Ameen Qudir

Published:
2018-11-11 16:50:58 BdST

এমপি হয়ে চিকিৎসক, রোগী ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান ডা. আজিজ


 


সংবাদদাতা
_____________________________

ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে ক্লিন ইমেজের অধিকারী অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ । তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ও ঢাকায় ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ । চিকিৎসক ও পেশাজীবি নেতা হিসেবে তিনি সর্বমহলে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি আসন্ন নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে বদ্ধ পরিকর। তিনি দীর্ঘদিন সদর আসনে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ভক্ত অনুরাগীদের বক্তব্য, তিনি নির্বাচিত হলে দেশ যেমন একজন দক্ষ সুশিক্ষিত সুবক্তা মেধাবী সাংসদ পাবে। তেমনি চিকিৎসক সমাজও তাদের দাবি আদায়ে একজন অভিভাবক পাবে। ডা. আজিজ এমপি হয়ে চিকিৎসক, রোগী ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান ।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এবং ৯৬'র ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে বিএনপি, '৯৬ ও ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন। আসনটিতে কোনো দলই এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। তাই আসনটি উদ্ধারের জন্য যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নেতা প্রয়োজন বলে মনে করেন ময়মনসিংহ বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. এইচ এ গোলন্দাজ তারা। তিনি জানান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ও ঢাকায় ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ মনোনয়নের প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার গ্রামের বাড়ি সদরের চরাঞ্চলে হওয়ায় চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। চিকিৎসাসেবায় সদরবাসীকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি।

ডা. আজিজ ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮২ সালে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে একই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ১৯৮৪ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ডা. আজিজ ১৯৮৫ সালে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক এবং এমবিবিএস পাস করার পর বিএমএ ময়মনসিংহ শাখার কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদ লাভ করেন তিনি। তিনি ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রীয় বিএমএ নির্বাচনে প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দলের সংকটের সময়ে স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়ে দলের পক্ষে কাজ করেন। ১/১১ এর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যখন নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন তখন তিনি স্বাচিপের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাচিপের মহাসচিবের দায়িত্ব দেন। পরে পেশাগত ও সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকায় সাধারণ মামুষের কল্যাণে কাজ করছেন।

ডা. আজিজ বলেন, ময়মনসিংহবাসীর সেবায় কাজ করছি। এ ছাড়াও সদরের প্রত্যন্ত এলাকায় পথসভা, উঠান বৈঠক, মতবিনিময়, সেমিনার ও আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছি। পাড়া-মহল্লায় যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রেও তিনি ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী এ আসনে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।

আপনার মতামত দিন:


নির্বাচন এর জনপ্রিয়