Ameen Qudir

Published:
2019-04-03 20:51:42 BdST

জিবাংলা বন্ধ অতি সাময়িক,বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন নিয়ে মন্ত্রক ও ঢাকাই পরিবেশকদের টানাপড়েন


 

ডা. সোলায়মান আহসান তরুণ
_________________________


বাংলাদেশে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জনপ্রিয় বাংলা চ্যানেল জি বাংলা। একইসাথে জি নেওয়ার্কের জি সিনেমা, জি বাংলা সিনেমা এবং জি টিভিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে একই সঙ্গে নজিরবিহীন উদ্বেগ ও একটি মহলের ফুর্তি দেখা যাচ্ছে।

বাস্তবে বাংলাদেশের সরকারি পর্যায়ে বন্ধের কোন ঘটনা ঘটে নি। আমার সঙ্গে বিশ্বস্ত তথ্য সূত্রের যোগ থাকায় এর নিয়ে আসল খবর জেনেছি। সহসাই এ জটিলতা কাটছে।

বন্ধের খবর রটিয়ে নানা গুজব চলছে। যারা ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের জন্য মরীয়া, তারা আনন্দে আটখানা। অন্যদিকে অতি চালাক ঢাকাই পরিবেশকবর্গ ও জি নেট ওয়ার্ক তাদের নজিরবিহীন জনপ্রিয়তাও যাচাই করে নিচ্ছে। সবাই হাসছে মনে মনে। অন্যদিকে গুজবে ভাসছে বাংলাদেশ। অতি উৎসাহী চক্র বেশ আমোদে গুজব ছড়াচ্ছে , বাংলাদেশ বুঝি পাকিস্তানী পথে হাঁটছে।
তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। বাংলাদেশ পাকিস্তানী পথে হাঁটবে না। হাঁটার কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের দ্বিগুন বড়। যার সংশয় হচ্ছে , গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন , বাংলা এক টাকায় পাকি দুই রুপির কাছাকাছি মিলছে এখন।
এই অবস্থা অকার্যকর পশ্চাদপদ পাকিস্তানী পথে বাংলাদেশ যাবে কোন দু:খে।
জি বাংলা বা নেটওয়ার্ক নিয়ে সঙ্কট ঢাকা দিল্লী সমস্যা নয়। এটা জি বাংলার ঢাকাই পরিবেশক ও ঢাকার তথ্য মন্ত্রকের কেরানী পর্যায়ের সমস্যা।
তথ্য মন্ত্রক চায়, বাংলাদেশের কোম্পানির বিজ্ঞাপণ জি নেটে না দেখানো হোক। যদি দেখায় , তবে সঠিক কর ও নীতিমালা মেনে দেখাক।
খুবই সঠিক কথা। কর ফাকি দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি জি নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। দেয়া তাদের দরকারও। পুরো আসাম জুড়ে প্রাণ পণ্যের রমরমা বাজার। তাদের সেখানে বিজ্ঞাপণ দিলেই লাভ। কিন্তু সেটা তো নিয়ম মেনে , কর দিয়ে দিতে হবে। সঙ্কট এখানে। এজন্য তথ্য মন্ত্রক চিঠি দিয়েছে ঢাকাই পরিবেশকদের। পরিবেশকরা অতি চালাক, তারা জনপ্রিয়তাকে পুজি করে সঙ্কট সমাধান চাইছে। তাই তারা নিজেরাই মন্ত্রককে বিপদে ফেলতে আগ বাড়িয়ে জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে চাপ তৈরী করতে চাইছে। এই টানা পড়ন যতদিন সুরাহা না হয় , ততদিন সাময়িক বন্ধ থাকবে।
এই হল ভেতরের খবর। গুজব প্রিয় মিডিয়া ও তালিবাজরাও এই সুযোগে গুঠি বাজিয়ে নিচ্ছে।


তারা পরিবেশকদের হয়ে আতঙ্ক তৈরী করছে,
নোবেলের গান আর শুনতে পাবেন না বাংলাদেশি দর্শকরা! দেখতে পাবেন না কোনও সান্ধ্য সিরিয়ালও। কারণ ZEE বাংলা, ZEE সিনেমা সহ ভারতের ZEE নেটওয়ার্কের সমস্ত চ্যানেলের সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধ করা হয়েছে।

গুজব গজব মিডিয়া আরও সরেস। বলছে, এমনকি সমস্ত ভারতীয় চ্যানেল দেখানোই বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তথ্য হল, বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রক থেকে এই সংক্রান্ত এক নির্দেশ পাওয়ার পরই চ্যানেলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন কেবল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলি। যদিও বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রক এমন নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। তবে জানা গিয়েছে, সোমবার তথ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে দুই পরিবেশক সংস্থা ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড এবং জাদু ভিশন লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরই জাদু ভিশন ZEE নেটওয়ার্কের সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।

যদিও বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রক বলছে, মন্ত্রক চ্যানেলগুলি বন্ধ করতে বলেনি। কেবল অপারেটরদের কাছে শুধু জানতে চাওয়া হয়েছে, এইসব চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হচ্ছে কি না! বাংলাদেশ কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, মূলত নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত দিন:


বিনোদন এর জনপ্রিয়