DR. AKTARUZZAMAN
Published:2020-08-20 23:17:31 BdST
সালমান খানকে খুনের ষড়যন্ত্র! কঙ্গনার মৃত্যুর আশঙ্কা! ভয়ঙ্কর কাহিনী
ডেস্ক
_________________
একদিকে বলিউড মহানায়ক সালমান খান। অন্যদিকে বলিউড মহানায়িকা কঙ্গনা রানাউত। উপমহাদেশের তারুণ্যের আইডল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কালোছায়া এবার সালমান কঙ্গনাদের ঘিরেও কি। ঘাতক চক্র কি থ্রিলারের ভিলেনদের মত তাদেরকেও হত্যা করতে চাইছে! কারা এই নি:শব্দ আততায়ী! দাউদ ইব্রাহিম, লরেন্স ; কারা এরা । বলিউড ফিল্মিস্তানে ফিল্মের চেয়েও ভয়ঙ্কর বাস্তব কাহিনি।
গ্যাংস্টার-ষড়যন্ত্র-আত্মহত্যা-মৃত্যু— বলিউডে আশঙ্কার মেঘ যেন কাটতেই চাইছে না।
ভারতের মুম্বাই সংবাদমাধ্যমের খবর, এই করোনাকালেই অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার ছক করেছিল দুষ্কৃতীরা। নিয়মিত সালমানের বান্দ্রার বাড়ির উপর ছিল নজরদারি৷
রেইকি করা হয়েছিল সালমানের বাড়ির৷ কখন তিনি বাড়ির বাইরে যান, কোথায় কোথায় তিনি যেতেন, সবই নজরে রাখা হত৷ তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্যে এসেছে সলমনের হত্যার ছক।
কিন্তু কেন সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল?
ফরিদাবাদের ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) রাজেশ দুগ্গল জানান, গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনই গত জানুয়ারি থেকে রাহুলকে বিশেষ নজর রাখতে বলেছিল সালমানের উপর এবং সুযোগ বুঝে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল।
গত ১৫ আগস্ট রাহুল সংঘ নামে এক শার্প শ্যুটারকে গ্রেফতার করে ফরিদাবাদ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷ সঙ্গে ধরা পড়ে আরো চার ব্যক্তি। রাহুলের কাছ থেকে উদ্ধার হয় গুলি ভরা পিস্তল। রাহুল ভিওয়ানির বাসিন্দা৷
পুলিশ সূত্রে বলা হয়, লরেন্সই এই রাহুলকে নিয়োগ করে সালমান হত্যায়। আপাতত লরেন্স রয়েছে যোধপুর জেলে। তবে জেলে থাকলেও সেখান থেকেই সালমান খানকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। লরেন্সের সঙ্গে সালমানের পুরনো শত্রুতার খবর শোনা যায়৷ সালমানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই লরেন্সের নজরে রয়েছেন সালমান।
‘আমার সময় ফুরিয়ে আসছে’, টুইটারে বিস্ফোরক কঙ্গনা
“আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমার সময় ফুরিয়ে আসছে” টুইট করে জানালেন কঙ্গনা রানাউত। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই প্রকাশ্যে মুম্বইয়ের মাফিয়া রাজ নিয়ে কথা বলছেন তিনি। কর্ণ জোহর থেকে রণবীর কপূর, মহেশ ভট্ট, আলিয়া ভট্টদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে ছাড়েননি কঙ্গনা। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট এখন ট্রেন্ডিং।
কঙ্গনা টুইট করেন, “আমার বক্তব্যকে মুম্বইয়ের মুভি মাফিয়ারা একমাত্রিক ভাবছে। আমার সময় ফুরিয়ে আসছে! যে কোনও মুহূর্তে আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এর মধ্যেও যে সময় বেঁচে আছে সেখানে মুভি মাফিয়াদের কীর্তি সরাসরি প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাব আমি”। সম্প্রতি হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বয়কট কঙ্গনা বলে ক্যাম্পেন চলছে।
কঙ্গনার টুইটে ভক্তরা তাঁর পক্ষ সমর্থন করে লিখেছেন, কঙ্গনা সত্যি কথা বলার সাহস রাখেন। টুইট বন্ধ করে তাঁর মুখ বন্ধ করা যাবে না। কেউ কেউ বলেছেন, “আপনি টুইট ছেড়ে ইউটিউবে আসুন। আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা আছি আপনার সঙ্গে!”
সৌজন্য :
আনন্দবাজার পত্রিকা
আপনার মতামত দিন: