Ameen Qudir

Published:
2018-02-06 15:42:37 BdST

প্রতি জেলায় মেডিকেল কলেজ এবং প্রতি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়




 

ডেস্ক রিপোর্ট


স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় সংসদে জানান, প্রয়োজনীয় দক্ষ ডাক্তার তৈরি করার জন্য সরকার প্রতি জেলায় অন্তত একটি মেডিকেল কলেজ এবং প্রতি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।

বর্তমানে ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩ হাজার ১৮৭ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা সম্ভব যা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

 

 


স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছু রোগী বিদেশে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এ প্রবণতা রোধকল্পে আমাদের দেশে উপজেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। উক্ত হাসপাতাল সমূহে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

 

তিনি জানান, সরকার মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজও অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৭৫টি মেডিকেল কলেজ (সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ৬টিসহ) রয়েছে, যার মোট আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৫৬০টি। প্রতিযোগিতার মধ্যে কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ মান অর্জনে এখনও পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে না পারায় মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে বিষয়টি পরীক্ষা করে নির্ধারিত মান অর্জনে ব্যর্থ মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজগুলোর মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যাতে করে গুণগত মানসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরির মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৪র্থ সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনমুখী এ কার্যক্রম ও কর্মরত সকল জনবলের চাকুরি স্থায়ীকরণ এবং বেতন-ভাতাদি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টসহ স্কেলে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে চিন্তাভাবনা ও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলমান আছে।

সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী ২৮টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পেনিসিলিন ও সেফালোস্পরিন জাতীয় এ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড, এ্যান্টিক্যান্সার এবং হরমন জাতীয় ঔষধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র জনকন্ঠ

আপনার মতামত দিন:


নির্বাচন এর জনপ্রিয়