Ameen Qudir

Published:
2018-11-11 17:50:53 BdST

চট্টগ্রাম-৭ আসনে জোর কদমে এগুচ্ছেন ডা. ফয়সল ইকবাল : জনপ্রিয়তা তুঙ্গে


 

 

সংবাদদাতা চট্টগ্রাম থেকে ___________________


আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ২৮৪(চট্টগ্রাম-৭) রাঙ্গুনিয়া - বোয়ালখালী (আংশিক) এর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র পূরণ করেছেন জনগণের আস্থার প্রতীক,চিকিৎসক সমাজের নয়নমনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান,জননেত্রীর অকুতোভয় সৈনিক ডা.মো.ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিএমএর অকুতোভয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি সারা দেশের ডাক্তার সমাজের নয়নমনি।

বর্নাঢ্য রাজনৈতিক কর্মগাঁথার এই অনন্য প্রতিভাবান এবং জনপ্রিয় প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মূল্যায়ন করবেন এই আশা সমগ্র চিকিৎসকসমাজসহ সমগ্র রাঙ্গুনিয়াবাসীর।

মিডিয়ার খবরে জানা যায়, চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ । আগামী ২৩ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছেন ডা. ফয়সল।

 


চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনটি (জাতীয় সংসদীয় আসন ২৮৪) ১৫ ইউনিয়ন ১ পৌরসভা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬২৬ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ২৪৬ জন। এ আসনে এমপি ড. হাছান মাহমুদ ছাড়াও নৌকার মাঝি হতে আ’ লীগের ৪ নেতা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও নানা সামাজিক, মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আলোচনায় সবার আগে রয়েছেন ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। এছাড়া এম. সাদেক চৌধুরীর ছোট ভাই মো: ওসমান গণি চৌধুরী , ইফতেখার হোসেন বাবুল, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আলীশাহ।

উল্লেখ্য যে, বিগত দশটি সংসদ নির্বাচনী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩ বার ২ বার বিএনপি, ১ বার স্বতন্ত্র, ২ বার জাতীয় পার্টি ও মুসলিমলীগের প্রার্থী ১ বার জয়লাভ করেন। যথাক্রমে, ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম, ১৯৭৯ সালে মুসলিমলীগের প্রয়াত সালউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টির গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ’৯১ সালে ১৫ দলীয় জোট থেকে সিপিবি মনোনীত প্রার্থী মো. ইউসুফ ৩৪ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি গণতন্ত্রী পার্টির গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী পেয়েছিলেন ২৭ হাজার ৬৪০ ভোট। ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বচনে সতন্ত্রপ্রার্থী বর্তমান এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আলম তালুকদার, ’৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ৩৯ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামী লীগের এম. সাদেক চৌধুরী পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৭৫৪ ভোট। ২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ৬৫ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন আওয়ামী লীগের এম. সাদেক চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৫৫ হাজার ২৬৭ ভোট। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের ড. হাছান মাহমুদ ১ লাখ ১ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পেয়েছিলেন ৭২ হাজার ৭৩ ভোট। ড. হাছান মাহমুদ ওই মেয়াদে প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পরে বন ও পরিবেশমন্ত্রী হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় এ আসনটিতে আ’ লীগের ড. হাছান মাহমুদ দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হন।

ফলে এ আসনে আ’লীগের শক্ত ঘাঁটি তৈরী হয়। এ কাজে ডা. ফয়সলের ভূমিকা ছিল সাহসী ও সবার মুখে মুখে। সে প্রত্যয়েই তিনি এবার নৌকার মাঝি হতে চান। বর্তমানে আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি ডা. ফয়সলের জন্য, সেটা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন।

আপনার মতামত দিন:


নির্বাচন এর জনপ্রিয়