Ameen Qudir

Published:
2018-07-29 18:56:44 BdST

মনোনয়ন পেলে চট্টগ্রাম ৭ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হতে পারব:ডা.ফয়সল


 

ডা. সুমিত্র দেওয়ান
_______________________________

মিডিয়া ও সুশীল বিশ্লেষকদের অনেকের মতে,
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর দুই ইউনিয়ন) আসনে কোনো দলের একক আধিপত্য নেই। এ আসন থেকে কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি আবার কোনো সময় জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। আসনটি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডিত যুদ্ধাপরাধী
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একাধিক আমলে নানা মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের আখড়া ছিল। বর্তমানেও মানবতার দুশমনরা সক্রিয়। চট্টগ্রাম বিএমএ র তুখোড় নেতা ,সর্বমহলে জনপ্রিয় ডা.ফয়সল ইকবাল চৌধুরী আসন্ন নির্বাচনে এই আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে তার লাখো শুভাকাঙ্খী আশাবাদী। এই আসনকে তিনি কলঙ্কমুক্ত করে সন্ত্রাসের সকল বিষদাঁত নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। কেননা, এই আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের করায়ত্ত থাকলেও এই মাটির সন্তান ডা.ফয়সাল। নিষ্কলুষতার ইমেজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সকলের তিনি স্নেহধন্য। এই আসনের ভোটারসহচট্টগ্রামবাসীর তিনি নয়নের মনি।
এই আসনে তার পারিবারিক ভিত্তি ও ঐতিহ্য সর্বময়। তার পক্ষেই সম্ভব ,এই অসনকে সকল কলুষ ও সন্ত্রাসমুক্ত করা।


তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ।

ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্কুলজীবনে যোগ দিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সঙ্গে। ১৯৮৩ সালে ছাত্রলীগ দিয়ে আমার রাজনীতি শুরু। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলাম। কলেজে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে আমাকে অনেকবার মামলা-মোকদ্দমার শিকার হতে হয়েছে। যেতে হয়েছে কারাগারে। সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে ১৯৯২ সালে জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমি যখন গুরুতর আহত হই, তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে এসেছিলেন। বিএনপি সরকারের আমলে তাদের রোষানলে পড়ে একমাত্র আওয়ামী লীগ করার কারণে আমাকে দেশ ত্যাগ করতে হয়। আমি দেড় বছর ভারতে ছিলাম। এভাবেই ৩৪ বছর ধরে আমার রাজনৈতিক জীবন পার করছি। কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরে যাইনি।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি আমাদের দলীয় প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা তাঁকে টানা দুবার এমপি নির্বাচিত করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে আমাদের দলীয় অনেক নেতাকর্মীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর পক্ষে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের ক্যাডারকে রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা বানানো হয়েছে। আরো অনেক হাইব্রিড ও ভাড়াটিয়াকে (অন্য দল থেকে আসা) দলে আনা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে আমাদের সরকারের অনেক অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৭ সাল থেকে এলাকায় চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ও দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। আগামী নির্বাচনে নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ রাঙ্গুনিয়াবাসী। আমাকে মনোনয়ন দিলে সবাইকে নিয়ে কাজ করে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি বিজয়ী হতে পারব।’
____________________________
ডা.সুমিত্র দেওয়ান। সুলেখক ।

আপনার মতামত দিন:


নির্বাচন এর জনপ্রিয়