব্যবস্থায় পরিনত হয়েছে। কারো ইচ্ছা অনিচ্ছা বা হঠকারি পদক্ষেপ সুদূরপ্রসীরী পরিবর্তন আনার একটি প্রধান অন্তরায়। এক কথায় বলা যায় যে, এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দশকোটি মানুষের পরিষেবা দেওয়ার অনুপযুক্ত।
এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার আইন করে বেসরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করার
জন্য আইন রচনা করেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা হতে হয় কারন উপযুক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় নি। চিকিৎসাকর্মীরা পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য দায়ী নয়। আবার অতি উন্নতমানের চিকিৎসা দিলেও সব রোগীকে বাঁচানো সম্ভব নয়। চিকিৎসাকর্মীদের একটি অংশের অনীহা, অসংবেদনশীলতা ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থলোভ সমস্যাটিকে জটিলতর করে তুলেছে। মানুষের মনে ক্ষোভের যে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে সরকার তা প্রশমনের বদলে তার দায়ভাগ চিকিৎসাকর্মী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দেওয়ার রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছেন- অথচ, সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। বস্তুত রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার যূপকাষ্ঠে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের বলি দেওয়ার জন্যই সরকার এ রকম একটি দানবীয় আইন প্রনয়ন করেছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার এইসব বহুমুখী সমস্যার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা স্মরন করিয়ে দেওয়ার জন্য আজকের চিকিৎসক জমায়েত তাই নানাভাবে অনন্য। এই ঐতিহাসিক সমাবেশে একদিকে যেমন চিকিৎসা সঙ্কটের সঠিক কারন নির্ণয়ের প্রচেষ্টা হয়েছে তেমনি ভবিষ্যত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত তাও দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা আর যে নিরবে কেবল তাদের দায়িত্ব পালনে নিজেদের আবদ্ধ না রেখে সরকারকে নীতি পরিবর্তনে বাধ্য করার জন্য প্রয়োজনে স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে তুলবেন, তাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজকের ঐতিহাসিক সমাবেশে যেসব ঘোষনা করা হয়েছে তা হল
১।পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্ট ( আর আর টি) আইনের চিকিৎসক বিরোধী অংশগুলি খারিজ করতে হবে। শুধু মৌখিক আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বিধিবদ্ধভাবে ধারাগুলি বাতিল করতে হবে।
২। এই আইনের বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতে যে রীট দাখিল করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আই এম এ তাতে যোগদানের সম্মতি জ্ঞাপক ওকালতনামা দাখিল করেছে।
৩। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনভাবেই ৩০৪ /৩০৪এ ধারায় মামলা মেনে নেওয়া হবে না।
৪। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিন্ন কঠোর আইন প্রনয়ন করার লক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫।আয়ুস চিকিৎসকদের তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার জন্য সরকার উপযুক্ত প্রশিক্ষন ও গবেষনার ব্যবস্থা করুন। কোন অবস্থায় তাঁদের আ্যালোপাথিক চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।
৬। হাতুডে চিকিৎসা অবসানের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী অভিন্ন আইন প্রনয়ন করতে হবে।
৭। মেডিকেল কাউন্সিল বিলোপ করা চলবে না।
৮। চিকিৎসকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষনের বন্দোবস্ত করতে হবে।
৯। পারিবারিক চিকিৎসকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষনের জন্য অতিরিক্ত ২৫০০০ স্নাতকাত্তর আসন বরাদ্দ করতে হবে।
১০। যেসব চিকিৎসক সরকারী পরিকাঠামোর বাইরে থেকেও সরকারী প্রতিরোধমুলক কর্মসূচী পালন করছে তাদের জন্য উপযুক্ত আর্থিক সংস্থান করতে হবে।
১১। পিসি পি এন ডি টি আইন বাতিল করতে হবে।
১২। সারাদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এক জানালা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
১৩। চিকিৎসায় গাফিলতির বিচারের ভার এক জানালা ব্যবস্থার মাধ্যমে করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও মেডিক্যাল কাউন্সিলের হাতেই দায়িত্ব দিতে হবে।
১৪। চিকিৎসা গাফিলতির ক্ষতিপূরনের সর্বোচ্চ হার ৪০ লক্ষ টাকার বেশী হওয়া চলবে না।
এই সমস্ত ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য আই এম এ সরকারকে ১০ সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। ১৮ই আগষ্টের মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে চিকিৎসকরা দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। সরকার চিকিৎসকদের ধর্মঘটের মত চরম পদক্ষেপের মত চূড়ান্ত পথ বেছে নিতে বাধ্য করবেন কিনা সেটা সরকারের বিষয়। কিন্তু, ১৮ ই আগষ্টের পর চিকিৎসকরা আবার দিল্লিতে সমাবেশ করে ভবিষ্যত কর্মসূচী ঘোষনা করবেন।
ইতিমধ্যে, সরকারকে উপযুক্ত ও কার্যকরী আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। মৌখিক কোন আশ্বাসে যে চিকিৎসকদের কোন আস্থা নেই তাও দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশের কিছু ছবি দেওয়া হল।

এপ্রসঙ্গে একটি মিথ্যাচারের পর্দার ফাঁস করে দেওয়া হল। WBCEA (RRT) ২০১৭ আই এম এর কেন্দ্রীয় দাবী নয় বলে যে অপপ্রচার রাজনীতিকরা করছিলেন তা এই ছবি ও ঘোষনা থেকে পরিষ্কার হবে।

দ্বিতীয়ত:- এই আইনের বিরুদ্ধে মাননীয় আদালতে WBDF যে মামলা করেছে সেই মামলায় কেন্দ্রীয় আই এম এ যে অংশগ্রহন করছেন তাও প্রমান হয়ে গেছে । এছাডা, পুরো ঘোষনার সরাসরি ওয়েবকাস্টিং করা হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সর্বভারতীয় সভাপতির আলোচনার বিশদ বিবরন পেশ করা হয়েছে।
এই ঐতিহাসিক সমাবেশ চিকিৎসক ঐক্যের যে নজির সৃষ্টি করেছে তা ভারতের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য আন্দোলনের একটি মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার জন্য শ্লাঘা অনুভব করছি। কেন্দ্রীয় আই এম এ WBDF কে আজ যেভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তার পরে আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে। একদিকে আই এম কে বাংলায় আরো শক্ত মাটিতে দাঁড় করাতে হবে, পাশাপাশি, WBDF কে একটি শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়নের রূপ দিতে হবে। আমাদের কাজ হবে-
ন্যায় সঙ্গত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম।
স্বাস্থ্য কর্মীদের উপযুক্ত বেতন কাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের আইনী পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হবে।
নিরাপত্তা আ্যপ সব সদস্যকে দেওয়া হবে।
সারাবছর ধরে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষনের বন্দোবস্ত করা হবে।
প্রশিক্ষণরত চিকিৎসক ও চিকিৎসককর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষন নিশ্চিত করা ও তাদের সাপ্তাহিক ডিউটির উর্ধ্বসীমা স্থির করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত জুনিয়ার চিকিৎসকদের সম্মানের সাথে ও উপযুক্ত পারিশ্রমিক সহ কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের অন্যতম প্রয়াস।
সরকারের সব জনকল্যাণমূলক কাজে এই সংগঠন তাদের সাহায্য করবে।
চিকিৎসকের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই সব কাজ সাফল্যের সাথে করতে হলে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে ও আরো বেশী সংখ্যায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। ১৮ ই আগষ্টের আগে ৯ই জুলাই আমাদের সামনে চিকিৎসক ঐক্যের নজির সৃষ্টির নতুন সুযোগ উপস্থিত হয়েছে। ৯ই জুলাইয়ের সভা সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের আবেদন জানাচ্ছি।
WBDF চিকিৎসকদের একমাত্র ট্রেড ইউনিয়ান। একে শক্তিশালী করুন ও নিজে শক্তি ও আস্থা অর্জন করুন।
আই এম এ জিন্দাবাদ। WBDF জিন্দাবাদ। চিকিৎসক ঐক্য জিন্দাবাদ।

____________________________

 

ডা. রেজাউল করীম । পশ্চিম বাংলার প্রখ্যাত চিকিৎসক । মানবসেবী। কবি ও কল্যাণ কলামিস্ট।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়