Ameen Qudir
Published:2016-12-04 19:17:52 BdST
ঐশ্বর্যার আত্মহত্যার চেষ্টা ! আসলে কি ঘটেছিল ! মনোবিদ কি বলেন !
ডাক্তার প্রতিদিন ________________________
পরিবারের ভিতরে তাঁকে নিয়ে যে পরিমাণ অসন্তোষ জমা হয়েছিল, তাতে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন চালানো কোনওমতেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আর কোনও উপায় না দেখে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চালান। বৃটিশ রাজবধু ডায়ানার মৃত্যুর পর আরেকটি রাজকীয় করূন ট্রাজেডির খবরে চমকে উঠেছিল সারা দুনিয়া। ঐশ্বর্যা রাই উপমহাদেশের সিনেমার বিউটি কুইন। তার আত্মহত্যার চেষ্টার খবরে তোলপাড় তো হবেই।
সব তো ঠিকঠাকই চলছিল। তাহলে হঠাৎ কী এমন হল যে আত্মহত্যা করতে গেলেন ঐশ্বর্যা? জীবনের প্রতি সব মোহ হারিয়ে ফেললেন এক নিমেষে? খবরের ভিতরকার খবর বলছে অন্য কথা।
‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই ঐশ্বর্যার সঙ্গে ঠোকাঠুকি চলছিল তাঁর পরিবারের। জয়া বচ্চন প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর। রণবীর কপূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অভিনয় ভালভাবে নিতে পারেনি বচ্চন পরিবার। স্বামী অভিষেক বচ্চন ঐশ্বর্যা অভিনীত ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিটি দেখতে যাননি বলে খবর একসময়ে ছড়িয়ে পড়েছিল পত্রপত্রিকায়। ঐশ্বর্যাকে নিয়ে বচ্চন পরিবারের অসন্তোষ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, এই ডাকসাইটে সুন্দরী জীবন সম্পর্কে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিতে গিয়েছিলেন। এই খবর জানার পরে বচ্চন পরিবার সুন্দরী অভিনেত্রীকে হাসপাতালেও নিয়ে যায়নি।
এত পর্যন্ত পড়ে ঐশ্বর্যা রাই ভক্তদের অনেকেই বিস্ময়ে, ক্ষোভে, ক্রোধে উন্মাদ হয়ে যেতে পারেন। এত বড় একটা খবর হয়ে গেল অথচ কাকপক্ষী টের পেল না! আসল ঘটনা কিন্তু অন্য। সেলিব্রিটিদের মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া আজকের দুনিয়ায় নতুন কোনও ব্যাপার নয়।
ঘটনা হল, ‘আউটলুক পাকিস্তান’ শীর্ষক একটি ব্লগের মাধ্যমে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে লেখা হয়, আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। তাঁর আত্মহত্যা করতে যাওয়ার পিছনে কারণ একটাই। তা হল পারিবারিক অশান্তি। সেই ব্লগে এমনও লেখা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঐশ্বর্যা নাকি বলেছেন, ‘আমাকে মরতে দিন। এরকম ঘৃণ্য জীবন কাটানোর থেকে মরে যাওয়াও ভাল।’ গত বুধবার সন্ধ্যায় এত বড় একটা মিথ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা উপমহাদেশ জুড়ে।
মনোবিদদের মত
__________________________________
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন এ ব্যাপারে বলেন,
এমন গুজুবে খবরের নেপথ্যে একাধিক বিষয় কাজ করে ।
বিশ্বাসযোগ্য নারী নির্যাতন নাটক বচ্চন পরিবারে ঘটে চলেছে কিনা, সেও এক প্রশ্ন।
খোদ ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারে ফেমিলি মেলোড্রামা হলে বচ্চন সাহেবের পরিবারেও হতেই পারে।
তাই মিডিয়া এসব গুজব লুফে নেয়।
অন্যদিকে একজন লোকনায়িকা , যার ভক্ত শত কোটি মানুষ; তার ব্যাক্তিগত মনোজগত নিয়ে জানার সুযোগ কম। কিন্তু নারী বা মানুষ হিসেবে আর দশটি সাধারণ নারীই সে। পারিবারিক হুজ্জতে সেও কষ্ট পায়। তার মধ্যে নানা অপপ্রবনতা দেখা দিতে পারে।
বরং তাদের মানসিক চাপ প্রবল। নানামুখী চাপ। সেসব সামলাতে নিয়মিত মনোশীলন ও মনোশুশ্রুষা দরকারও।
আপনার মতামত দিন: